somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিউটনের গল্প, আপেল এবং নীল চোখের মেয়ে

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বেচারা নিউটন বলেই ইতিহাসে এমন খ্যাপানি!
বিজ্ঞানী হলে কি এমন জগরঢব হতে হবে? ক্যালকুলাসের মত খটমটে তত্ত্ব তার মাথায় ঢুকে থাকলো এগারো বছর। মাশাল্লাহ কি চুল। কিন্তু সেই চুলে জট কিছুতেই খোলে না। ডাক্তার বললেন, বাবু, কয়দিন বাগানে গিয়ে বসো।
চায়ের কাপ নিয়ে বসন্তের দখিনায় চা খাবেন অমনি ধপ করে ডাঁসা বিলাতি আপেল মাথায় পতিত হল। তালুর সাথে আপেল ঢুস খেতেই পঁই পঁই করে মধ্যাকর্ষনের নিয়ম বের হলো। বন্ধুরা বললো সংসার করে ফেল, নিটু। পাদ্রীর মেয়েটা ধর্ম মানে টানে, আর সুচিত্রা(!) কাট।
মধ্যাকর্ষ বাদ দিয়ে এখন সংসারী হ!


পরের ঘটনা অনেকেই জানে। নিউটন চক নিয়ে প্রেমের সূত্র বের করলেন। ১+১=২ সুতরাং সংসার দরকার আছে। মেয়ে আসলো। বেশ এডভান্সড মেয়ে। রয়্যাল সোসাইটির বিজ্ঞানীর বউ হতে চায়। কথা বলতে বলতে মেয়েটা দেখলো এই জ্ঞানবাউল তার চোখের দিকে চেয়ে। আমি নিশ্চিত ঐ লোক তখন আলোর কণিকা তরঙ্গ দেখছিলেন। তাকিয়ে থাকতে থাকতে এমনই হয়ে গেল মন যে মেয়েটা দেখলো তার হাত মুঠো করে ধরে ফেলেছে। হয়তো সিনেমা ভেবে গদগদও হয়ে গেল তার মন। কিন্তু দেশলাইয়ের কাঠিটা সহসা তার আঙুলে ধরিয়ে টানতে যেতেই সম্বিত ফিরে আসে নায়িকার।
স্যরি ম্যাডাম, আমি চুরুট মনে করে ভুল করে আঙুলে আগুন দিয়েছি। ক্ষমা করবেন। মেয়েটি উঠে যাবার আগে বললো, রসো, তোমার কথা বলছি বাপকে। বিয়ে না ঘণ্টা হবে। বিজ্ঞানের দুনিয়াকে ক্ষমা কতজনই করতে জানে।
আমি আবার বিজ্ঞানের ছাত্র। তারপরও রমণীর চোখ যতটা ভাললাগে নিউটন টিউটন অতটা ভাল লাগে না। হাতের উপর হাত না রেখে সুন্দরী মেয়েটিকে পুড়িয়ে দেয়া আমার অন্তরে লাগলো। আপনি কি করতেন বলেন?
সে দিন বসুন্ধরার সিঁড়ি দিয়ে উঠতে দেখলাম পরিচিত মুখ। কেমন আছে জিজ্ঞেস করেই বললো, তর্পন, হকিংস বলসে বেহেস্ত দোজখ নাই। এখন কি হবে আমাদের? আমি বললাম যারা মানবে তারা দোজখে যাবে। পূন্য করলে বেহেস্তে যাবে। আর যারা মানবে না কোথাও যাবে না। ব্যাস!
হকিংস কি বেশি জানে?
আমাদের চাইতে বেশিই জানে। কিন্তু বেহেস্ত থাকার পিছনে একটা রোম্যান্টিক স্বপ্ন আছেই। সব মুসলমান একদিন বেহেস্তে যাবে। গেলে হীরায় খচিত সুনয়না সব নর্তকী আসবে। হকিংস ভাল ভাল কাজ করেছে কিন্তু একদিন ব্যাটা পস্তাবেই।
আমি বললাম, মিনারা, সারাজীবন দেখলাম তোর কাল চোখের, এখন চোখ নীল হলো কেমন করে?
কনট্যাক্ট লেন্সের উত্তরটা যে খোঁচা সে বুঝে যায়। ফুডকোর্টে বসে নীল চোখের কথা তুলতেই আমি বলে ফেলেছিলাম নিউটনের কথা। বললাম জানিস, পুস্তকে পড়লাম মানুষের চোখ হলো চারশ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার মত।


হোয়াট ইজ পিক্সেল? মেগা পিক্সেল?
এটা কগনিশান সাইন্সে অলরেডি উঠে এসেছে।
এসব পিক্সেলের তত্ব আর জ্ঞান বিজ্ঞানের কথা যেই শুরু করলাম অমনি ব্যস্ততার অজুহাতে সে অন্য দিকে পা বাড়ালো।
পিক্সেল শব্দটা বলার উদ্দেশ্য না। কিন্তু আমার মাথা আসলো আসলে যে ভাবে ক্যামেরার মেগাপিক্সেল বাড়ছে।
সবচেয়ে বেশি মেগাপিক্সেল ক্যামেরা কত হবে?
মানুষের চোখের রেটিনা হলো তার ফিল্ম। সেটা কিন্তু অত হাই রেজুলেশন না। কেউ বলে মাত্র পাঁচ মেগাপিক্সেল। কিন্তু চোখ ভিডিও ক্যামেরার মত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে চারপাশের ছবি নিয়ে জোড়া দিয়ে একটা বড় ছবি বানায়। সেটা ৩২৪ মেগাপিক্সেল। যদি কেউ চোখের বল ঘুরিয়ে এপাশ থেকে ওপাশ দেখে তাহলে পুরো ছবিটা মাথায় আসে ৫৭৬ মেগাপিক্সেলের। সুতরাং যদি ৫৭৬ মেগাপিক্সেলের বেশি রেজুলেশনের ক্যামেরা আসলে লাভ নেই। থাকলেও সেটা পুরো দৃশ্যকে একবারে দেখাতে পারা যাবে না। চোখের লেন্সটা ভাল হলেও তার ক্লিয়ার দেখার ক্ষমতা শুধু মাঝখানে চারপাশে ফেইড ফেইড লাগে। আর যারা আরো বিজ্ঞ তাদের জ্ঞাতার্থে এর আইএসও হলো মাত্র ৮০০। অন্ধকার বাড়লে তাই মানুষ অন্ধ হয়ে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭
৪৫৬ বার পঠিত
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গাজী মুক্ত সামু!!

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২







মনপুরা মুভিতে একটা ডায়ালগ ছিলো যে, গাজী বেটারে তুমি চিনো না, বেশি ফাল পাইরো না। এদিকে ব্লগের গাজীকে সবাই চিনে, যারা লাফালাফি করে তারা ব্যবস্থা নেয়,গাজী কিছু করতে পারে না,ব্যান... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মবিদ্বেষের উদ্দেশ্য-বিধেয়

লিখেছেন জটিল ভাই, ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি নেট হতে)

গত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সবাই মিষ্টিমুখ করুন

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৪



কোণ খুশিতে যদি কেউ জিজ্ঞাষা করেন, তবে বলব আপনি আপনার মত করে ভেবে নিয়ে খান। তবে কোন মিষ্টিটা খাইলেন , তা জানাতে ভুইলেন না কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদ গাজীর ব্যান তুলে নিন/ ব্লগ কর্তৃপক্ষ ‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩




আমি যদি গাজী’ ভাইয়ের যায়গায় হতাম জিবনেও সামু’তে লেখার জন্য ফিরে আসতাম না।
হয় বিকল্প কোন প্লাটফর্ম করে নিতাম নিজের জন্য। অথবা বাঁশের কেল্লার মত কোথাও লিখতাম।
নিচে ব্লগার মিররডডল-এর করা পুরো... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের মতো প্রতিষ্ঠানের উচিত তাদের অবস্থান পুনর্মূল্যায়ন করা এবং বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া।

লিখেছেন জ্যাকেল , ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৫

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ভূমিকা বরাবরই সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে গণমাধ্যমের কাজ হলো সত্য প্রকাশ, জনমতের প্রতিনিধিত্ব এবং গণতন্ত্রকে সুরক্ষা দেওয়া। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠেছে যে, বাংলাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×