জানি, আজ সকালে বাংলাদেশ ঘুম থেকে জেগে উঠেছে মুখে তেতো স্বাদ নিয়ে। গভীর রাত জেগে যে আশায় বসে থাকা, বাংলাদেশের ক্রিকেট কাল তার ধারপাশ দিয়েও যে যেতে পারেনি।
ক্রিকেটে বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা হোক, আমরা সবাই চাই। ভারতকে হারিয়ে আমাদের প্রত্যাশাকে আমরা আকাশে তুলে দিয়েছিলাম। গত দুটি খেলায় শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়া বুঝিয়ে দিলো, আমাদের আরো অনেক পথ যেতে হবে।
আমি ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ নই। তবে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলায় কয়েকটা জিনিস কিছুতেই বোঝা গেলো না। বাইশ ওভারের খেলায় হাতে উইকেট রেখেও আমাদের অধিনায়ক যে ঠুকঠুক করে 43 বলে 24 না 25 করলেন, তার ব্যাখ্যা কি? বলের হিসেব করে দেখা যাচ্ছে 22 ওভারের 7 ওভার খেলেছেন তিনি একাই। ওই ক'টা রানের জন্যে? হাতে থাকা উকেটগুলো দিয়ে কি তাবিজ বানানো হবে? হাতে উইকেট আছে, একটু হাত খুলে খেললে কী হতো? হেরে যাওয়া? তাই তো হয়েছে। হার এড়ানো যায়নি। মাশরাফির মতো একটু সাহস দেখালে লড়াই করে হারার সুখটা হতে পারতো। সেই জিনিসটা কাজে লাগতো পরের খেলাগুলোতে। আফতাব আর আশরাফুল প্রায়ই খারাপ খেলবে এবং হঠাৎ কবে ভালো খেলে ফেলে সেই আশায় বসে থাকতে হবে।
বহু লড়াই করে, অনেক মনোবেদনা আর আশাভঙ্গের দাম দিয়ে একটা ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে না গেলে চূড়ান্ত সাফল্য সম্ভব হয় না। বাংলাদেশ ভালো ক্রিকেট খেলছে, গত দু'চার বছর আগে যা খেলেছে তার তুলনায় তো অবশ্যই। কিন্তু আজ রাজা তো পরের দিন পথের ভিখারি না হয়ে মোটামুটি একটা ধারাবাহিকতা আনাটাই প্রথম কাজ। পরের জিনিসগুলো ক্রমে এসে যাবে। আমাদের প্রত্যাশার মাত্রাও মাটির কাছাকাছিই রাখা উচিত। ভারতকে এক ম্যাচে হারিয়েই (বারমুডাকে হিসেবে না ধরলেও চলে) বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপের ধারেকাছে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে একদিন যাবো, এই আশা তো রাখতেই হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০০৭ রাত ২:২৩