নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাঁরা জানেনতো, তাঁদের জন্যই এ দিবস, মে দিবস?

০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:০১

ছোটবেলায় সিলেটে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত ছিলাম। বছর জুড়ে নানান অনুষ্ঠানে ব্যস্ত সময় কাটতো। বছরের শুরুতেই ভাষা দিবস, সেটা শেষ না হতেই স্বাধীনতা দিবসের জন্য প্রস্তুতি। তার পরপরই পহেলা বৈশাখ! তারপরেই নজরুল/রবীন্দ্র জয়ন্তী, আর এর আগে "মে দিবস" ছিল ঈদের মতন। কারন উদীচী গাইতো "এই মৃত্যুর বিভীষিকা ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে গ্রাম/জ্বালাতে জ্বালাতে মাটি/হিংস্র সাপের সারি তুলেছে ফণা! কেড়ে নিতে পারবে না বাঁচবার অধিকার, লড়বার অধিকার, রক্তে রক্তে বোনা ফসলের অধিকার....।"
বা সুকান্ত ভট্টাচার্য্যের "দুর্মর" (হিমালয় থেকে সুন্দরবন) নামের কঠিন কবিতাটা আমি ক্লাস টুতে থাকতে মুখস্ত করেছিলাম, যা খুব সম্ভব ক্লাস টেনে আমাদের পাঠ্য ছিল। বন্ধুরা মুখস্ত করতে গিয়ে মরমর অবস্থা, আর আমি অবলীলায় আওড়ে যেতাম। কারন শৈশবেই ওটাকে আমি গান হিসেবে পেয়েছিলাম।
উদীচীর সব কর্মকান্ড ছিল নিপীড়িত জনতার জন্য, আর এদিকে শ্রমিকের জন্যইতো মে দিবস পালিত হতো।
তাই মে দিবসের ইতিহাস বইয়ে পড়ার বহু বহু আগেই আমি শিখেছিলাম উদীচীর গানের রিহার্সেলগুলোতে, ওদের গানের কথায় ইতিহাস ফুটে উঠতো।
"১৮৮৬ সাল পহেলা মে, শিকাগোর হে মার্কেটে, মজুরের তাজাখুনে ভেসে গেল রাজপথ, প্রথম শহীদ হলো মজুর.....!"

আমরা যখন মঞ্চে গাইতাম, তখন আমাদের সামনে অনুষ্ঠান দেখতে উপস্থিত থাকতেন ভদ্রসমাজ। মে দিবস উপলক্ষে তাঁদের ছুটি ছিল, ছুটিতে পরিবার নিয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে আসা।
এদিকে যারা আসলেই শ্রমিক, মানে রিক্সাওয়ালা, দিনমজুর শ্রেণীর লোকেরা, ওরা কিন্তু ঠিকই জীবনযুদ্ধে ব্যস্ত থাকতেন। একবেলা ছুটি কাটালে তাঁদের পেটে কেউ ভাত তুলে দেয়ার লোক ছিল না। বাড়ি ভাড়া, অন্যের ভাড়া করা রিকশার টাকা দেয়ার কেউ ছিল না। শ্রমিকের অধিকার নিয়ে আমরা গাইতে সেই শ্রমিকের টানা রিকশাতে চেপেই অনুষ্ঠান স্থলে যেতাম। ভাড়া নিয়ে ঝগড়া করতাম। বেশি ভাড়া চাইলে ধমক দিতাম।
আমেরিকায় আছি বহু বছর হয়ে গেছে। এদেশে মে দিবস বলে কিছু নেই, এদের "শ্রমিক দিবস" সেপ্টেম্বরে - সেদিন অফিস বন্ধ থাকে। যারা রিটেইলে কাজ করে, "ভদ্র" মালিকেরা সেদিন ওদেরকে কাজের বিনিময়ে ডবল বেতন দেন। আমাদের দেশের শ্রমিকেরা কি এ দিবসে ডবল ভাড়া পায়? কোন বোনাস? কোন সাধারণ সৌজন্যতা?
"চাচা, আজকে গরমটা অনেক বেশি, একটু পানি খেয়ে নিন। এই নিন বোতল।"
বা "আজকে অনেক গরম, তাই দুইটা টাকা বখশিশ দিলাম। রেখে দেন।"
আজও কি বয়সে বড় রিক্সাওয়ালা দিনমজুরদের চ্যাংড়া পোলাপান তুমি/তুই করে সম্বোধন করে? "আপনি" সম্বোধনে কি আমাদের জাত যায়?
আজকেও কি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শ্রমিকদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবেনা? কয়জন শ্রমিক সে অনুষ্ঠান দেখতে আসবেন? তাঁরা জানেনতো, তাঁদের জন্যই এ দিবস, মে দিবস?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মে দিবস সাধারণত পৃথিবীর অন্যান্য দেশ শ্রমিক দিবস হিসাবে পালন করে।
আর আমেরিকা অনেক আগে থেকেই লেবার ডে সেপ্টেম্বরে পালন করে আসছে। তাই পহেলা মে কে শ্রমিক দিবস করেনি।

আর মে দিবস আন্দোলন করেছিল মূলত কমিউনিস্টরা বা কম্যুনিস্ট পন্থিরা। তখন আমেরিকার মহলে কমিউনিস্ট ভীতি একটা ছিল। তাই মে দিবস আর আমেরিকাতে 'মে দিবস' হিসাবে আসেনি।

০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৩:০৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: জানি।

২| ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১১:০০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: শ্রমিকদের স্বার্থের জন্য আন্দোলন করে নেতারা টু-পাইস কামায় আরকি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.