নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশু মিলন

মিশু মিলন

আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।

মিশু মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার খুব পছন্দ হলো। বন্ধুদের বললাম, ‘এটা নিই।’
আমাদের এক গোঁয়ার ধরনের বন্ধু বলল, ‘ধুর মিয়া, এডা নেওন যাইব না।’
‘ক্যান?’
‘ঘরে এইসব জিনিস রাখতে অয় না, তুই বুঝবি না, এইডা আমাগো ধর্মীয় ব্যাপার। আমরা তগো মতো না।’

চাঁদপুরের বৈশাখী মেলায় বীভৎস গরমের দুপুরে এক পর্দানশীল ভদ্রমহিলাকে পুতুল কিনতে দেখে আমার সেই ঘটনাটি মনে পড়ল। ইসলামে প্রাণির ভাস্কর্য ও ছবি নিষিদ্ধ। এসব থাকলে ঘরে নাকি রহমতের ফেরেশতারা প্রবেশ করে না। ওয়াজ মাহফিলে-খুতবার বয়নে হুজুররা প্রাণির ভাস্কর্য আর ছবি ঘরে না রাখতে প্রতিনিয়ত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে সতর্ক করে। ফলে প্রায় শতভাগ মুসলমানের বাড়িতে কোনো প্রাণির ভাস্কর্য আর ছবি থাকে না। এই যে আমাদের মৃৎশিল্প আজ ধ্বংসের পথে, তার অনেকগুলো কারণের মধ্যে এটি একটি। প্রায় বিশ কোটি মানুষ, কিন্তু মৃৎশিল্পের বাজার খুবই ছোট। ধর্মীয় বিধিনিষেধ না থাকলে বাজার আরও বড় হতো।

তবু ধর্মীয় ও পারিবারিক অনুশাসন অমান্য করে কোনো কোনো মুসলমান ঘরে প্রাণির ভাস্কর্য ও ছবি রাখে। যেমন বৈশাখী মেলার এই নারী। তিনি পর্দানশীল, কিন্তু ধর্মীয় অনুশাসন তার মনকে পুরোপুরি বিকলাঙ্গ করতে পারেনি। ধর্মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, ঘরে ফেরেশতাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে তিনি অনেকগুলো পুতুল কিনলেন, সবই মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণির। পর্দানশীল কোনো নারী পুতুল কিনছেন, দৃশ্যটি আমার কাছে যেমনি বিরল, তেমনি মনোমুগ্ধকর। চারিদিকে এখন শুধু হুজুরদের সফলতার ছবি দেখি, তার মধ্যে এই ছবিটি হুজুরদের ব্যর্থতার ছবি। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে এই ভদ্রমহিলা হয়ত বোরকা পরেন, কিন্তু তার মনের সৌন্ধর্য মরে যায়নি, তিনি পুতুলের মতো সুন্দর একটি জিনিস দিয়ে ঘর সাজাতে চান।

হুজুরদের আরও একটি ব্যর্থতার দৃশ্য ফেরার পথে লঞ্চে চোখে পড়েছে। লঞ্চের কামড়ায় মাত্র জনদশেক যাত্রী ছিলাম ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। আমার সিটের উল্টোদিকের তিন সিটে বসেছে এক তরুণ দম্পতি আর তাদের পাঁচ-ছয় বছর বয়সী ছেলে। যুবতী বোরকা পরিহিত। ছোট্ট ছেলেটি বার বার বাইরে গিয়ে অনেকটা সময় অতিবাহিত করছিল। আর সেই সুযোগে দম্পতি আলিঙ্গন ও চুম্বনসাধা পান করছিল। আমি ঘাড় ঘুরিয়ে বসলাম যাতে ওরা বিব্রত না হয়। কিন্তু ব্যাপারটা আমাকে ভাবালো। আর কয়েক ঘণ্টা পর বাসায় গিয়েই তো যা খুশি করতে পারবে, তাহলে এখন লঞ্চের মধ্যে আলিঙ্গন-চুম্বনে মত্ত হচ্ছে কেন? উত্তরটাও নিজের ভেতর থেকেই পেলাম, ওদের চুম্বনের নেশা জেগেছে এখন, বাসায় যেতে যেতে এই আবেগ তো নাও থাকতে পারে। তাছাড়া বাসায় যে গরম, আর এখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামড়ায় একটু রোমাঞ্চ করলোই বা ক্ষতি। বোরকা পরা একটি মেয়ে লঞ্চের কামড়ায় বরের সঙ্গে চুম্বনযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছে, এই ব্যাপারটি আমাকে যত আনন্দ দিয়েছে, মেয়েটি বোরকাবিহীন হলে দৃশ্যটি নিয়ে আমি দ্বিতীয়বারও ভাবতাম না।

কিছুদিন পূর্বে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে দেখেছিলাম স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে প্রেম করছে। ঝাউগাছ, মরা শিকড় আর ছাতার আড়ালে কেদারাগুলোতে তারা রোমাঞ্চে মগ্ন। প্রায় সব মেয়েই বোরকা পরিহিত। হুজুর ছেলেও ছিল কয়েকজন। হুজুরদের এভাবে প্রেম করতে দেখলে আমার একটু বেশি-ই ভালো লাগে, মনে হয় সে কিছুটা মানবিক। কক্সবাজারে ভয়ংকর রকমের জামায়াতীকরণ হয়ে গেছে, তারই মধ্যে ছেলে-মেয়েদের প্রেম করতে দেখলে ভালো লাগে। এটাও ওয়াজী আর খুতবায় বয়ান দেওয়া হুজুরদের ব্যর্থতার চিত্র।

সবার নিশ্ছয় মনে আছে হেফাজতি নেতা মাওলানা মামুনুল হকের মানবিক বিয়ের কথা। মানবিক বিয়ে আবার কী জিনিস? ওটা আসলে প্রেম। মাওলানা মামুনুল জান্নাত আরা ঝর্ণার সঙ্গে প্রেম করতে গিয়েছিলেন। প্রশাসনের লোকজন অযাচিতভাবে সেখানে হানা দিয়ে তাদের গোপনীয়তা নষ্ট করেছে। প্রশাসন এটা করেছে এজন্য যে মামুনুল সরকারকে খুব বিপদে ফেলে দিচ্ছিলেন তার জ্বালাময়ী বক্তব্যে। মানুষকে বিভ্রান্ত করছিলেন, সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছিলেন মামুনুল। ফলে তাকে বাগে আনতেই প্রশাসন তার গোপন জীবন প্রকাশ্যে এনে তার ভাবমূর্তি নষ্ট করে জনপ্রিয়তায় ভাঙন ধরাতে চেয়েছে। প্রশাসন তার গোপনজীবন প্রকাশ্যে এনেছে ঠিকই, কিন্তু জনপ্রিয়তায় ভাঙন ধরাতে পারেনি। মামুনুল সরকারবিরোধী জ্বালাময়ী বক্তব্য না দিলে, প্রশাসন তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে হয়ত মাথাও ঘামাত না।

যাইহোক, দিনশেষে এটাই সত্য যে মাওলানা মামুনুল প্রেম করতে গিয়েছিলেন। অথচ প্রেমের বিরুদ্ধে তারাই সবচেয়ে বেশি কথা বলেন, মানুষকে ধর্মীয় অনুশাসনে বাঁধতে চান। অথচ হুজুররাই মাদ্রাসায় ছেলে ও মেয়ে শিশুদের ধর্ষণ ও নির্যাতন করেন, নিজের স্ত্রীকে দাসীর মতো রাখেন আর প্রহার করেন। কিন্তু এসব না করে হুজুররা প্রেমিক হতে পারত। প্রেম করায় লজ্জার কিছু নেই, তাদের কেউ বাঁধাও দেবে না। হুজুররা ওয়াজ ব্যবসায় জনপ্রিয়তাবাড়ানোর কৌশল বাদ দিয়ে সত্যিকারের প্রেমিক হলে তারা এখনকার মতো এমন পাষণ্ড থাকত না, তারা মানবিক আর রোমান্টিক হতো। তাদের তখন ফুল ভালো লাগত, যে-হাতে চাপাতি-বোমা তুলে নেয়, সেই হাতে ফুল নিয়ে প্রেমিকার জন্য অপেক্ষা করত, খোঁপায় ফুল গুঁজে দিত। হুজুররা প্রেমিক হলে আমাদেরই মতো তাদেরও প্রজাপতির রঙিন ডানা ভালো লাগত, বৃষ্টি ভালো লাগত, পাখির কূজন ভালো লাগত, সংগীত-নৃত্যু ভালো লাগত, ভাস্কর্য ভালো লাগত, নান্দনিক সবকিছুই ভালো লাগত। হুজুররা প্রেমিক হলে তারা আর ধর্ষণ-নির্যাতন করবে না, স্ত্রীকেও দাসীর মতো রাখবে না, হাতে চাপাতি-বোমা তুলে নেবে না, ভিন্নমত-ভিন্ন সংস্কৃতি দমন করতে চাইবে না, বাউলদের প্রহার করবে না, নাটক-সংগীত-সিনেমাকে নিষিদ্ধ করতে চাইবে না, যাত্রাপালা-পুতুলনাচ বন্ধ করতে চাইবে না, সারা পৃথিবীতে দারুল ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে কলেমার পতাকা উড়াতে চাইবে না। নিজের সংস্কৃতিকে ভালোবাসবে। শিল্প-সংস্কৃতিতে নিজেরাও অবদান রাখবে।

ওই যে বৈশাখী মেলায় বোরকা পরা নারী পুতুল কিনলেন, লঞ্চে বোরকা পরা যুবতী বরের সঙ্গে চুম্বনে লিপ্ত হলেন, মামুনুল ঝর্ণাকে নিয়ে রিসোর্টে গেলেন, শৈবাল পয়েন্টে বোরকা পরা মেয়েরা প্রেমিকের সঙ্গে রোমাঞ্চে মত্ত হলো, এ সবই মানব মনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, মনের ক্ষুধার ডাকে সাড়া দেওয়া। এতে অন্যায় কিছু নেই। বরং মানব মনের এই স্বাভাবিক স্রোতধারায় বাঁধ দিতে চাওয়াই অন্যায়। হুজুররা এই স্রোতে বাঁধ না দিয়ে প্রেম করুক, ভালোবাসুক, প্রকৃত প্রেমিক হোক। হুজুররা প্রেমিক হলে, বাংলাদেশ বদলে যাবে।


ঢাকা
৩০ এপ্রিল, ২০২৪


মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯

এক্সম্যান বলেছেন: বোরকা পরলেই সে ধার্মিক এটা ঠিক নয়। আমার এক বান্ধবি ছিল যে বোরকা পরত যাতে অবাধে একাধিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারে, একজন প্রেমিকের সাথে চলার সময় অন্য আরেক প্রেমিক সামনে এলেও চিনতে পারতনা, এমনকি একবার ওর ভাইয়ের সামন দিয়েও গেছে কিন্তু চিনতে পারে নাই। আমি ওর কাছ থেকে শুনেছি অনেকেই এই কারনেই বোরকা পরে, কেউ কেউ নিকাবে বেশি আকর্ষণীয় মনে হওয়ার কারনে নিকাব পরে। ওরা নির্লজ্জ ধোকাবাজ, ধার্মিকদের সরলতাকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে ধোকা দেয়।

আর প্রেমিক হওয়া মানেই লুইচ্চামো করা নয়, প্রেম করার জন্য নিজের বউই পার্ফেক্ট, মনের স্বাভাবিক ক্ষুধার ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে সবাই লুইচ্চামো শুরু করলে বাংলাদেশ ঠিকই বদলাবে কারন পরিবার বলতে আর কিছু থাকবেনা। ডিএনএ টেষ্টের চাহিদা বেড়ে যাবে।

০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮

মিশু মিলন বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

২| ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৮

পুরানমানব বলেছেন: কত ধান্দাবাজ কত রকম ধান্দা লইয়া বসিয়া আছে। হুজুররা প্রেমিক নহে ইহা আপনি কোথায় পাইলেন?

০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৪

মিশু মিলন বলেছেন: প্রেমে বিশ্বাস না থাকলে, প্রেমিক হবে কী করে? হুজুররা তো প্রেমেই বিশ্বাস করে না। তারা একাধিক বিয়ে ও দাসী সহবতে বিশ্বাসী। অবিবাহিত নারী-পুরুষের প্রেম তো ইসলামে অনুমোদনই নেই।
প্রকৃত প্রেমিক কখনো ধর্ষণ করে না, নিপীড়ন করে না, স্ত্রীর সঙ্গে দাসীর মতো ব্যবহার করে না, প্রেমিকাকে নিজের চেয়ে কম মর্যাদার মনে করে না। সব হুজুরই এসবের কোনোটা না কোনোটা করে।

৩| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১২:০৭

পুরানমানব বলেছেন: তারা একাধিক বিয়ে ও দাসী সহবতে বিশ্বাসী। অবিবাহিত নারী-পুরুষের প্রেম তো ইসলামে অনুমোদনই নেই।
আপনি নিজে কি দাসির সাথে সোহবতের বিস্তারিত জানেন? উহা কি এখনও এই যুগে জায়েজ আছে কিনা তাহা জানেন? আমার জানামতে উহা এখন জায়েজ নহে।
একাধিক বিয়ে করা হুজুরের সংখ্যা বাংলাদেশে কত? আপনার কথায় বুঝা যাইতেছে বাংলাদেশের সব হুজুর একাধিক বিয়া করিয়া থাকে, হুজুর ছাড়া আর কেহ একাধিক বিবাহে আগ্রহী নহে। একাধিক বিয়ের উপকার বেশি নাকি বিয়ের আগে একাধিক প্রেমের উপকারিতা বেশি?
বৈধ আর অবৈধ এই দুই শব্দদয়ের মধ্যে প্রার্থক্য আগে জানিতে হইবে।
ইসলামের কথা পরে বলেন। আগে ধরিয়া লন আপনি অনেক ভালো প্রেমিক, প্রেমিকার জন্য আপনার সর্বোচ্চ টা দিয়ে প্রেম করেন৷আপনার প্রেমিকাও আপনার ওপর অনেক খুশি কারন আপনি অনেক ভালো একজন প্রেমিক, প্রকৃত প্রেমিক। এবার ধরুন আপনি প্রেমিকার সহিত কুলুকুলু করিয়া ফেলিলেন উত্তেজনা বসত। আমি বলিতেছি না আপানার উদ্দেশ্য খারাপ। ধরিয়া লন আপনার প্রেমিকার পেটে আপনার সন্তান চলিয়া এলো। তখন সবার আগে আপনার প্রেমিকা আপনাকে কি বলিবে? বিয়ে করিতে বলিবে অবশ্যই। আপনারও যেহেতু খারাপ কোন উদ্দেশ্য ছিলো না তাই আপনিও চাইবেন বিয়ে করিয়া লইতে। আর যদি বিয়ে না করিতে চান তখন জুতা পেটা করিয়া বিয়ে করাইবে। দিন শেষে আপনাকে বিয়ে করিতে হইবে। প্রত্যেকটা ধরমেই নারী পুরুষের মেলামেশার জন্য বৈধ ব্যাবস্থা আছে আর তা হইতাছে বিয়ে। বিয়ের পরের স্বামীর কাছে বিয়ের আগের প্রেমিক শব্দ অতি তুচ্ছ। কোন মেয়েকে বলবেন আমি সারাজীবন তোমার প্রেমিক হইয়া থাকিতে চাই, তারপর দেখেন ওই মেয়ে কি করে আপনাকে। মাইর একটাও মাটিতে পরিবে না। লুইচ্চা বলিয়া পিটাইবে।
অবিবাহিত নারী-পুরুষের প্রেম তো ইসলামে অনুমোদনই নেই
কেন নেই তাহা লইয়া একটু ঘাটাঘাটি করেন ।

০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১২:২০

মিশু মিলন বলেছেন: আপনি নিজে কি দাসির সাথে সোহবতের বিস্তারিত জানেন? উহা কি এখনও এই যুগে জায়েজ আছে কিনা তাহা জানেন? আমার জানামতে উহা এখন জায়েজ নহে।

হা হা হা! কী নাবালক কথা। কোরান পড়ুন কিংবা কোনো হুজুর কাছে গিয়ে এই বিষয়ে প্রশ্ন করুন, জানতে পারবেন। আর নিচে আপনি যা বলেছেন, আমার লেখা বুঝলে, এসব ফ্যাদা প্যাঁচাল পারতেনই না। কী এক মুশকিল, লেখাপড়া করা লোকজনও সোজা কথাটা বোঝে না! প্রেমিক আর জোবরদস্তি করা লম্পটের তফাৎ বোঝে না!

৪| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১২:৩৪

পুরানমানব বলেছেন: কোনো হুজুর কাছে গিয়ে এই বিষয়ে প্রশ্ন করুন
আমি জানিয়া লইছি বলেই আপনাকে প্রশ্ন করিয়াছি। আপনি জানেন না বিধায় আবার শেষমেশ হুজুরকে দেখাইতেছেন৷
আমার লেখা বুঝলে, এসব ফ্যাদা প্যাঁচাল পারতেনই না। কী এক মুশকিল, লেখাপড়া করা লোকজনও সোজা কথাটা বোঝে না! প্রেমিক আর জোবরদস্তি করা লম্পটের তফাৎ বোঝে না!
হুজুরদের মত লম্পটদের ঘরে ডিভোর্স সংখ্যা অনেক কম।
হা হা হা! কী নাবালক কথা।
আপনি তো সাবালকের মত উত্তর দিলেন না। ভাবলেন, একটা হাসি নিয়ে উড়িয়ে দেই।
ভালো থাকেন। তবে হুজুররা বিয়ের আগে এসব লুচ্চামি করে বেরাবে না, বাংলাদেশ বদলানোর আরও অবেক উপায় আছে।

০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৩৯

মিশু মিলন বলেছেন: আমি অশিক্ষিতদের জন্য স্কুল খুলে বসিনি, যে তাদের সব প্রশ্নের রেফারেন্স আমাকে দিতে হবে, যেখানে গুগল করলেই সব পাওয়া যায়। তবু কয়েকটা রেফারেন্স দিলাম-
সুরা নিসার ২৪ নম্বর আয়াত- “নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী[1] ব্যতীত সকল সধবা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ, তোমাদের জন্য এ হল আল্লাহর বিধান। উল্লিখিত নারীগণ ব্যতীত আর সকলকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য বৈধ করা হল; এই শর্তে যে, তোমরা তাদেরকে নিজ সম্পদের বিনিময়ে বিবাহের মাধ্যমে গ্রহণ করবে, অবৈধ যৌন-সম্পর্কের মাধ্যমে নয়।[2] অতঃপর তোমরা তাদের মধ্যে যাদের (মাধ্যমে দাম্পত্যসুখ) উপভোগ করবে, তাদেরকে নির্ধারিত মোহর অর্পণ কর।[3] মোহর নির্ধারণের পর কোন বিষয়ে পরস্পর রাযী হলে তাতে তোমাদের কোন দোষ হবে না।[4] নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।

সুরা আল মারিজ, আয়াত ৩০:
তাদের স্ত্রী ও তাদের ডান হাত যাদের মালিক হয়েছে সে দাসীগণের ক্ষেত্র ছাড়া। তাহলে তারা সে ক্ষেত্রে নিন্দনীয় হবে না।

আফসীরে জাকারিয়-
[1] অর্থাৎ, মানুষের যৌন-ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য দুটি বৈধ মাধ্যম রেখেছেন। একটি হল স্ত্রী। আর দ্বিতীয়টি হল অধিকারভুক্ত (যুদ্ধবন্দিনী অথবা ক্রীত)দাসী। বর্তমানে এই অধিকারভুক্ত দাসীর ব্যাপারটা ইসলামের নির্দেশিত কৌশল অনুসারে প্রায় শেষই হয়ে গেছে। তবে আইনগতভাবে এই প্রথাকে একেবারে এই জন্য উচ্ছেদ করা হয়নি যে, ভবিষ্যতে যদি এই ধরনের অবস্থার সৃষ্টি হয়, তাহলে অধিকারভুক্ত দাসী দ্বারা উপকৃত হওয়া যেতে পারে। মোট কথা ঈমানদারদের এটাও একটি গুণ যে, তাঁরা যৌন-ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য (উক্ত দুই মাধ্যম ছাড়া) কোন অবৈধ মাধ্যম অবলম্বন করে না।

হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪৮
২২. আযল এর হুকুম
৩৪৪৮-(১৩৪/১৪৩৯) আহমাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, আমার একটি দাসী আছে যে আমাদের খিদমাত ও পানি সরবরাহের কাজে নিয়োজিত। আমি তার নিকট আসা যাওয়া করে থাকি, কিন্তু সে গর্ভবতী হোক তা আমি পছন্দ করি না। তখন তিনি বললেন, তুমি ইচ্ছে করলে তার সাথে আযল করতে পার। তবে তার তাকদীরে সন্তান থাকলে তা তার মাধ্যমে আসবেই। লোকটি কিছুদিন অতিবাহিত করল। অতঃপর সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, দাসীটি গর্ভবতী হয়েছে। তিনি বললেন, আমি তোমাকে এ মর্মে জানিয়ে ছিলাম যে, তার তাকদীরে যা আছে তা আসবেই। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৪২১, ইসলামীক সেন্টার ৩৪২০)

আরও অসংখ্য উদাহরণ আছে। নবী নিজেও দাসীর সঙ্গে সঙ্গম করতেন। গুগলে সার্চ দিলেই হুজুরদের বহুগামিতা, নারী ধর্ষণ ও ছেলেশিশু বালাৎকারের হাজার হাজার নিউজ পাবেন।

৫| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৪৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: চমৎকার লিখনি, চালিয়ে যান আমারা আছি আপনার সাথে।



ধর্মীয় অনুশাসন মানুষের মনকে পুরোপুরি বিকলাঙ্গ করে দেয়।

০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫২

মিশু মিলন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ২:০৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি এক বুজুর্গকে চিনি যে কি না পরকিয়া করে, সে এক লম্বা ইতিহাস, উক্ত বুজুর্গের কাছে সঈদি, মামুনুল হক এরা শিশু।

আমি আরকজন ছোট হুজুরকে চিনি সে হাদিস এবং বিজ্ঞানের কথা বলে বলে নারী পটায়।

০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৩:১৪

মিশু মিলন বলেছেন: প্রকাশ্যে বিরোধীতা করলেও হুজুররা সবই করে, কিন্তু গোপনে।

৭| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ২:১৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ইদানিং নতুন একটি ফতোয়া বের হয়েছে ত হলো- দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য স্ত্রীর অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই, যে স্ত্রী স্বামীকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধা প্রদান করবে সে মুমিন নয়।

০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৩:১০

মিশু মিলন বলেছেন: শুধু হুজুর নয়, এখন প্রায় সব মুসলিমই নিজের সুবিধামতো নিজস্ব মানদণ্ডে ইসলাম পালন করে, যার বেশিরভাগই হারাম, শিরক, বিদাত।

৮| ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৬

এম ডি মুসা বলেছেন: চারটা বিয়ে করার ইচ্ছা.... যখন থাকে

০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭

মিশু মিলন বলেছেন: :) :)

৯| ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ইসলাম আসলে প্রেমকে হারাম করেনি। মৌলবিরা ভুলভাল ফতুয়া দেয়।

"প্রেম সত্য, প্রেম শাশ্বত প্রেম অবিনশ্বর
এমনই প্রেমের মাজে রহে তো ঈশ্বর "

০২ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৮

মিশু মিলন বলেছেন: ইসলামে অবিবাহিত নারী-পুরুষের প্রেমকে যিনা হিসেবে দেখা হয়। প্রেমিক-প্রেমিকাকে ব্যাভিচারী আখ্যা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে কোরানে আয়াত আছে, অসংখ্য হাদিস আছে।

১০| ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: *মাঝে*

১১| ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪২

রানার ব্লগ বলেছেন: ধর্ম মতে হুজুরদের প্রেমিক তো দুরে থাক প্রেমের গন্ধ যেখানে আছে সেখানেও থাকা নিষিদ্ধ । প্রেম বলতে সকল প্রকার প্রেমের কথাই আমি বলেছি ।

০২ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:১২

মিশু মিলন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তবে হুজুররা অনেক কিছুই করে যা ইসলামবিরোধী। যেমন- ওয়াজ বা ধর্ম ব্যবহার করে টাকা রোজগার করা। এরকম আরও অনেক আছে। ফলে ইসলাম অমান্য করে তারা প্রেমিক, মানবিক, সংস্কৃতিপ্রেমী হতেই পারে। ধন্যবাদ।

১২| ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হুজুররা উল্টাপাল্টা ফতোয়া বন্ধ করলেই হবে। কোরআন কে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। লোভটা কমাতে হবে।

০২ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

মিশু মিলন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

১৩| ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫১

প্রামানিক বলেছেন: প্রেম নিষিদ্ধ নয় বউয়ের সাথে প্রেম করা যায়েজ

০২ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৫

মিশু মিলন বলেছেন: আর বিয়ের আগে প্রেম অপরাধ হবে কেন? বিবাহ বহির্ভুত দাসীর সঙ্গে সঙ্গম যায়েজ, যা নবী করতেন। অথচ অবিবাহিত নারী-পুরুষের প্রেম নাযায়েজ! কী হাস্যকর! নিজের সুবিধা মতো আয়াত নাজিল!

১৪| ০২ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫

ধুলো মেঘ বলেছেন: বোরখা পড়া নারীর পুতুল কিনতে দেখে এত মজা নেবার কিছু নেই। খেলার পুতুল ইসলামে জায়েয আছে।

লঞ্চের মধ্যে নির্লজ্জ চুম্মাচাটিতে লিপ্ত জুটিকে আমার কোন অবস্থাতেই বৈধ হালাল দম্পতি বলে মনে হচ্ছেনা। খুব বেশি সম্ভাবনা যে এরা পরকীয়ায় লিপ্ত। আমি কোন বৈধ দম্পতিকে জনসম্মুখে এত নির্লজ্জ আচারণ করতে দেখিনি। বিদেশে যাদেরকে ওপেনলি নির্লজ্জ আচরণ করতে দেখেছি - এরা বেশিরভাগই বৈবাহিক সম্পর্ক বহির্ভুত দম্পতি। যে কোন জাতিতেই বৈধ দম্পতি তাদের সম্পর্কের পবিত্রতা রক্ষা করে চলে।

পাবলিক প্লেসে রোমাঞ্চে মত্ত হওয়া হুজুরেরা কেউই আসলে হুজুর না। মেয়েরা বোরখা পড়েছে যাতে ধরা না খায়, আর ছেলেরা দাঁড়ি টুপি পড়েছে, যাতে সহজে চেনা না যায়।

হুজুরেরা এইসব অশ্লীলতা নির্লজ্জতা সম্পর্কে নসীহত করতে করতে ক্লান্ত হয়ে এখন আর করেনা। তারা এখন তাদের নিজেদের মধ্যে মান মর্যাদা নিয়ে থাকতে পারাটাকেই সফলতা বলে ভাবে। মামুনুল হুজুরের জনপ্রিয়তা কমেনি বলে আপনি যে দাবী করেছেন - তা একেবারেই সত্যি নয়। ধার্মিক জনসাধারণের কাছে মামুনুল হুজুরের এখন আর কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। সমস্ত হুজুরের মাথা সমাজের কাছে হেঁট করে দেয়ার জন্য তারা এককভাবে মামুনুলকেই দায়ী করে।

০২ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩২

মিশু মিলন বলেছেন: কোরান কী বলে? কোনো ঘরে প্রাণির ছবি বা ভাস্কর্য থাকলে সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না। খেলার পুতুল কি প্রাণির মূর্তি নয়? আর ওই পুতুলগুলো খেলার পুতুলও নয়, ঘর সাজানোর। আপনার হারাম-হালাল বিষয়ক কূপমণ্ডকতা দিয়ে তো পৃথিবী চলবে না। প্রকাশ্য চুম্বন অবৈধ বা দোষের নয়। প্রেম, ভালোবাসা, রোমাঞ্চ কোনো নির্লজ্জতা বা অশ্লীলতা নয়। এসবকে যারা অশ্লীলতা ভাবে তারা কূপমণ্ডুক, কুয়োর ব্যাঙ, এদের মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন।

১৫| ০৩ রা মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বিশিষ্ট প্রেমিক এবং ধর্ষক আল্লামা মামুনুল হক দীর্গ তিন বছর হাজত বাস করার পর গতকাল ছাড়া পেয়েছে। কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক



এবার সে আরো না জানি কত মেয়ের জীবন নষ্ট করে।

০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৪

মিশু মিলন বলেছেন: কয়টাকে সামলাবে সরকার, এরকম হাজার হাজার মামুনুল ছড়িয়ে আছে সারা দেশে।

১৬| ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

অধীতি বলেছেন: এই বিষয়টা হইলো গলার কাটা। ইসলামিক অনুশাসনে চলেও সম্ভব আবার অন্যভাবেও সম্ভব। বিষয়টা হলো নিজেরটাই ভাল আর অন্যেরটা খারাপ, জঘন্য এই ধরনের চিন্তা-চেতনা, যেটা এখন বেশি চর্চিত হচ্ছে।

১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০৮

মিশু মিলন বলেছেন: বর্তমান বিশ্বে ইসলাম ব্যতিত আর ধর্ম বা মতবাদই অন্য ধর্ম, সংস্কৃতি বা মতবাদকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আন্দোলন বা সশস্ত্র আন্দোলন করে না। ফলে ইসলামী আগ্রাসনের সঙ্গে অন্যদের তুলনা চলে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.