মুসলমানদের একটি অংশ আল্লাহর আইন কায়েমের প্রচেষ্টায় তাদের জীবন-অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে থাকে। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি, তার সৃষ্টিতে তার আইন চলবে, এতে তো কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। সমগ্র মানবজাতীর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ, সুতরাং তার আইন সবার জন্য কল্যাণকর হবে এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু আল্লাহর আইনের নামে নির্দিষ্ট কিছু মানুষের আইন রচনা করে জাতীর উপর চাপিয়ে দেয়া সবচেয়ে বড় প্রতারনা ও ঠকবাজী ছাড়া কিছু নয়।
কুরআনকে বলা হয় আল্লাহর আইনের পুস্তক। যদি যুক্তির খাতিরে ধরেই নেই যে কুরআন সৃষ্টিকর্তার বানী তথাপিও রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আল্লাহর আইন পাওয়া যায় না্ ।কারন আল কুরআনে মাত্র ১০% আইন আছে।
আর আল্লাহর আইনের নামে যে রাষ্ট্র হবে তাতে মুসলমানদের যেই ফেরকা ক্ষমতাই যাবে সেই ফেরকার মনমত হাদিস থেকে বাকি ৪0% আইন রচিত হবে। লক্ষ লক্ষ হাদিস বানোয়াট হওয়াই এ ৪০% আইনও মানবরচিত।
এরপর বাকি ৩০% আইন ক্বিয়াস তথা রাষ্ট্রপরিচালনাকারী হুজুরদের তৈরি আইন যার গ্রহণযোগ্যতার জন্য বলা হয়ে থেকে কুরআন-হাদিস সামনে রেখে তৈরি।
বাকি ২০% হবে রাষ্ট্রপরিচালনাকারী হুজুরদের ইচ্ছামত। কুরআনে বলেছে
”আর তোমরা আনুগত্য কর তোমাদের সরকারের(উলিল আমর এর)”
প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর আইনের কোন অস্তিত্ব নেই। যারা আল্লাহর আ্ইনের নামে নির্দিষ্ট কিছু মোল্লাদের আইন কায়েম করতে চেষ্টা করে সেটা চরম হীনতা ও প্রতারনা।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪৯