# সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দাও।
প্রশ্ন: ‘চাষী’ কবিতাটি কে লিখেছেন?
উত্তর: রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী।
প্রশ্ন: সাধক বলতে কী বোঝো?
উত্তর: কোনো উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য একান্তভাবে যিনি চেষ্টা করেন তাঁকে সাধক বলা হয়।
প্রশ্ন: সব সাধকের বড় সাধক কে?
উত্তর: আমাদের দেশের চাষা।
প্রশ্ন: দধীচি কে?
উত্তর: দধীচি ভারতের একজন ঋষি। তিনি অসুরদের ধ্বংস করার জন্য দেবতাদের কাছে নিজের শরীরের হাত দান করেছিলেন।
প্রশ্ন: ‘চাষী’ কবিতার মূল ভাব লেখো।
উত্তর: বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এ দেশের মানুষের খাদ্যের জোগান দেন কৃষকেরা। তাঁরা দিন-রাত শ্রম দিয়ে, ঝড়-বৃষ্টি-রোদ উপেক্ষা করে ফসল ফলন। তাঁদের এ কাজ কঠিন সাধনার কাজ। কবি তাই তাঁদের বড় সাধক বলেছেন, মাটির ছেলে বলেছেন।
প্রশ্ন: কবি চাষীকে ‘বড় সাধক’ এবং ‘দেশের আশা’ বলেছেন কেন?
উত্তর: কোনো উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য যিনি একান্তভাবে চেষ্টা করেন তাঁকে বলা হয় সাধক। আমাদের দেশের চাষীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, দিন-রাত পরিশ্রম করে মাঠে ফসল ফলান। তাঁদের সাধনার সেই ফসলে আমাদের সবার অন্নসংস্থান হয়। শুধু তাই নয়, চাষীদের শ্রমে উৎপাদিত ফসল এ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অনেক ভূমিকা রাখে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে আমাদের সবার স্বপ্ন-আশা পূরণ করার মহান সাধনায় নিবেদিত বলে কবি চাষীকে ‘বড় সাধক’ এবং ‘দেশের আশা’ বলেছেন।
প্রশ্ন: ‘আমার দেশের মাটির ছেলে, নমি বারংবার
তোমায় দেখে চূর্ণ হউক সবার অহংকার।’
—মাটির ছেলে কে? তাকে দেখে সবার অহংকার চূর্ণ হওয়া উচিত কেন?
উত্তর: আমাদের দেশের চাষীকে এখানে মাটির ছেলে বলা হয়েছে। চাষীর আজীবন সম্পর্ক মাটির সঙ্গে। কঠিন মাটির বুকে লাঙল চালিয়ে তাঁরা ফসল ফলান। চাষীর কষ্টার্জিত সেই ফসলে আমাদের অন্নের সংস্থান হয়। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চাষীর ভূমিকা অন্য সব পেশাজীবীর চেয়ে অনেক বেশি। এত বড় মহান পেশায় নিয়োজিত থেকেও তাঁদের বিন্দুমাত্র গর্ব নেই। অপরের সুখই যেন তাঁদের সুখ। তাঁরা অল্পতেই তুষ্ট থাকেন। খুশি থাকেন। অপরের মুখে হাসি ফোটানোই যেন তাঁদের জীবনের ব্রত। তাই কবি মনে করেন, দেশমাতার মুক্তিকামী চাষীর এই সাধারণ সহজ-সরল জীবনযাপন দেখে সমাজের অন্য সবার অহংকার চূর্ণ হওয়া উচিত।
প্রশ্ন: চাষীদের কাছ থেকে আমাদের কী শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত?
উত্তর: চাষীদের কাছ থেকে আমাদের যে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত, তা হলো:
১. সহজ-সরল জীবন যাপন করা, ২. অপরের উপকারের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করা, ৩. বিন্দুমাত্র গর্ব না করা, ৪. পরিশ্রমী হওয়া, ৫. দেশ ও জাতির উন্নতিতে নিঃস্বার্থ অবদান রাখা।