ব্যবিলনীয়দের (অথবা ইরাকীদের পুর্বপুরুষদের) ধর্ম বিশ্বাসের সাথে এসব কাহিনী জড়িয়ে ছিল। কোন সন্দেহ নেই আজকের যুগের ধর্মীয় কাহিনী আমরা যেভাবে বিশ্বাস করি পাচ হাজার বছর আগে উরুক, বা সুমেরের লোকজন সেভাবেই গিলগামেশ, ইসথার বা আল্লাতুর কাহিনী বিশ্বাস করত। ধর্মীয় এসব কাহিনী মজাদার এবং যথেষ্ট কৌতুহলোদ্দিপক সন্দেহ নেই। অনেক ক্ষেত্রে কাহিনীর পেছনে বেশ কিছু বক্তব্যও লুকিয়ে আছে। কিন্তু বক্তব্যের বাইরেও সুমের বা উরুকের লোকেরা নিশ্চয়ই বিশ্বাস করত পাতালে আল্লাতুর সত্যই অস্তিত্ব আছে। সে মৃতদেরকে পাহারা দিচ্ছে। গ্রীক বা রোমানদেরও এরকম অসংখ্য কাহিনী, দেব দেবী ছিল। দেবরাজ জিউস ছিলেন (এখনও আছেন কি?) বজ্রের দেবতা, ভীনাস ভালোবাসার, অথবা পসাইডন সমুদ্রের ইত্যাদি।
তো এসব দেবদেবীরা এখন কোথায়। জিউস কি এখনও ঝড়বৃষ্টি নিয়ন্ত্রন করছেন, নাকি সময়ের পরিবর্তনে এসব দ্বায়িত্ব এখন মাইকেল (মিকাইল?), গ্যাব্রিয়েলদের হাতে। ক্ষমতার এই হাত বদল কবে হল, এই কাহিনী কোথায়, অন্তত কোন ধর্মগ্রন্থে জিউসের কাছ থেকে মাইকেল দ্বায়িত্ব নিচ্ছে এমন বৃত্তান্ত চোখে পড়ে নি। আর পাচ হাজার বছর পর আল্লাতু এখন কোথায়, পাতালে কি সে এখনও মৃত্যুর দেবী, না কি আজরাইল সেই দ্বায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে।
আমার কেন যেন মনে হয় এসব অজস্র দেব-দেবী-দেবদুতদের অনেকেরই আসলে মৃত্যু হয়েছে। মৃতের দেবী আল্লাতু বহু আগে নিজেই মারা গেছে। আর ক্ষমতার হস্তান্তর হয়েছে যখন শেষ সুমেরিয় আল্লাতুর পূজা বাদ দিয়ে মাইকেল-গ্যাব্রিয়েলের কাহিনীতে নাম লিখিয়েছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে দেবতারাও আসলে অমর নন, দেবরাজ জিউসকেও ইতিহাস রেহাই দেয় নি, আজকে আর পূজা মন্ডপে, টেম্পলে জায়গা হয় না জিউসের, গল্পের বইয়ের কল্পকাহিনীতেই জিউস সীমাবদ্ধ।
কিন্তু দেবতারা কেন মরল? আমার[link|http://www.somewhereinblog.net/utsablog/post/5065|GKUv
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৬ রাত ১০:০০