প্রথমত, বর্তমান সরকার হলো ইউএসএ ব্যাকড এনজিও সরকার। বিপ্লব হলেও তা বিপ্লবী সরকার গঠন করতে পারেনি।
সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে বড় একটি অংশ এসেছে এনজিও ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে। এবং আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ডের কোন লোক নেই। এর মূল কারণ কোন একটা গোষ্ঠী চায়নি এখানে কোন রিটায়ার্ড পলিটিক্যাল বা সেমি পলিটিক্যাল লোক থাকুক। অবশ্য আসিফ নজরুলকে সেমিপলিটিক্যাল হিসেবে ধরা যায়।
দ্বিতীয়ত, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোন সরকারের বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়। কারণ অনির্বাচিত ব্যাবস্থায় অন্তত নিজের দলের মধ্যেও জবাবদিহিতার ব্যাপারগুলো থাকে না। যার ফলে সামগ্রিকতাকে বাদ দিয়ে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর চাওয়া-পাওয়ার প্রতিফলন তৈরি করা যায়।
তৃতীয়ত, আমেরিকান হেজিমনি ও এনজিও'র কিছু প্লান ও প্রয়োগ আছে, যা বাংলাদেশের গণমানুষের চাওয়া-পাওয়া বিরুদ্ধ। এদের বেশকিছু ধর্ম বিধ্বংসী অপ-তৎপরতা ও এজেন্ডা এদেশের ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক। দেশ সংস্কারের জন্য এখনও সর্বদলীয় কমিটি দেখিনি। রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপি-জামায়াতসহ বাংলাদেশের অন্যান্যদলগুলোর অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো নয়।
আর একারণেই পরাজিত শক্তির বিচারহীনতা, পুনর্বাসন ও বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসার অভাব দেখতে পাচ্ছি।
তা-ই বর্তমান সরকারের ভবিষ্যৎ প্লান প্রকাশ, সর্বদলীয় কমিটি গঠন ও নির্বাচনের রূপরেখা প্রণয়ন আজকের দিনের সময়ের দাবি।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪