প্রিয় সূর্য,
কেমন আছো-
বহুদিন কাঁধে রোদ মেখে-
ফসলি জমিতে
অবিরাম দৌড়াই না,
মাড়াইনা মফস্বলের প্লাস্টারখসা গলি-
কিংবা হাঁটিনা শহরের দুর্দান্ত রোদে,
আচ্ছা তুমি তো রোজ ওঠো-
বলোনা,সবাই কেমন আছে?
মা-বাবা কি আমায় ভেবে-
এখনো রাত জাগে?
নাকি ঘুমিয়ে যায়-
যেমন নষ্ট,ফেলে দেওয়া মানিব্যাগে ছেঁড়া দুটাকা ঝিমায়-
মানুষ বড় ভুলো,দ্রুত ভুলে যায়.
আহা,আমার সেই সব দিন-
অন্তঃহীন আফসোসে বড় ভাল কেটেছিল,
সেও বলেছিল ভালোবাসি,
সুখ সইলো না.
এক বুনো জোছনায় আমার উঠোনে ট্রেন এসে থামলো,
-ব্যাস,সব শেষ.
আচ্ছা,রাখি এসব,
তোমায় না বলে কাকে বলবো-
তোমার কোলে যে, যৌবনপ্রাপ্ত হয় দুরন্ত শৈশব.
সুর্য,তুমি ভালো থেকো.
জেগে থেকো অজস্র নিস্পাপ শৈশবে-
কিংবা রাজপথের উত্তাল বিপ্লবে-
আশ্রয় দিও মায়ের রাতজাগা কান্নাকে-
দেখা দিও কষ্টের শেষ রেষে-
যেন কেউ ভেঙ্গে না পড়ে-
ও হ্যাঁ,সব শেষে,
আমায় রেখো মনে-
আমার মতন অসংখ্য যুবক এখনো-
সরল মফস্বল মাতায়-
প্রেম শেষে বেলীফুলের একগুছো মালা প্রিয়ার চুলে পরায়-
যৌবনের ডাকে,
স্লোগানে স্লোগানে-
উশৃঙ্খল রাজপথ কাঁপায়-
এখনো তারা বেঁচে থাকে-
উত্তরসূরী তৈরী করে-
মৃত্যুর পরেও সুর্যের কাছে-
চরমপত্র পাঠায়.
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২১