প্রশ্ন: ঘূর্ণিঝড়ের সময় কিসের শব্দ ভেসে আসে?
উত্তর: সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়ের সময় মুসলমানরা মসজিদে আজান দেয়, হিন্দুরা মন্দিরে শাঁখ বাজায়। তাই ঘূর্ণিঝড়ের সময় আজানের ধ্বনি ও শাঁখের শব্দ ভেসে আসে।
প্রশ্ন: হারান মাঝি আর পরান শেখ ডাক দিচ্ছিল কেন?
উত্তর: সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় মানেই ভয়ভীতি, আতঙ্ক, অনেক ক্ষতিসাধন। কবি শামসুর রাহমান তাঁর কবিতায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব খুব সুন্দরভাবে ব্যক্ত করতে গিয়ে হারান মাঝি ও পরান শেখের কথা বর্ণনা করেছেন।
কবি শামসুর রাহমান তাঁর কবিতায় যে দুজন মানুষের নাম উচ্চারণ করেছেন তার মধ্যে একজন হিন্দু অপরজন মুসলমান। হারান মাঝি হিন্দু আর পরান শেখ মুসলমান। তারা দুজন আকাশের অবস্থা দেখে বুঝতে পারল, ঘূর্ণিঝড় সমাগত। এখনই সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় হবে। তাই তারা জোরে জোরে ডাকছে। তাদের ডাকাডাকির সঙ্গে সঙ্গেই আকাশ থেকে বৃষ্টির ফোঁটা পড়া শুরু হয়। আর সেই সঙ্গে মসজিদে বেজে ওঠে আজানের ধ্বনি এবং মন্দিরে বেজে ওঠে শাঁখ। কবি মূলত তাঁর কবিতায় হারান মাঝি কর্তৃক মন্দিরের শাঁখ এবং পরান মাঝি কর্তৃক মসজিদের আজানের ধ্বনিকেই বুঝিয়েছেন।
সাইক্লোনের পূর্বাভাস দেখলে সবার মনেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। হারান মাঝি ও পরান শেখ ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে ডাক দিচ্ছিল।
প্রশ্ন: ঘূর্ণিঝড়ে পশুপাখির কী অবস্থা হয়?
উত্তর: ‘সাইক্লোন’ কবিতাটি কবি শামসুর রাহমানের ঘূর্ণিঝড়ের একটি বাস্তব চিত্র। তিনি তাঁর কবিতায় ঘূর্ণিঝড়ের সময় কী কী ঘটে তা বর্ণনা করতে গিয়ে পশুপাশির অবস্থাও বর্ণনা করেছেন। কবি দেখেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় যেন সবকিছুই উড়ছে। যেমন, ঘরের চাল, গাছের ডালপালা, গরু-মহিষ, বই-খাতা-পঞ্জিকা ইত্যাদি। আর সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের তোড়ে পশুপাখি যেন ভেসে যায়। এ সময় ঘরের বাইরে থাকা অনেক পশুপাখির মৃত্যু হয়। কবির মতে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় শিয়াল, কুকুর, মোরগ-মুরগি, শালিক আরও কত পশুপাখির জীবন বিনষ্ট হয়।
প্রশ্ন: তোমার দেখা সাইক্লোন সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লেখ।
উত্তর: সাইক্লোনের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। গ্রামাঞ্চলে সাইক্লোনের তীব্রতা বেশি বোঝা যায়। আমাদের দেশে প্রায় প্রতিবছরই সাইক্লোন হয়ে থাকে। বিশেষ করে বৈশাখ মাস এলে সাইক্লোন বেশি হয়। গত বছর বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করে আমরা নানার বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার পর প্রথম দুই দিন ভালোই কাটে। কিন্তু তৃতীয় দিন বিকেলে হঠাৎ আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গিয়ে শুরু হলো সাইক্লোন। সাইক্লোনের বেগ এতই তীব্র ছিল যে বাইরের গাছপালা ভেঙেচুরে সব তছনছ করে দিয়ে গেল। কারও কারও ঘরের চালা উড়িয়ে নিয়ে যায়। গরুর ছোট ছোট গোশালা মুহূর্তের মধ্যেই বিলীন হয়ে যায়। এ সময় মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে এল। নানার বাড়ির পাশের একটি মন্দির থেকে শাঁখের আওয়াজও শুনতে পেলাম। ঘূর্ণিঝড়ে মাঠের ফসল যেমন সরিষা, ধান প্রভৃতিও মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ঘূর্ণিবায়ুর ঝাপটায় কিছু হাঁস-মুরগি, ছাগল মারা গেছে। আর গাছে চাপা পড়ে মারা গেছে একজন। সত্যি বলতে কী সাইক্লোনটা ভয়ংকরই ছিল।প্রশ্ন: হারান মাঝি আর পরান শেখ ডাক দিচ্ছিল কেন?
উত্তর: সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় মানেই ভয়ভীতি, আতঙ্ক, অনেক ক্ষতিসাধন। কবি শামসুর রাহমান তাঁর কবিতায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব খুব সুন্দরভাবে ব্যক্ত করতে গিয়ে হারান মাঝি ও পরান শেখের কথা বর্ণনা করেছেন।
কবি শামসুর রাহমান তাঁর কবিতায় যে দুজন মানুষের নাম উচ্চারণ করেছেন তার মধ্যে একজন হিন্দু অপরজন মুসলমান। হারান মাঝি হিন্দু আর পরান শেখ মুসলমান। তারা দুজন আকাশের অবস্থা দেখে বুঝতে পারল, ঘূর্ণিঝড় সমাগত। এখনই সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় হবে। তাই তারা জোরে জোরে ডাকছে। তাদের ডাকাডাকির সঙ্গে সঙ্গেই আকাশ থেকে বৃষ্টির ফোঁটা পড়া শুরু হয়। আর সেই সঙ্গে মসজিদে বেজে ওঠে আজানের ধ্বনি এবং মন্দিরে বেজে ওঠে শাঁখ। কবি মূলত তাঁর কবিতায় হারান মাঝি কর্তৃক মন্দিরের শাঁখ এবং পরান মাঝি কর্তৃক মসজিদের আজানের ধ্বনিকেই বুঝিয়েছেন।
সাইক্লোনের পূর্বাভাস দেখলে সবার মনেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। হারান মাঝি ও পরান শেখ ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে ডাক দিচ্ছিল।
প্রশ্ন: ঘূর্ণিঝড়ে পশুপাখির কী অবস্থা হয়?
উত্তর: ‘সাইক্লোন’ কবিতাটি কবি শামসুর রাহমানের ঘূর্ণিঝড়ের একটি বাস্তব চিত্র। তিনি তাঁর কবিতায় ঘূর্ণিঝড়ের সময় কী কী ঘটে তা বর্ণনা করতে গিয়ে পশুপাশির অবস্থাও বর্ণনা করেছেন। কবি দেখেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় যেন সবকিছুই উড়ছে। যেমন, ঘরের চাল, গাছের ডালপালা, গরু-মহিষ, বই-খাতা-পঞ্জিকা ইত্যাদি। আর সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের তোড়ে পশুপাখি যেন ভেসে যায়। এ সময় ঘরের বাইরে থাকা অনেক পশুপাখির মৃত্যু হয়। কবির মতে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় শিয়াল, কুকুর, মোরগ-মুরগি, শালিক আরও কত পশুপাখির জীবন বিনষ্ট হয়।
প্রশ্ন: তোমার দেখা সাইক্লোন সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লেখ।
উত্তর: সাইক্লোনের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। গ্রামাঞ্চলে সাইক্লোনের তীব্রতা বেশি বোঝা যায়। আমাদের দেশে প্রায় প্রতিবছরই সাইক্লোন হয়ে থাকে। বিশেষ করে বৈশাখ মাস এলে সাইক্লোন বেশি হয়। গত বছর বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করে আমরা নানার বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার পর প্রথম দুই দিন ভালোই কাটে। কিন্তু তৃতীয় দিন বিকেলে হঠাৎ আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গিয়ে শুরু হলো সাইক্লোন। সাইক্লোনের বেগ এতই তীব্র ছিল যে বাইরের গাছপালা ভেঙেচুরে সব তছনছ করে দিয়ে গেল। কারও কারও ঘরের চালা উড়িয়ে নিয়ে যায়। গরুর ছোট ছোট গোশালা মুহূর্তের মধ্যেই বিলীন হয়ে যায়। এ সময় মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে এল। নানার বাড়ির পাশের একটি মন্দির থেকে শাঁখের আওয়াজও শুনতে পেলাম। ঘূর্ণিঝড়ে মাঠের ফসল যেমন সরিষা, ধান প্রভৃতিও মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ঘূর্ণিবায়ুর ঝাপটায় কিছু হাঁস-মুরগি, ছাগল মারা গেছে। আর গাছে চাপা পড়ে মারা গেছে একজন। সত্যি বলতে কী সাইক্লোনটা ভয়ংকরই ছিল।