স্পর্শ করে যাই...
মাঝ দুপুরে হঠাত সেদিন
আচমকা সব পড়লো মনে...
অতঃপর তার ফিসফিস করে বলে যাওয়া কথার মানে আমি বুঝতে পারি। একটা বছর পেরিয়ে গেলো তাহলে সত্যি!
পুরনো সব বন্ধুদের কথা মনে হয়। অথবা বন্ধুতা কি পুরনো হয় আদৌ? ... বাকিটুকু পড়ুন
মাঝ দুপুরে হঠাত সেদিন
বিকেলবেলাটায় বেশ ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যায় বারান্দায় বসলে। গ্রীলের ওপাশে চোখ পেতে দোদুলকে দেখি আমি মুগ্ধ হয়ে। মাঠ নেই খেলার, তবু ভাগ্যিস আবাসিক এলাকা বলে বাসার সামনে এইটুকুনি রাস্তাটা পেয়েছে, যেখানে বড় যান চলে না। সেই সেইটুকুনি রাস্তাতেই কয়েকটা ইট একটার ওপর একটা সাজিয়ে উইকেট বানিয়ে ব্যাটসম্যান সেজে দাঁড়িয়ে গেছে... বাকিটুকু পড়ুন
আবার সংসারে প্রবেশ করলো রাহেলা। বহুদিন পর কর্তৃত্ব হাতে পেলো। তার ছয় বছরের ছোট্ট মেয়েটিকে নতুন স্বামী অনাদর করলো না মোটেই। নিজের ওই বয়েসী নাতি আছে, সমস্যা কি! নতুন চার ছেলেমেয়ের সাথে পরিচিত হলো রাহেলা। ছোট মেয়েটা ছাড়া বাকি প্রত্যেকেই তার চেয়ে বয়েসে অন্তত পাঁচ-ছ বছরের বড়। ছোটটা তার সমবয়েসী।... বাকিটুকু পড়ুন
রাহেলা এক নিমিষে বুঝে ফেলে কি ঘটেছে। মাথায় রক্ত উঠে যায় তার। ভেবে পায় না একটা মানুষ কোন পর্যায়ে গেলে নিজের বউ আর বাচ্চাকে না খাইয়ে নিজের ফুর্তির টাকা যোগায়। আজ একটা কিছু রফা করবেই স্বামীর সঙ্গে। গোঁজ হয়ে বসে থাকে আরমানের ফেরার অপেক্ষায়। রাত বাড়ে। এক সময় আরমানের খটখটি... বাকিটুকু পড়ুন
রাহেলা প্রবেশ করলো তার নিজের নতুন সংসারে। তার স্বামী আরমান অনাথ। এক সময় অবস্থাসম্পন্ন পরিবার ছিলো যার চিহ্ন রূপে রয়ে গিয়েছে বিশাল বাড়িটা। একমাত্র বোনটার বিয়ে হয়ে গিয়েছে গত বছর। খালি বাড়িতে রাহেলা একেবারে নিজের মত করে শুরু করলো তার সাধের সংসার। বিয়ের ঠিক পরের কটা দিন কেটে গেলো স্বর্গের... বাকিটুকু পড়ুন
--রাহেলা,অজুর পানিটা দিয়ে যাও তো।
হঠাত ডাকে সচকিত হন রাহেলা বেগম। জমে যাওয়া পায়ে ধীর গতিতে হেঁটে যান স্বামীর কাছে। অপলক তাকিয়ে থাকেন। ভুলে যান স্বামীর আদেশ। ফের ডাক পড়ে।
-- কি দেখো তাকিয়ে, কথা কানে যায় না? সারা দিন কোন ধ্যানে যে থাকো? আমার প্রথম বউ তো এরকম বেয়াদবী... বাকিটুকু পড়ুন
রাতের বেলা এসব কি হয় ইদানিং ব্লগে? অসুস্থ একটা পরিবেশ।
সংগীর অভাব আমার হয় নি কোনদিনই -
আমি তোমাকে এত বেশি স্বপ্ন দেখেছি যে তুমি
একটা সময় মরতে তাকে হতই হয়ত। ক্ষিদের জ্বালায়, নয়ত বখাটেদের অত্যাচারে আত্মহত্যায়। নয়ত নিজের পেটের ক্ষিদে নেভাতে আরেকজনের শরীরের ক্ষুধা মেটানোর পয়সায়, প্রতিনিয়ত ধুকে ধুকে।
অথবা বাঁচার ছোট্ট একটা স্বপ্ন হয়ত বাকি ছিলো তার। সেলাই মেশিনের সাথে সাথে মেশিন হয়ে যাওয়া হাত দু'টোর দিকে কখনও তাকানোর অবকাশ কি পেতো সে? যদি... বাকিটুকু পড়ুন
[অনুগল্প]
একটু আগে রুমের শেষ জেগে থাকা সদস্য হিসেবে আলো নিভিয়ে বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে পড়েছি। সোজা ঘরের সিলিংয়ে চোখ। এরপর দৃষ্টির ভ্রমণ। ঘরের সাথে লাগোয়া বারান্দার পাশে কৃষ্ণচুড়া গাছ, পূর্ণিমার আলোয় তার কি অপূর্ব ছায়া পড়েছে ঘরের দেয়ালে! আলোছায়ার এই সৌন্দর্য আজ বহু দিন পরে যেন আবার নজরে এলো আমার।... বাকিটুকু পড়ুন
"Happy Mother Day! On this special occasion, wish your mother with warmest greetings.Visit wap......and send Mother's day cards to show that you care" সারাদিন কেটে গেছে এইসব আবেগ মথিত কথায়, টিভিতে, পেপারে, ব্লগে, রাত সাড়ে ন'টায় আবার টেলিকম কোম্পানির এস এম এস। ব্যাটা,আমার মা'কে উইশ করার জন্য তোমাদের ওয়েবসাইটেই... বাকিটুকু পড়ুন
সহজ সাধারণ জীবনযাত্রার কিছু সাধারণ মানুষ। আত্মকেন্দ্রিক সীমাবদ্ধতায় চারপাশটার দিকে ভালো করে তাকানোরও হয়ত সময় মেলে না। কিন্তু সেই ভীষণ সাধারণের মাঝে কেউ কেউ থাকে যারা নিরবে দহনজ্বালায় পোড়ে, নিজের মাঝে, অবিরত। বোধের জগতে আলোরণ ওঠে নিয়ম করে... ব্যক্তিগত জীবনযাত্রার বাইরে কিছু না করতে পারার আকুতি প্রতিনিয়ত ধাক্কা দেয় নিজের... বাকিটুকু পড়ুন
"চিরসখা, ছেড়ো না মোরে ছেড়ো না।
একটা ধাক্কা মারা সময়। যে পথে চলার কথা ছিলো একসাথে হাত ধরে-- বন্ধুতায়, ভালোবাসায়, বিশ্বাসে ; সেই পথে চলতে গিয়ে বন্ধুতায় ধরে রাখা হাতগুলো কেমন করে যেন ঘেমে-নেয়ে পিছল হলো...
এরপর? আলাদা হয়ে যাবে কি সেই হাতগুলো? নাকি আরো আঁকড়ে ধরবে পরস্পরকে?
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, হারিয়েই যাবে কি? একেবারেই?
হায় "বিশ্বাস"...হায় আমার এতদিনের শ্রেষ্ঠতর... বাকিটুকু পড়ুন