নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুসলমানদের মাধ্যে হাদিস পন্থিরা কি শিরককারি ? একজন ব্লগার নীচের হাদিস গুলো দিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে ইসলাম ধর্মে শিরকি আছে । আমি এই বক্তব্যকে খন্ডন করে বলতে চাই , মুসলমানদের মধ্যে যারা হাদিস পন্থি তারাই শিরককারি । এবার নীচের হাদিস গুলো পড়ুন ।
যেভাবে কালো হলো : ‘হাজরে আসওয়াদ’ জান্নাতের মর্যাদাপূর্ণ একটি পাথর। বিশুদ্ধ সূত্রে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হাজরে আসওয়াদ জান্নাতের পাথর। প্রথমে এটি দুধের চেয়েও অধিক সাদা ছিল। পরে মানুষের গুনাহ তাকে কালো করে দিয়েছে। (তিরমিজি, হাদিস : ৮৭৮)
মানুষের পাপ ধারণ : হাজরে আসওয়াদ মানুষের পাপ ধারণ করে। হাদিসে এসেছে, মানুষের গুনাহ যদি হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইবরাহিমের পাথরকে স্পর্শ না করত তাহলে যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি তা স্পর্শ করলে (আল্লাহর পক্ষ হতে) তাকে সুস্থতা দান করা হতো। (সুনানে কুবরা, বাইহাকি ৫/৭৫)
চুমু দেওয়ার ফজিলত : শরিয়তে মর্যাদাপূর্ণ এই পাথরে সরাসরি বা ইশারার মাধ্যমে চুমু দেওয়ার বিধান আছে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, এই দুটি রোকন (হাজরে আসওয়াদ ও রোকনে ইয়ামানি) স্পর্শ করা গুনাহগুলোকে মুছে দেয়। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৫৯)
কিয়ামতে সাক্ষ্যদান : কিয়ামতের দিন হাজরে আসওয়াদের সাক্ষ্যদানের ক্ষমতাও থাকবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন এই পাথরকে উপস্থিত করা হবে। তার দুটি চোখ থাকবে, তা দিয়ে সে দেখবে; জবান থাকবে, তা দিয়ে সে কথা বলবে এবং সে এমন লোকের অনুকূলে সাক্ষ্য দেবে যে তাকে আদবের সঙ্গে চুমু দিয়েছে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৯৪৪)
হাজরে আসওয়াদ সম্পর্কে মহানবী (সা.) যা বলেছেন
আপনারা কি এই হাদিস গুলো থেকে কোন রকমের শিরকি খুজে পেয়েছেন ? যদি না পেয়ে থাকেন তাহোলে বিশ্লেষন করছি । আল্লাহর কোন গুন, বৈশিষ্ঠ, ক্ষমতার সাথে কাউকেও শিরক করা যাবে না । ইসলাম অনুযায়ি একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন গূণা নিবারন কারি নেই বা আল্লাহ ছাড়া কেহ গূণা মাপ করতে পারে না । এখন আপনারা দেখুন উপরের হাদিস গুলোতে হাজরে আসওয়াদ পাথরটিকে গূণা পাপ কারি বা গূণা মাপ পাওয়ার মাধ্যম হিসাবে বলা হয়েছে , যেটা সাদা থেকে কালো হয়েছে গূণা চুষে নিয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি । তারমানি আল্লাহর মাপ করার ক্ষমতার সাথে এই পাথরকে শরিক করা হয়েছে ।
এখন যারা হাদিস পন্থি বা হাদিসের পক্ষে বড় বড় কথা বলেন , তারা এই হাদিস গুলো মানতে বাধ্য , বিশ্বাষ করতে বাধ্য । তার মানি তারা ঐ পাথরকে গূণা মাপকারি বলে বিশ্বাষ করে আল্লাহর সাথে ঐ পাথরকে শিরক করে ।
সুতরাং হাদিস পন্থিরা শিরককারি ।
এবার আসি আমাদের বা মুসলমানদের অবস্থান কি উপরের হাদিস গুলোর ব্যপারে ।
এই হাদিস গুলো আমরা প্রত্যাখান করি কোরানের আয়াত দিয়ে । কোরানের ১০ এর বেশি আয়াত আছে শিরক বিরুধি। ঐ আয়াত গুলোর যে কোন একটি যথেষ্ঠ উপরে হাদিস গুলোকে প্রত্যাখান করার জন্য ।
এখন আমরা এখন দেখতে চাই শিরককারি হাদিস পন্থিদের মতামত এই বিষয়ে ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩
এ আর ১৫ বলেছেন: আনেক ধন্যবাদ ।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সোশাল প্লাটফর্মে অনেক ভুল ও বানোয়াট হাদিস ঘুরাঘুরি করে এসব থেকে বেচে থাকতে হবে । হাদিস হচ্ছে, পবিত্র কুরআনের ছায়া । অবশ্যই হাদিস অনুসরণ করা উচিত । পক্ষান্তরে , শিরক হচ্ছে, আল্লাহর সত্ত্বার সাথে অন্য কাউকে তুলনা করা । এটি একটি পরিষ্কার বিষয় । এর সাথে হাদিস মানা না মানার কোন সম্পর্ক নেই ।
সেই অর্থ আপনার শিরোনামটি মনে হচ্ছে, সঠিক হয়নি ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২২
এ আর ১৫ বলেছেন: হাদসি গুলো সহি এবং বর্ণানা পড়েই বুঝতে পেরেছেন কি ধরনের শিরকি আছে এই হাদিস গুলোর ভিতরে। আমি মনে করি কোরান সম্মত হাদিস গুলো ছাড়া বাকি সব হাদিস বর্জনিয় । কিন্তু হাদিস পন্থিরা সেটা মানে না । এই হাদিস গুলো প্রত্যাখান করার জন্য একটা কোরানের আয়াতই যথেষ্ঠ।
হাদিস হচ্ছে, পবিত্র কুরআনের ছায়া ।
৫% সত্য হবে কিনা সন্দেহ । কোরানের সাথে ম্যাচ করে যে সমস্ত হাদিস সেগুলো শুধু গ্রহন যোগ্য । প্রমাণীত হাদিস গুলো গ্রহন যোগ্য যেমন নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন , কত রাকাত ইত্যাদি কারন নামাজ পড়ার নিয়ম গুলো কোরানের আয়াতের মত প্রমাণীত সত্য এবং চর্চার মাধ্যমে সংরক্ষিত । গত ১৪০০ বৎসর এমন কোন দিন নেই যে ৫ বার নামাজ পড়া হয় নি । যদি ৩০০ বৎসর পরে নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন লিখা হোত তাহলে গ্রহন যোগ্য হোত না ।
যারা হাদিস পন্থি তারা হাজরে আসওয়াদ সংক্রান্ত হাদিস গুলো মানতে বাধ্য এবং সেই কারনে তারা শিরকিতে লিপ্ত । ধন্যবাদ ।
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এত প্যাচাপ্যাচির তো কিছু নাই। ইসলামে শির্কের কোন স্থান নাই। তাই বিধর্মীদের কোন উৎসবে উইশ করাও শির্কের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
ইসলামে আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়ার জন্য "ইবাদত" কে মাধ্যম হিসাবে তৈরী করে দেওয়া হয়েছে। আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়াটাও ইবাদতের অংশ। আর ইবাদত হবে শুধুমাত্র আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেখানো পথে।
এখন যদি কোন সহীহ হাদিস দ্বারা বলা থাকে যে হাজরে আসওয়াদ চুমু দিলে গুনাহ ক্ষমা হবে, তাহলে তাই। যদি সহীহ হাদিসে না থাকে, তাহলে সেটা পালনীয় নয়। ব্যাস। এখানে শির্কের কথা আসবার কোন প্রশ্নই থাকে না।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২২
এ আর ১৫ বলেছেন: ভাই আপনার কাছে এই ধরনের উত্তর আশা করি নি। আপনি কি শিরকি বোঝেননা? আপনি যে কথা বললেন, ঠিক একই কথা হিন্দুরা বলে যে ভগবান নির্দেশ দিয়েছে এই ভাবে মুর্তি বানিয়ে উপাসনা করতে।
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩
নীল আকাশ বলেছেন: আল্লাহর আদেশে যে কেউ কোনো কিছু করলে সেটা শিরক হতে যাবে কেন?
এই পাথর তো নিজে দাবী করেনি যে সে ইলাহ!
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৩
এ আর ১৫ বলেছেন: একই কথা হিন্দুরা বলে ভগবানের আদেশে তারা মুর্তি পুজা করে।
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ ফেরেশতা এবং ইবলিসকে আদেশ করেছিলেন আদমকে (সা) সেজদা করার জন্য। কোরআনে আছে। এটা শিরক না। আল্লাহ আদেশ করতে পারেন মানুষকে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৪
এ আর ১৫ বলেছেন: সে সময় শিরক করাকে নিষিদ্ধ করা হয় নি।
৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪০
কামাল১৮ বলেছেন: কোরান হাদিসে অনেক ভালো কথা আছে আবার ভুল কথাও আছে।সময় হয়েছে ভুল গুলোকে বাদ দেয়ার।সৌদিরা শুরু করেছে।আমরা আকড়ে ধরছি।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৬
এ আর ১৫ বলেছেন: হাদিসে অনেক ভুল আছে।
৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩৩
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই আপনার কাছে এই ধরনের উত্তর আশা করি নি। আপনি কি শিরকি বোঝেননা? আপনি যে কথা বললেন, ঠিক একই কথা হিন্দুরা বলে যে ভগবান নির্দেশ দিয়েছে এই ভাবে মুর্তি বানিয়ে উপাসনা করতে। - আপনার উত্তরটাও আশা করিনি! কারন আমি শির্ক বুঝি বলেই ইবাদতের কথা বলেছি। শির্ক না বুঝলে তাই বিধর্মীদের কোন উৎসবে উইশ করাও শির্কের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। কথাটা বলতাম না।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০২
এ আর ১৫ বলেছেন: শুধু ইবাদত নহে, বিশ্বাস করা টাও শিরক। ওই পাথর গূণা মাপ করতে পারে এই বিশ্বাস করাটাও শিরক। বিধর্মীদের বিশ্বাসকে গ্রহন করে যদি উইশ করেন তবে শিরক হবে। ঐ পাথুরে চুমু খাওয়া পার্ট অফ রিচুয়াল এবং ওই পাথর গূণা মাপ করে বিশ্বাস করা শিরক।
৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৫৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: লেখক বলেছেন: শুধু ইবাদত নহে, বিশ্বাস করা টাও শিরক। ওই পাথর গূণা মাপ করতে পারে এই বিশ্বাস করাটাও শিরক। বিধর্মীদের বিশ্বাসকে গ্রহন করে যদি উইশ করেন তবে শিরক হবে। ঐ পাথুরে চুমু খাওয়া পার্ট অফ রিচুয়াল এবং ওই পাথর গূণা মাপ করে বিশ্বাস করা শিরক। - কিন্তু উমার (রাঃ) হাজরে আসওয়াদের কাছে এসে তা চুম্বন করে বললেন, আমি অবশ্যই জানি যে, তুমি একখানা পাথর মাত্র, তুমি কারো কল্যাণ বা অকল্যাণ করতে পার না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তোমায় চুম্বন করতে না দেখলে কখনো আমি তোমাকে চুম্বন করতাম না। (বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৫০২, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৫৯৭)
মুসলিমরা মনে করে না যে ঐ পাথর গুনাহ ক্ষমার অধিকারী। বরং ঐ পাথর স্পর্শ করবার (ইবাদতের) ফলাফল হচ্ছে গুনাহ মাফ। হিসাব খুব সহজ।
ইসলামের বিপক্ষে লিখতে হলে আরও শক্ত যুক্তি দিয়ে লিখতে হবে। তা না হলে মানুষকে সহজে বিভ্রান্ত করা যাবে না। অবশ্য যারা ইসলাম সম্পর্কে একেবারেই জানে না (অলরেডি বিভ্রান্তির মধ্যে আছে), তাদের বিভ্রান্ত (আরও বেশী বিভ্রান্ত) করার জন্য সহজ কথাও কাজে দেয়।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:২০
এ আর ১৫ বলেছেন: হযরত উমরের বক্তব্য কি হাদিস?
৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:০৫
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: লেখক বলেছেন: হযরত উমরের বক্তব্য কি হাদিস? উমার (রাঃ) এর বক্তব্য তার হাদিস। হাদিস অর্থ বাণী। আর উনাদের আক্বীদা ছিলো সবচাইতে পরিশুদ্ধ আক্বীদা। তাই আক্বীদা বিষয়ক বিষয় গুলিতে উনাদের কথা খুব বেশী জরুরী।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৩১
এ আর ১৫ বলেছেন: তাহোলে আপনি নবির হাদিস মানেন না হযরত উমরের আকিদা মানেন!!!! নবির হাদিসে আছে ওই পাথর গূণা মাপ করে আর হযরত ওমরের আকিদাতে আছে ওই পাথরের কোন ক্ষমতা নেই। তাহোলে আপনি নবির হাদিস মানেন না?
১০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৫৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: নবির হাদিসে আছে ওই পাথর গূণা মাপ করে -এটা কোথায় আছে?
আপনি যে লেখা দিয়েছেন তার চুমুর ফজিলত অংশে "স্পর্শ করা" শব্দ দুটি আপনি খুব সম্ভবত মিস করেছেন! এ দুটি শব্দ না থাকলে বোঝাত যে পাথর ক্ষমা করে! কিন্তু এদুটি শব্দ থাকার জন্য অর্থ দাঁড়ায় যে নির্দিষ্ট ঐ ইবাদাতের ফলে আল্লাহ গুনাহ ক্ষমা করেন!
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:২২
এ আর ১৫ বলেছেন: কোন ইবাদতের প্রেক্ষিতে যদি স্পর্শ করা হয় তাহোলে গূণা মাপ হয়ে যাবে,,, এই ভাবে বলা নেই হাদিসে বলা হয়েছে টাচ করলেই গূণা মাপ হবে।
যদি আপনার কথা ধরে নি তাহোলে ও শিরক করা হয়ে যায় কারন কেঊ ইবাদত করল কিন্তু ওই পাথর টাচ করলো না তাহোলে ক্ষমা পাবে না, শুধু টাচ করলে ক্ষমা পাবে।
তারমানে পাথর ক্ষমা করার ক্ষমতা আছে
এই পাথর সাদা থেকে কাল হয়েছে মানুষের গূণার কারনে।
সুতরাং হাদিস পন্থিতা প্রকারন্তে শিরক কারি।
১১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:১৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: হাদীস দিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঈমানদার ব্যক্তিকেও কাফির, বিদআতী বানানো যাবে। আমাদের জন্য আল্লাহর কোরআনই যথেষ্ট।
১২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:২৫
বিটপি বলেছেন: হাদিস পন্থিরা কি তাহোলে শিরককারি ?
এইটা একটা আবালের মত প্রশ্ন। হাদীস হচ্ছে ইসলামী শরীয়তের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এটি অনুসরণ করা কোন যুক্তিতে শিরক হবে? হাজরে আসওয়াদ নামক পাথরকে চুমু দেওয়া আর মূর্তির সামনে নত মস্তকে নিজেকে নিবেদন করার মাঝে তত্ত্বগত কত পার্থক্য আছে - সেটা কি আর আবালদেরকে বুঝানো যাবে?
গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহ্র কাছে চাইতে হবে - এমন কোন কথা নেই। বাবা-মা অথবা স্ত্রীর দিকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে তাকালেও অনেক গুনাহ মাফ হয়। রাসূলের (স) প্রতি দরুদ পাঠ করলেও গুনাহ মাফ হয়। এগুলো কি শিরক?
১৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: লেখক বলেছেন: কোন ইবাদতের প্রেক্ষিতে যদি স্পর্শ করা হয় তাহোলে গূণা মাপ হয়ে যাবে,,, এই ভাবে বলা নেই হাদিসে বলা হয়েছে টাচ করলেই গূণা মাপ হবে। টাচ করলে কে মাফ করবেন? নিশ্চই আল্লাহ মাফ করবেন। কারণ আর কেউ গুনাহ মাফ করতে পারে না।
যদি আপনার কথা ধরে নি তাহোলে ও শিরক করা হয়ে যায় কারন কেঊ ইবাদত করল কিন্তু ওই পাথর টাচ করলো না তাহোলে ক্ষমা পাবে না, শুধু টাচ করলে ক্ষমা পাবে। - আপনার ঠিক কেন ধারণা হলো যে শুধু টাচ করলেই গুনাহ মাফ হবে, অন্য কোন কিছুতে মাফ হবে না, এটা বোধগম্য নয়। আপনি আসলেই ইসলাম সম্পর্কে সামান্যতম না জেনেই ইসলামের বিপক্ষে নেমেছেন। আরও লেখাপড়া করতে হবে আপনাকে। হিসনুল মুসলিম নামক একটা দোয়ার বই আছে, ওটা পড়ুন, দেখুন একজন মানুষ সারা জীবনে মক্কা না গিয়েও কিভাবে ঘরে লেপের ভিতরে শুয়ে শুয়ে গুনাহ মাফের সুযোগ পায়।
তারমানে পাথর ক্ষমা করার ক্ষমতা আছে
এই পাথর সাদা থেকে কাল হয়েছে মানুষের গূণার কারনে।
সুতরাং হাদিস পন্থিতা প্রকারন্তে শিরক কারি। - আপনি না বুঝেছেন ইসলাম, না পেরেছেন বাংলা ভাষা সম্পর্কে সামান্যতম জ্ঞান অর্জন করতে। আপনি নিজেই জোর করে এটা ওটা বলে যাচ্ছেন, শুধু সত্যটা মেনে নিতে পারছেন না যে সম্পূর্ণটাই আপনার বোঝার ভুল।
সমস্যা নাই। প্রতিদিন ইসলাম নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে থাকুন। ইন শা আল্লাহ আপনি হয় কঠোর ইসলাম বিদ্বেষী, কিংবা কড়া ইসলামী ব্যক্তিত্ব হয়ে যাবেন এক সময়। ঘাটাঘাটি ছাড়লে চলবে না কিন্তু।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০০
এ আর ১৫ বলেছেন: টাচ করলে কে মাফ করবেন? নিশ্চই আল্লাহ মাফ করবেন। কারণ আর কেউ গুনাহ মাফ করতে পারে না।
আল্লাহ এবং বান্দার ভিতরে কোন মুডিয়া রাখা যাবে না , এই মিডিয়া রাখাটাও শিরকি । এখানে ঐ পাথরটি হোল মিডিয়া । হিন্দু ধর্মের কন্সেপ্টটা কি ? ভগবান একজন এবং দেবতা গুলো হোল মিডিয়া । ভগবান সব কিছু করেন মিডিয়া দেবতা গুলোর মাধ্যমে । এই মিডিয়া করাটাই শিরক করা । পাথরটার তো গূণা চুষে নেওয়ার ক্ষমতা আছে যে কারনে সাদা থেকে কালো হয়ে গেছে ।
যেভাবে কালো হলো : ‘হাজরে আসওয়াদ’ জান্নাতের মর্যাদাপূর্ণ একটি পাথর। বিশুদ্ধ সূত্রে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হাজরে আসওয়াদ জান্নাতের পাথর। প্রথমে এটি দুধের চেয়েও অধিক সাদা ছিল। পরে মানুষের গুনাহ তাকে কালো করে দিয়েছে। (তিরমিজি, হাদিস : ৮৭৮)
আপনার ঠিক কেন ধারণা হলো যে শুধু টাচ করলেই গুনাহ মাফ হবে, অন্য কোন কিছুতে মাফ হবে না, এটা বোধগম্য নয়।
মনে করুন একজন হিন্দু কৃপা পাওয়া জন্য দেবতার কাছে গেল , এখন দেবতা কি অপবিত্র অবস্থায় প্রণাম করলে সেটা নিবে । সে যখন পবিত্র হয়ে ইবাদত করে তাকে প্রণাম করবে তখন সেটা সে গ্রহন করে ভগবানের কাছে পাঠাবে এপ্রুভের জন্য । একই ভাবে অপবিত্র শরিরে হাজরে আওসাদকে টাচ করলে কোন লাভ হবে না, পবিত্র হয়ে ইবাদত করে টাচ করতে হবে । মানুষের পাপ ধারণ : হাজরে আসওয়াদ মানুষের পাপ ধারণ করে। হাদিসে এসেছে, মানুষের গুনাহ যদি হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইবরাহিমের পাথরকে স্পর্শ না করত তাহলে যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি তা স্পর্শ করলে (আল্লাহর পক্ষ হতে) তাকে সুস্থতা দান করা হতো। (সুনানে কুবরা, বাইহাকি ৫/৭৫)
আপনি আসলেই ইসলাম সম্পর্কে সামান্যতম না জেনেই ইসলামের বিপক্ষে নেমেছেন
ইসলামে কি বলে নি কোন বস্তুকে আল্লাহর কাছে যাওয়ার মাধ্যম করা যাবে না ? আমি ইসলামের বিপক্ষে নাকি হাদিস পন্থিদের বিপক্ষে নেমেছি ? আপনি কি আমার লেখার শেষ প্যারাটা পোড়েছেন ।
আপনার মত হাদিস পন্থিরা যে শিরকি করে চলেছেন সেটা কি বোঝেন ? বোঝার কথা না কারন শিরক কি জিনিস সেটাই বোঝেন না । কিয়ামতে সাক্ষ্যদান : কিয়ামতের দিন হাজরে আসওয়াদের সাক্ষ্যদানের ক্ষমতাও থাকবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন এই পাথরকে উপস্থিত করা হবে। তার দুটি চোখ থাকবে, তা দিয়ে সে দেখবে; জবান থাকবে, তা দিয়ে সে কথা বলবে এবং সে এমন লোকের অনুকূলে সাক্ষ্য দেবে যে তাকে আদবের সঙ্গে চুমু দিয়েছে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৯৪৪)------ তারমানে ঐ পাথরকে চুমু বা টাচ না করলে কেয়ামতের দিন সাক্ষ্য দিবে না । এখানো কি বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে যে এই পাথরটাকে মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে । ঠিক এ ভাবে হিন্দুরা দেবতাকে ভগবানের কৃপা পাওয়ার মাধ্যম হিসাবে বিশ্বাষ করে ।
আপনি এখন হিন্দুরা যে ভাবে মুর্তি পুজাকে ডিফেন্ড করে ঠিক সে ভাবে ডিফেন্ড করছেন । তারা বলে সব কিছু করে ভগবান কিন্তু সেটা দেবতার মাধ্যমে পেতে হবে । এখন আপনার মত হাদিস পন্থিরা পাথরের মাধ্যমে গূণা মাপ চান। আপনার মত হাদিস পন্থিরা হোল শিরককারি ।
এই হাদিস গুলোর ব্যপারে আমাদের অবস্থান কি সেটা পাবেন লিখার শেষ প্যারায় ।
১৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৩
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আপনি ইবাদতকে যদি মূর্তির মত মিডিয়া মনে করেন তাহলে বিপদ! কিন্তু আপনি সেটা করেই বসে আছেন। যাই হোক। আপনি যেহেতু বাংলাটা বুঝেন না, কিংবা সত্যটা মানতে নারাজ, তাই তর্কে জড়িয়ে লাভ নেই। আগের কমেন্টে যেমন বলেছি, ঘাটাঘাটি ছাড়লে কিন্তু চলবে না। সেটা চালিয়ে যান।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১২
এ আর ১৫ বলেছেন: দয়া করে উত্তরটা আবার পড়ুন। ইবাদত কে মুর্তির মত মিডিয়া এমন কোন কথা বলা হয় নি, বলা হয়েছে বান্দা এবং আল্লাহর মাঝে মিডিয়া রাখলে সেটা শিরকি।
১৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: হাদীস থেকে দূরে থাকাই মঙ্গল।