আমি ছিলাম একা,
নিঃসঙ্গ এক তরুণ;
বয়স আঠারো কিংবা উনিশ;
সুকান্তের ভাষায়- এ বয়সেই
রক্তে থাকে উন্মাদনা,
মন থাকে উন্মাতাল;
বেদনায় এ বয়সই কাঁপে থরোথরো।
হয়তো আমিও তাই-
নিজের একাকীত্ব নিয়ে বিষন্ন ছিলাম।
হঠাৎ তোমার আবির্ভাব হলো,
সান্তনার বাণী শুনিয়ে বললে-
ভালবাসি।
আমি ছিলাম একা-নিসঙ্গ,
ভাল লাগল সেকথা,
মিশে গেলাম তোমাতে,
দুজনে হলাম একাত্ম।
তারপর কত সুর-ছন্দ,
কত হাসি আর আনন্দ;
ভাসত কত স্বপ্নের খেয়া।
অনুভবে লাগাতো দোলা
তোমার প্রতিটি ছোঁয়া।
এই নিঃসঙ্গ আমি
জীবনের নতুন এক স্বাদ পেলাম।
কতইনা মধুময় আর বর্ণিল ছিল
স্বপ্নীল সে দিনগুলো।
কিন্তু সুখ সেতো ক্ষণস্থায়ী;
নিমেষের তরেই পাওয়া যায়।
হয়তো হারাবো বলেই তোমায় পেয়েছিলাম।
সত্যিই কি পেয়েছিলাম?
প্রশ্ন তোমার বিবেকের কাছে।
তুমি একদিন দেখা দিলেনা,
বললে আমিও যেন ভুলে যাই তোমাকে।
কিন্তু, ভুলব কি করে?
তোমাকে ছাড়া যে আমি একা,
একা আর নিঃসঙ্গ।
ছুটলাম হাহাকার করে-
তুমি ফিরে তাকালে একবার
হেসে কথা বললে।
কিন্তু বুঝিনি কি ছিল সেই হাসিতে,
আমি কি বিদ্রূপের পাত্র?
এই কি সেই তুমি?
অনেক দিন কেটে গেছে।
এতদিনে আমাকে ভুলেছ নিশ্চয়!
হয়তো অনেক সুখে আছো;
আর আমি সেই- একা আর নিঃসঙ্গ।
আজ ভাল লাগে এই একাকীত্ব;
আমি আজ ভালবাসি-
এই নিঃসঙ্গতাকেই।
তাইতো আজও আমি
একা আর নিঃসঙ্গ...।