নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এখনো আমি যোদ্ধা, যেমনটা ছিলাম সৃষ্টির শুরুতে

খান সাইদুর রহমান

এখনো আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে খুনি নিঃশ্বাস টের পাই,এখনো আমার বুকের পাজরের নিচে রয়েছে দগদগে বেয়নেটের, ক্ষতমগজের প্রতিটি কোষে কোষে এখনো সেই বিভীষিকার কর্কশ স্বপ্ন।এখনো আমি যোদ্ধা, যেমনটা ছিলাম সৃষ্টির শুরুতে।

খান সাইদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বদলে যাওয়া জলবায়ু এবং ক্যাকটাস খাওয়া মানুষদের কথা

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০২



একজন মানুষ ক্ষুধায় কতোটা কাঁতর হলে পাথর গুড়ো করে পানিতে মিশিয়ে খায়। একজন মানুষ কতোটা অসহায় হলে কাঁটায় ভরা বিষাক্ত ক্যাকটাস চিবিয়ে খায়। একজন বাবা-মা কতোটা অসহায় হলে তার দুই সন্তানকে ফেলে রেখেই পাড়ি জমায় শুধুমাত্র নিজেরা বাঁচার জন্য। একজন শিশু কতোটা নিঃস্ব হলে পুরো শৈশব-কৈশোর কাটিয়ে দেয় ক্যাকটাসের পুষ্টিগুণহীন লাল ফল খুঁজতে খুঁজতে। পানির অভাব কতোটা তীব্র হলে একজন মানুষ তার সারাটা জীবন কাটিয়ে দেয় কখনো গোসল না করেই।



আমরা মুখে বিশ্বায়নের কথা বলি, বিশ্ব পরিবর্তনের কথা বলি, জলবায়ু পরিবর্তনের কথা বলি। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব যে কতটা মারাত্মক হতে পারে তা কী আমরা একবারও ভেবে দেখেছি, অনুভব করার চেষ্টা করেছি? আসলে ভরপেটে শহরে উঁচুদালানগুলোর আরামদায়ক কামরায় বসে কল্পনার ঘোড়া হয়তো চাঁদ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যায়, কিন্তু এই মানুষগুলোর কষ্টের ধারেকাছেও আমাদের কল্পনা কখনো পৌছাতে পারে না। পারা সম্ভবও নয় কখনো।



বাংলাদেশ নিজে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বদলে যাওয়া পরিস্থিতির হুমকির মুখে আছে। হুমকির মুখে আছে আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলের লাখো জনগন। উপকূলীয় এলাকায় এখনো এমন কিছু এলাকা আছে যেখানে উপহার হিসেবে কাউকে টাকা না দিয়ে এক বোতল পানি দিলে তাদের মুখে হাসি ফোঁটে। সুপেয় পানির সেখানে এতটাই অভাব। .যদিও এই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য তারা বিন্দুমাত্রও দায়ী নয় তবুও তাদেরই এজন্য সবচেয়ে বেশী ভুগতে হয়, কষ্ট করতে হয়।



সারা বিশ্বে কার্বণ নিঃসরণের প্রায় ২৫ ভাগই করে যুক্তরাষ্ট, যদিও যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা কখনোই একথা স্বীকার করেননি। গত প্যারিে অনুষ্ঠিত ধরিত্রী সম্মেলনে বারাক ওবামা এই প্রথা ভেঙ্গে প্রথমবারের মতো জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেন এবং এই সমস্যা মোকাবেলার জন্য ফান্ড গঠনেরও প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু নির্বাচনের প্রচারণা চালানোর সময় থেকেই প্রেসিডেন্ট পদে সম্প্রতি বিজয়ী হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তনের কথাই অস্বীকার করে আসছেন এবং ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর এই তহবিলও তিনি ভেঙ্গে দেবেন।



আগে থেকেই যারা শুধুমাত্র ক্যাকটাস এবং পাথর গুড়ো খেয়ে বেঁচে আছে ট্রাম্পের এই গোড়ামী এবং অদূরদর্শীতার কারণে ভবিষ্যতে তাদের কপালে হয়তো সেটুকুও জুটবে না। আফ্রিকার হতদরিদ্র এবং দূর্ভাগা সেই মানুষগুলোর জীবনের কষ্ট্রের কথা তুলে এনেছেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের কলামিস্ট নিকোলাস ক্রিস্টোফ। ক্রিস্টোফের চোখে অন্তত একবার তাকিয়ে দেখুন আপনার এতদিনের অগ্রাহ্য করা দুনিয়াটাকে, আর প্রস্তুতি নিন এভাবেই চলতে থাকলে একদিন ওদের মতোই পরিস্থিতির শিকার হতে হবে আপনাকে, আমাকে, আমাদের সবাইকে।

নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত নিকোলাস ক্রিস্টোফের কলামটি পড়তে ক্লিক করুন এখানে



মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

অপ্‌সরা বলেছেন: এত কষ্ট ভাইয়া।
ক্যাকটাস খেয়ে থাকে এরা সত্যি জানতামও না!

আমাদের তো কিছুই করার নেই।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬

খান সাইদুর রহমান বলেছেন: সত্যিই কষ্ট হয় ওদের জন্য

সত্যিই বড় নিদারুন কষ্টকর ওদের জীবন

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্বে প্রতিটি জাতির কাছে যথেস্ট সম্পদ আছে, যাতে জাতির সবাই ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারে; কিন্তু হিলারী, ট্রাম্প, সালমান রহমান, কর্ণেল ফারুক, তারেক জিয়া, জয়েরা প=রয়োজনের বেশী দখল করে রেখেছে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

খান সাইদুর রহমান বলেছেন: মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ ৯০ শতাংশ সম্পদ দখল করে রেখেছে দেখেই তো বাকী ৯০ শতাংশ মানুষকে মাত্র ১০ শতাংশের উপর নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। কেউ কেউ পারছে, আর যারা পারছে না তাদের দিন কাটছে চরম দারিদ্র আর হতাশায়

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সত্যিই মর্মান্তিক, এই ক্যকটাস কি আদৌ খাওয়া যায়!!

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫২

খান সাইদুর রহমান বলেছেন: ক্যাকটাসে পুষ্টিগুণের ছিটেফোটাও নেই, তার উপর এর গা কাঁটায় ভরা। কাঁটা তুলে অল্প পানিতে সেদ্ধ করে খায়, সেদ্ধ না করতে পারলে কাঁচাই চিবিয়ে খায়। আসলে বর্তমানে ক্যাকটাস ছাড়া ওই বিরানভূমিতে খাওয়ার মতো ঘাসও অবশিষ্ট নেই। তাই খাওয়া না গেলেও খায়, শুধুমাত্র পেট ভরানোর জন্য খায়

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আফ্রিকার হতদরিদ্র এবং দূর্ভাগা সেই মানুষগুলোর জীবনের কষ্ট্রের কথা তুলে এনেছেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের কলামিস্ট নিকোলাস ক্রিস্টোফ।

যেহেতু নিকোলাস ক্রিস্টোফ তাদের কথা তুলে ধরেছেন তাই তাদের কষ্টের দিন শেষ হতে চলল। অবাক হচ্ছেন! অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ, তাদের উদ্ধার করতে খ্রিস্টান মিশনারীরা এগিয়ে আসবেন। এতে একদিকে মানবতা রক্ষা হবে আবার অন্যদিকে ঈশ্বর পুত্রের দলও ভাড়ি হল। অপর দিকে অসহায় মানুষগুলো একটু ভালোভাবে বাচল।
সেটাই হউক।
ঈশ্বর যেহেতু এই মানুষগুলোর দায়িত্ব নেয়নি সেহেতু তাদের জীবন বাচিয়ে রাখার দায়িত্ব মিশনারীদের উপ্রে ব+র+তা+য়।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৬

খান সাইদুর রহমান বলেছেন: নিকোলাস ক্রিস্টোফ তার ভিডিওতেই দেখিয়েছেন যে ইতোমধ্যে ইউএসএইড এবং একটি খ্রিস্টান মিশনারী সংস্থা বেশ কিছু শিশুকে স্কুলে ক্লাস করার বিনিময়ে এক বেলা করে খাওয়ায়। আগামীতে হয়তো আরো অনেক সংস্থাই যাবে। আফ্রিকার এই জনগোষ্ঠীকে তাদের দেশ, সরকার এমনকি খোদ ঈশ্বরও হয়তো ভুলে গেছেন। ঈশ্বরের পুত্রের দলে যোগ দিয়ে যদি অন্তত বেঁচে থাকতে পারে তাতেই বা খারাপ কী

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০১

রাজীব নুর বলেছেন: আহারে.।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৭

খান সাইদুর রহমান বলেছেন: সত্যিই দুঃখজনক

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: খান সাইদুর রহমান ,




প্রকৃতির সতীত্বে হাত দিলে প্রকৃতি ছেড়ে কথা কয়না । আজ অথবা কাল সে প্রতিশোধ নিয়ে ছাড়েই ।
আফ্রিকার অনেক দেশে অমন অসহায়ত্ব নতুন কিছু নয় ।
কোন মানুষই সভ্যতার উত্তারাধিকারের দায় থেকে মুক্ত নন ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

খান সাইদুর রহমান বলেছেন: প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নেবেই এবং নেয়ও। কিন্তু প্রতিশোধের ধকলটা যারা সবচেয়ে বেশী পোহায় কখনো কখনো তাদের একেবারেই কোন দোষও থাকে না। আর রাঘব বোয়াল অপরাধীরা বেশীরভাগ সময়েই পার পেয়ে যায়

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৪

রাতুল_শাহ বলেছেন: তারা চাঁদের দেশে মঙ্গল দেশের খোঁজ নিয়ে পুলকিত হয়, জ্ঞানী বিজ্ঞানী হয়, বিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করে।
কিন্তু আফ্রিকার এইসব হতদরিদ্রের খোঁজ নিয়ে মানবতার পরিচয় দেয় না।
আমরা কেউ এই দায় থেকে মুক্ত নয়।
আমরা দু:খবোধ করে থেমে যাই, দু:খবোধের পরে আর ভাবি না।

যাইহোক, তাদের দু:খ দুর্দশা দূর হোক এই প্রার্থনা করি।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০২

খান সাইদুর রহমান বলেছেন: খোঁজ নেওয়া তো দূরে থাক, তারা তো কখনো স্বীকারই করেনি যে এটি তাদের ভুলেই হয়েছে। এক ওবামা যাও একটু করার চেষ্টা করেছিল ট্রাম্প তো ক্ষমতায় আসার আগেই ঘোষণা দিয়েছেন যে ক্ষমতা নিয়েই তিনি এই তহবিলই বাতিল করে দেবেন।

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: ওবামা অনেক কিছু করতে গিয়ে সাহস করতে পারেনি। শেষ সময়ে একটু সাহস করার চেষ্টা করেছিলো, সেটা ট্রাম্প ট্রাম্প করে নিজে কন্ট্রোলে করে নিয়েছে।
হিলারী ১ম মেয়াদে পরারাষ্ট্রমন্ত্রী না হলেই বেশি ভালো হত।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৫

খান সাইদুর রহমান বলেছেন: হয়তো

১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিশ্ব নেতারা কোথায়?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৫

খান সাইদুর রহমান বলেছেন: বিশ্বনেতারা সবাই তাদের আরামদায়ক বিলাসবহুল বাড়িতে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.