নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামান্য একজন মানুষ
শিক্ষক:তুমি কি কোন লোহার দোকানে গিয়েছো? ছাত্রী:জি, গিয়েছি।
শিক্ষক:তা কিভাবে রাখা হয়?
ছাত্রী :খোলা মেলা।
শিক্ষক:তুমি কি রুপার দোকানে গিয়েছো?
ছাত্রী :হ্যাঁ গিয়েছি।
শিক্ষক:তা কিভাবে রাখা হয়?
ছাত্রী :সংরক্ষণ করে রাখা হয়।
শিক্ষক:তুমি কি স্বর্ণের দোকানে গিয়েছো?
ছাত্রী :জি হ্যাঁ গিয়েছি।
শিক্ষক:তা কিভাবে রাখা হয়?
ছাত্রী :তা রুপার চেয়েও বেশী সংরক্ষণ করে রাখা হয়।
শিক্ষক:তুমি কি হীরার দোকানে গিয়েছো?
ছাত্রী :হ্যাঁ গিয়েছি।
শিক্ষক:তা কেমনে রাখা হয়?
ছাত্রী :তা স্বর্ণের চেয়েও বেশী গুরুত্ব সহকারে ঢেকে রাখা হয়।
শিক্ষক:কেন জান?
ছাত্রী :কেননা তার দাম অত্যন্ত বেশী তাই।যেন তাতে ময়লা না লাগে।
শিক্ষক মুচকি হেঁসে বললেন: ইসলামে মহিলাদের মান ও সম্মান হীরার চেয়েও অনেক অনেক বেশী দামি। তাই তুমি পর্দায় থাকবে।
ছাত্রী :সর্ট ড্রেসে সমস্যা কি স্যার?!
শিক্ষক:যারা তোমাকে সর্ট ড্রেস পরতে বলছে, তারা তোমাকে লোহার মত ব্যবহার করতে চাচ্ছে।তারা তোমার শরীরে দাগ দেবে, ময়লা লাগাবে, মরিচা ফেলবে। তারপর ছুড়ে ফেলে দেবে ডাস্টবিনে।ওরা কোনদিন তোমাকে সৌন্দর্যময় হীরা ভাববে না, বরং ভাববে ব্যবহারেরর লোহা। যা সাময়িক ব্যবহারের পর ফেলে দেবে। তাই একটু বিবেক বুদ্ধি দিয়ে ভেবে দেখ, তোমার মান সম্মান ও ভবিষ্যৎ এর কথা । মনে রাখবে এই দুনিয়াই কিন্তু শেষ নয়, আখিরাত বলেও কিছু একটা আছে।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৩
আসাদুজ্জামান(আসাদ) বলেছেন: আপু এই বাবা বা ভাইয়ের দোহাই দিয়ে আর কতদিন…?
তার থেকে বরং নিজেকে আমরা সংযত রাখতে পারি না…?
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪০
বিবেক ও সত্য বলেছেন: কোন সমস্যার সমাধানের পূর্ব শর্ত হল উক্ত সমস্যার মূল কারন চিহ্নিত করতে সক্ষম হওয়া এবং তদানুযায়ী তার সঠিক সমাধান বের করা। এ পর্যন্ত নারী নির্যাতন ও বৈষম্যর যত লেখা পড়লাম সেখানে নারী নির্যাতনের যে কারনগুলো উল্লেখ করা হয়েছে তার কোনটিতেই আমি পেলাম না যে নারী নির্যাতনের আসল কারন চিহ্নিত করা হয়েছে। উল্লেখিত সবগুলো হল আনুসাঙ্গিক কারন, মুল কারন নয়। আমার এ লেখায় মুল কারন চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তদানুযায়ী একটি সমাধান দেখানো হয়েছে। এর চেয়ে ভাল কোন আইডিয়া কারো কাছে থাকলে শেয়ার করতে পারেন।
আমাদের দেশের বেশিরভাগ নারী তার গৃহে বৈষম্যের শিকার।নারী তার স্বামী কর্তক বিভিন্নভাবে নিগৃহীত হয়ে থাকে।গত এক/দুই দশক আগে নারী বৈষম্যে ও নিগৃহীত হওয়ার হার ছিল এখনের চেয়ে প্রায় ২/৩ গুন বেশি।নিজ পরিবারও নারীদের লেখা-পড়া করার প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করত।
আমাদের দেশে পারিবারিক আইনটি কুরআন থেকে নেয়া। ইসলামিক পারিবারিক আইনের মূল কথা হল- পরিবারের সার্বিক দায়িত্ব পুরুষের। পরিবারের সকল খরচ বহন করা সহ পরিবারের ভাল-মন্দ দেখা,তত্ত্বাবধান করা ইত্যাদি দায়িত্ব পুরুষের উপর।পুরুষের তার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সংসারের ঘানি টানবে আর নারী শুধু বসে বসে খাবে-এটা ন্যয়বিচারের দৃষ্টিতে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।যৌক্তিভাবেই নারীর কর্তব্য হয়ে দাড়ায় যে সে উক্ত পুরুষের ঘর সংসার গুছিয়ে রাখা, এবং পরিশ্রান্ত-ক্লান্ত পুরুষের সেবা-শুশ্রুষা করা এবং ঘর সংক্রান্ত যাবতীয় ঝঞ্জাল সামলিয়ে পুরুষের ঘরের জীবনটা শান্তিময় করা।দু’জন দু’জগত সামলাবে একজন বাইরের জগত এবং অপরজন ঘরের ভিতরের অংশ।
শুনতে কথাটি বাহ্যত অনেক মধুর ও যৌক্তিক মনে হয়।এ নীতিটিই আমাদের দেশে শত শত বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠিত।এ নীতির কূফল এখন আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এ নীতিটির কুফল আমাদের দেশের লোকেরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে আর পাচ্ছে।নারীর যেহেতু অর্থণৈতিক দায়িত্ব নেই তাই তার কর্মে দক্ষ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা হয় না এবং শিক্ষার প্রতি নিরুৎসাহীত হয়। আর সংসার জীবনে পুরুষের কর্তৃত্বের অধীনে থাকতে হয়, যে পুরুষ খারাপ হয় তার সংসারে নারী হয় গোলামের ন্যয়।এ কথা বললে কিছু ধর্মান্ধ (যারা অন্ধভাবে ধর্মে বিশ্বাস করে) তারা বলবে নারীর বিচার চাওয়ার সুযোগ আছে এবং আরো----। পুরুষের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নারীকে বিচারকে দয়ার উপর ছেড়ে দেয়া। বিচার চাইতে যায় চরম পর্যায় গেলে, তার আগে বহু নিগৃহের শিকার হয় যার বিচার চাওয়া সম্ভব না আর সবাই বিচার চাইতেও সামর্থ নয়। বাস্তব উদাহরন দু’দশক আগে আমাদের দেশের নারীদের অবস্থা এবং বর্তমানেও তার বহুলাংশ বজায় রয়েছে। বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এই লিঙ্কে:view this link
তবে পুরুষের মাথায় সংসারের সব দায়িত্ব রেখে দিয়ে নারীকে সংসারের দায়িত্বমুক্ত করে নারীকে অর্থ উপার্জনে নামিয়ে দেয়া ন্যয়বিচার ও যুক্তির দৃষ্টিতে আরেকটি অন্যয় ও অবিচার। এ যেন কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগের চিকিৎসা করে ডাইরিয়া রোগের জন্ম দেয়া।
নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বর্তমানে নারীদের কর্মক্ষেত্রে আনার প্রতিযোগিতা চলছে এবং নারী ক্ষমতায়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যা অবশ্যই প্রশংসনিয় ও কল্যাণকর হত যদি তা ডাইরিয়ার জন্ম না দিত।নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সব পদক্ষেপ নারীদের বৈষম্য থেকে মুক্ত করে পুরুষ বৈষম্যর জন্ম দিচ্ছে। যার কুফলও আমাদের সমাজে দেখা দিতে শুরু করছে।
আইনগতভাবে যেহেতু সংসারের দায়িত্ব পুরুষের উপর, সেহেতু সংসারের সকল খরচ বহন করতে পুরুষ বাধ্য থাকে, নারী যতটুকু দেয় এটা তার দয়া।মনে চাইলে নারী তার উপার্জিত অর্থের কিছু অংশ স্বামীর সংসারে ব্যয় করে থাকে। বাকি অর্থ বা সম্পূর্ণটাই নিজ খেয়াল খুশিমত ব্যবহার করে থাকে। কখনও কখনও স্বামীর উপর দেমাগ দেখায়, অনেক কিছু দাবী করে যেটা স্বামী বেচারাকে পূরণ করতে বাধ্য হতে হয়। এ ধরনের পরিবারে বেচারা পুরুষ স্ত্রী কর্তৃক মানসিকভাবে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়ে থাকে।দুঃখের কথা বললেও নাকি মনে কিছুটা হলেও শান্তি পাওয়া যায়।বেচারা পুরুষ কিন্তু তার এ দুঃখের কথা কাউকে বলতেও পারে না। নিরপেক্ষভাবে বিবেচনা করলে দেখা যায় এখানে পুরুষের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে।
আমরা চাই নারী-পুরষ কেউ যাতে বৈষম্যর শিকার না হয়।
সমাধান:
সমাধান হল আইন পরিবর্তন করা। সংসারের দায়িত্ব নারী ও পুরুষ উভয়ের উপর সমভাবে বর্তাবে। আইনগতভাবে দু’জন দু’জনের সাথে বন্ধুর মত সংসার চালাবে।আধুনিক বিশ্বের দেশগুলোর পারিবারিক আইন অনেকটা এরুপ।এ নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই, বিশ্বের পারিবারিক আইনগুলোর মধ্যে যেটি সবচেয়ে বেশি ভাল সেটি গ্রহণ করা যেতে পারে।
পুরুষের উপর থেকে অর্থনৈতিক দায়িত্বও সরাবেন না, আবার নারীকে সংসারের দায়িত্বমুক্ত করবেন এবং চাকরি করতে দেবেন এ দু’ণীতি একসাথে চলতে পারে না, এটা অরেক বৈষম্য সৃষ্টি করে। আপনি নারী নির্যাতন বন্ধ করে পুরুষ নির্যাতনের পথ উম্মুক্ত করলেন, এটা কখনও সুন্দর সমাধান হতে পারে না।
৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৫
পাউডার বলেছেন: বোরকা পড়লে ইভ টিজিং হয় না? মুর্খ কোথাকার।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৩
আসাদুজ্জামান(আসাদ) বলেছেন: Hellow, mr. or miss. Powder- pordate Jodi nijer alargi thake to alada kotha,kintu onnoke keno nijer behayaponatake jayej korar jonno murkho bolchen… podra korle Jodi eve teasing hoy_o seta 10 percent r baki 90 parcent na korar karone…. bissas na hole kono teaser k jiggasa korun….
৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৭
অন্তু নীল বলেছেন:
ছাত্রঃ মেয়েরা কেন পর্দা করবে স্যার ?
স্যারঃ কারণ আমরা কু দৃষ্টিতে তাকাই তাই।
ছাত্রঃ আমরা কুদৃষ্টিতে কেন তাকাই স্যার ?
স্যারঃ কারণ আমরা নির্লজ্জ তাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪০
কানিজ রিনা বলেছেন: ওরা কারা,যারা আমারে মরিচা ধরা অবস্থায়
মেলা দিয়ে ফেলে দেবে, ওরা কারা ওরা
আমার পিতা, ওরা আমার ভাই,ওরা আমার
ছেলে সন্তান, আমি ওদের কন্যা স্ত্রী বোন,
আমি রাস্তায় ইট ভাঙি, বালু কাটি বাসায়
কাজ করি আমি বাবা হাড়া সন্তানের জন্য
মানুষের কাছে হাত পাতি, তাই পর্দা কোথায়
পাই। আমার ভাই আমাকে ইজ্জৎ কেড়ে নেয়।