নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আহসান হাবীব দুরন্ত

আহসান হাবীব দুরন্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মদ্ধবিত্ত প্রাইভেট কর্মজীবীর আর্তনাদ

২৬ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬




আমি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা হিসাবে নিজের জীবনের প্রত্যেহ ঘটনা ও নিকটতম মানুষগুলোর কর্মজীবন থেকে শুধু নয়, টেলিভিশন ও সংবাদপত্র থেকে নেওয়া অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আমি তুলনা করবো না সরকারি/প্রাইভেটের মধ্যে শুধু বলবো নিয়মের তোয়াক্কা কেনো করবে না, দেশটা সকলের তাই নই কি?। সকলের সহযোগিতায় দেশ আগাবে ভবিষৎ প্রজম্মকে আগামীর বার্তা দিবে। আন্দোলনের মাধ্যমে সকল কিছু আদায় এমনটা থেকে মুক্তি চাই। স্রষ্টার অপরুপ সৃষ্টিার অনেক কিছু যেমন প্রযুক্তির মাধ্যমে ভয়াবহ ঝড় কিংবা জল্লোচ্ছাসের পূর্বাভাস জানতে পারি, ঘন্টা কিংবা মিনিট আগে।
কিন্তু আমাদের কে চাকুরিচ্যুত করার পূর্বাভাস কোন প্রযুক্তির মাধ্যমে কানে আসে না। অজানা কোন এক কারণে আমাদের অনেক ভাইকে চাকুরিচ্যুত করা হয়, বড় কোনো অপরাধ ছাড়া, কর্তার (মালিকের) ইচ্ছায় বলতে পারি যেটা তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তে কোনো নোটিশ ছাড়া।
বলছি না সকল মালিক পক্ষ এমন কিন্তু বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে এমন নজির গড়ে তুলছে। কতটা খাটুনি/শ্রমের বিনিময়ে উপার্জন প্রাইভেট কর্মজীবিরাই বুঝে। এই টুকু হলে চুপসে যেতাম যদি’বা সামনের টুকু থেকে মুক্তি পেতাম
শ্রমের বিনিময়ে উপার্জনটা মিলবে কবে সেটাও আজানা! আরোও এমকি চোখে মুখে ঝাপসা ছাপ থাকে সেই সময়টাতেও যখন মানুষ আপনজনদের নিয়ে উল্লাস মুখর থাকে সেই ঈদ নামক দিনটির আগের দিন থাকে তাদের কাছে বিষাদময়, বেতন হবে কি? কিংবা মাঝে মাঝে স্রষ্টার কাছে দোয়াও করতে হয় বোনাস নামক শব্দটি স্পর্শ করবে তো আমায়। কষ্ট শেয়ার করলে হালকা হওয়া যায় আজ জানান দিলাম তাই প্রাইভেট কষ্টগুলো।
মহোদয় এটাও জানি আমাদের সবার প্রত্যাশা টা অনেক বেশি। হবে না জেনেও আমরা আমাদের এতো এতো প্রত্যাশা নিয়ে সকালটা শুরু করি। অফিসে পৌঁছে যখন নিজের অবস্থা ও দেশের অবস্থা আবিষ্কার করি কিছু সংখ্যা লঘু দুর্নীতিবাজ মানুষের কাছে দেশটা জিম্মি তখন আর কিবা আমাদের করার থাকে, সেই “মা”কে ঘৃণা করি দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি।
রাত গড়ালে সেই “মা”কে (মানচিত্র) আঁকড়ে ধরে ঘুমিয়ে পরি, পরের দিন গুলো ভালো কাটবে বলে। আমাদের হতাশা গুলো দেখার কেউ নেই? বলতে ইচ্ছে করছে না আর তবুও বলি, সরকারী ছুটি গুলোও কি শুধু সরকারী চাকুরীজীবিদের? সেটা মনে করে আমরা মাঝে মাঝে সেই বিনোদনের দিনগুলো অফিসে কাটাই। হতাশ হয়! এতো কিছু বিসর্জন দেওয়ার পরও আমরা আমাদের সেক্টরের উন্নতি দেখার একটা মানুষ খুঁজে বেড়ায়। আশার আলো দেখবো বলে কষ্ট গুলো ব্যক্তিগত ফোল্ডার করে রাখি আর বন্ধ রুমে চিৎকার তুলি শুধু পরিবার না আমাদের কষ্টগুলো রাষ্ট্রও বুঝেনা।


ক্রেডিটঃ আমিরুল ইসলাম রাকিব

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৩

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: কথাগুলো খুবি কষ্টের।

২| ২৬ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কষ্টের জীবন।

৩| ২৬ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব দুনিয়া খুব কঠিন।

৪| ২৬ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বাস্তবতা :(

৫| ২৬ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:৫১

সুমন কর বলেছেন: সত্য সব কথা।

৬| ২৬ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৮

রাকু হাসান বলেছেন:

যদি ভুল না হয় ,আমাদের বেসরকারী চাকুরিজীবীদের সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই । যা অতীব দরকার । এটা যেই কেউ করলে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবেই । দেশের বৃহৎ জনগোষ্টী বেসরকারী চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে অথচ তাদের জীবিকার নিরাপত্তার আশ্বাস কেউ ই দিচ্ছে না । এই রকম সমস্যা হাজারো হচ্ছে । সমাধান কবে হবে ?

৭| ২৭ শে মে, ২০১৯ ভোর ৬:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এ্ই্ দেশের মানুষগুলোর মাঝে এতো বেশী সমস্যা। কোন কিছুই দেখি ঠিক নাই।
সব জায়গায়ই বঞ্চনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.