মানব জীবনে বিবাহ একটি গূরুত্ব পূর্ন ব্যাপার। দুই বর্নের মিলনে সন্ধি, দুই শত্রুর মিলনে যুদ্ধ ঠিক তেমনি দুই নর-নারী মিলনে পরিনয় বা বিবাহ। কবে থেকে বিবাহ প্রথার প্রচলন তা জানা যায়না । সৃষ্টি কর্তা আদম আর হাওয়াকে স্বর্গ উদ্দানে কবে থেকে রেখেছিলেন তার ইতিহাস জানা গেলেও গাটছাট বাধার দিন তারিখ ঠিক জানা যায়নি ।
ইতিহাস না জানলেও বিবাহ যে থেমে আছে তা কিন্তু না। বিবাহের বিশেষ একটা গুন হলো এর ইতিহাস যেমন আমরা জানিনা এর ভবিষ্যৎও আমাদের অজানা। বড়রা বলে থাকেন ছেলেদের জন্য বউ হলো অষুধ বিশেষ যার ভিতরটা তেতো কিন্তু উপরে সুগার কোটেড করা। যা না পেলে জীবন রাখেবো না বলে পন করে আর পেলে, নচিকেতাই বলেছেন... পুরুষ মানুষ দুই প্রকার.. মানে জীবনের অভাবে রাখা নারাখাটাই তুচ্ছ।
নারি হচ্ছে সেই জাত যাকে না পেলে সংসার হয়না আর পেলে সংসারের অভাবে জীবন অচল। এইজন্যই হয়তো কবিগুরু বলেছেন, যা চাই তা পাই না আর যা পাই তা চাই না অথবা একদা বিয়ে করতে উদগ্রীব সিদ্ধার্ত বিয়ের পর সন্যাস নিয়েছিলেন।

বিয়েকে বড়রা বলে থাকেন চুক্তি যার ফলে পুরুষ পায় ভোগ-দখল আর নারি পায় কতৃর্ত্ব আরো ভেঙ্গে বললে আমার ঘরে আমি মেম্বার বউ হলো চেয়ারম্যান। বিয়েকে আবার অনেকে দিল্লীকা লাড্ডু বলে থাকেন। তাই হয়তো মৃত্যু পথযাত্রী পিতা ছেলেকে ডেকে বললেন; বাবা আমি জীবনে যে ভুল করেছি তুই সেটা করিসনে। কি ভুল ? আমি বিয়ে করে জীবনে মস্তবড় ভুল করেছি তুই বিয়ে করিসনে। তুমি কোন চিন্তা করোনা বাবা আমি আমার ছেলেকে তোমার কথা গুলো বলে যাব।

উৎসর্গঃ বিয়ের লাইনে দাড়ানো সকল সামু নিবাসি।
সংগ্রহঃ যাযাবরের স্ত্রীষু হতে অনেক কিছু কাট-পেস্টকৃত