কঠিন মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গিয়েছে জলিলের। চোখে এঃখনো অন্ধকার দেখা শুরু হয়নি। তবে এটা নিশ্চিত যে কিচুক্ষনের মধ্যে চোখে অন্ধকার দেখতে হবে। হয়তো মাথা ঘুরে পড়েও যাবে সে। তার মাঝে মাঝে এমন হয়। তীব্র মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে অজ্ঞান হয়ে যাবার একটা ছোট্র রেকর্ড ও তার আছে।
তখন চৈত্র মাসের প্রথম রোদ পড়া শুরু করেছিলো। ছাতা ছাড়া সৌখিন অসৌখিন কেউই বের হচ্ছিলো না ঘর থেকে। জলিল বের হলো। তার জরুরী কাজ আছে। রমজানবিবির বাজারে তাকে যেতেই হবে। তা না হলে টাকাও যায় সুযোগ ও যায়। কেরামত অনেকদিন আগের পুরনো লেনদেন সেরে ফেলবে বলে কথা দিয়েছে। "বলি জলিল বাই আর কোন পানাদেনার মাঝে আমি আর থাকমু না। আইজই খতম করমু তোমার দেনা।" বলেই হেসে ফেললো। হাসি দেখে জলিল সত্যি সত্যি ভয় পেয়ে গেল। এমনিতেই শালা দেনা পরিশোধ করে না আবার এ বলে কি না আজই শেষ? জলিল তাকে বারবার রিকোয়েস্ট করেছে, কেরামত আমার জরুরী টাকা দরকার বাই!
দরকার তো কি টাকা তো দিমুই কইলাম।
জলিল বিশ্বস্ত মনে ছাতা টাতা বাদ দিয়ে হাটা শুরু করে দিল। একটু আসার পরই তার শরীর ঘামতে শুরু করল। চোৎখে কি যেন দেখতে লাগলো। রাস্তা আর দেখে না। এক সময় ধপাস করে পড়ে গেল।
আজো জলিলের উদ্দেশ্য পাওনা টাকা আদায়। তবে টার্গেট কেরামত নয়। এবারের টার্গেট খোদ জলিলের ভাই খলিল। টাকাও নেহাৎ কম নয়। পাঁচ লাখ আটাশ হাজার। একটা জায়গা মাত্র জলিলের অবশিষ্ট ছিলো। খলিল ক্যাঁক করে ধরল, ভাই এইটা আমারে দেন, আমােগা নিজেগো মইধ্য খানে আর কেউ দালাল গিরি তো করতে পারবো না তাই না?
চলবে......
১. ২৮ শে মার্চ, ২০১০ রাত ২:৫২ ০