somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাচ্চা-রাজাকারের বড় হওয়ার স্বপ্ন || ফিচারিং একটি সাধারন চ্যাতনা পরিবারের সন্তান

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

- এই ব্যাটা তোরে না কইছি, এইসব সংগঠন ফংগঠন ছাইড়া দে। রাজাকার, ধর্ম ব্যবসায়ী, যুদ্ধাপরাধীদের সাথে থাইকা তোর মাথা মুথা সব ব্রেইনওয়াশ হয়ে গেছে।

বেশ কিছুদিন পর বন্ধু রেজার সাথে দেখা শিবির সমর্থক ফয়সালের। আজকাল ফয়সাল বাসা-বাড়িতে থাকে না বললেই চলে। তো হঠাৎ মাকে দেখতে এসেছে ফয়সাল বহুদিন পর। পথে রেজা'র সাথে দেখা। ভালো নাই মন্দ নাই রেজা চিৎকার তেড়ে যায়।

- শালা, তোরে কিছু কইয়া লাভ নাই। সংগঠন তোর মাথা কিইন্না -ফালাইসে। কত পাস শিবির কইরা। জান বড়, না রাজাকারগো লিডার নিজামী মুজাফিদ বড় ব্যাটা।
মনে হচ্ছে রাগে ফুঁসতেছে রেজা। আবারো ঝাড়ি মারলো ফয়সালকে।

ফয়সাল কথা বলে না। দূরের মাঠে নেট ঘেরা পিচে কয়েকজন প্র্যাকটিস করছে। ফয়সাল একটু উদাস হয়ে তাকিয়ে আছে ঐ দিকে। ফয়সালের মনে হচ্ছে দূরের মাঠ তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। কতদিন ক্রিকেট বলটা হাতে নেয়া হয়না। ফয়সালের ইয়র্কার এলাকায় প্রসিদ্ধ ছিলো। মনে আছে ফার্স্ট ডিভিশনে যেদিন প্রথম খেলেছিলো, সেই প্রথম দিনের প্রথম বলটাই ছিলো ইয়র্কার। নতুন বলে ইয়র্কার মারতে দেখে খেলা শেষে কোচ বলেছিলো তোমাকে ঘষা মাজা করলে একটা মাল বানাতে পারবো। মাশরাফির পাশে ভালোই মানাবে তোমাকে। ফয়সাল খুব স্বপ্ন দেখেছিলো সেদিন মাশরাফির পাশে বল হাতে ওপেন করছে। তবে মাল শব্দটা তার ভালো লাগেনি। কেমন জানি আবুল মাল, আবুল মাল মনে হয়।

- কথা কছ না ক্যান ব্যাটা। রাগে থরথর করে কাঁপতেছে রেজা। রেজার আচমকা চিৎকারে সম্বিৎ ফিরে পায় ফয়সাল।
- চল বসি কোথাও। সব সময়ের মতো ফয়সাল এখনো শান্ত। আসলে ফয়সালের চরিত্রটাই এরকম যে দেখলেই মনে হবে একটা ছেলে জিবনে কোনদিনও রাগ করতে পারবেনা।

রেজা মাঠের কোনায় চায়ের দোকানে নিয়ে যায়। ফয়সালের চেহারা আগের চেয়ে রুক্ষ ও মলিন হয়েছে। তবে শান্ত ভাবটা যায়নি দেখে রেজা কিছুটা অবাক। তবে অবাক ভাবটা চলে যায় যখন তার আবার মনে পড়ে ফয়সাল পার্টি করে। এই পার্টির বাচ্চা-রাজাকারগুলা এমনই হয়। চেহারায় শান্ত সৌম্য একটা ভাব রাখে সব সময় আর আড়ালে পুষে রাখে রগকাটার মুখোশটা। ফয়সালও নিশ্চয় এতোদিনে ২/৪শ রগ কেটেছে। ইদানিংতো সমানে হিন্দুদেরও রগ কাটছে।

- মামা ২টা চা দেন। এবার বলতো, রাজনীতি না করলে কি হয়না। রাজনীতি করবি ব্যাটা এই পার্টি ক্যানো। কুত্তালীগ কর। জননেত্রীর দল কর। মেরিকা থাইকা শিক্ষিত পোলার কর।
ফয়সাল কোন কথা বলে না। চায়ে লম্বা একটা চুমুক দেয়। যেন বহুদিন পর চা খেলো।
-শোন, তুই ব্যাটা ক্লাবের কলংক হয়ে গেলি। তোরে খুঁইজা পুলিশ ক্লাব পর্যন্ত রেইড দিছে। এট শুইনা সুশান্ত দা তো সেইরাম খেপা খেপছে। যে তার টিমে রাজাকার কেন খেলছে এতো দিন? সে যাই হোক। তুই নাই, টিমে ভালো বোলার নাই। জানছ তো আমরা রেলিগেশানে চইলা গেছি। এবছর আমরা সেকেন্ড ডিভিশনে খেলতাছি। টিমের সবার মেজাজ-মুজাজ খারাপ তোর উপ্রে। বলা নাই কওয়া নাই, হাওয়া হয়া গেলি। টিমের বারোটা বাজলো, ভালো বলার রিপ্লেস করা গেলো না। তোর মতো একটা মাল বোলার পাওয়া কি সম্ভব? ২ টা সেঞ্চুরি ৭ হাফ সেঞ্চুরী করলাম তবুও টিমরে বাঁচাইতে পারলাম না বেটা খালি একটা ভালো বোলারের অভাবে। এখন তুই বল তোরে কি করা উচিত।
- কি করা উচিত আমাকে? ভাবলেশহীন চেহারা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করে ফয়সাল।
- তোরে এখনি চ্যাংদোলা করে পুলিশে দেয়া উচিত। পুলিশ বাইরাইয়া তোরে সিধা কইরা ক্লাবে দিয়া যাইবো।
- তোর দেয়া লাগবে না পুলিশ আমারে এমনি খুঁজতাছে। সময় সুযোগ মতো ঠিকই চ্যাংদোলা কইরা ধইরা নিয়া গুলি কইরা রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যাবে। তুই তখন বলবি আহারে ছেলেটা ভালো আছিলো, শুধু একটাই সমস্যা শিবির করতো। তারপর সবাই ভুলে যাবে। ক্লাব, ক্লাবের ঘর, দরজা, জানালা, পিছনের ছোট্ট ডোবা, মাঠ, টিমমেট, সবাই একদিন ভুলে যাবে। কেউ কোন দিন স্মরনও করবে না আমায় কারন আমি শিবির করি। শিবিরের ছেলে পেলেদের জন্য স্মরনসভা করাও নিশ্চয় ততোদিনে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।

আবারো উদাস দৃষ্টিতে দূরের মাঠের দিকে তাকায় ফয়সাল।
- শোন দোস্ত রাজাকারের দল ছাইড়া দে। ভালো হইয়া যা। আমি আবার সুশান্ত দারে কমুনে তুই ভালো হইয়া গেছস। আমরা আবার একসাথে প্র্যাকটিস করবো, আমরা আবার একসাথে খেলবো। আমি ওপেনিংয়ে ব্যাট করবো তুই বল হাতে আগুন গোলা মারবি।
- নারে দোস্ত। খেলাধুলার চাইতেও অনেক সময় জিবনে অনেক কিছু বেশী গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠে।
- কিসের গুরুত্ব ব্যাটা। কিতাবের লাইন মারাইছনা। তোর না স্বপ্ন ছিলো মাশরাফির জুটি হয়ে বল করতে নামবি বাংলাদেশের জন্য। তোর স্বপ্ন কি শেষ?
- স্বপ্ন শেষ না দোস্ত। স্বপ্ন ভেঙে নতুন স্বপ্ন বানিয়েছি। আগে নিজের জন্য স্বপ্ন দেখতাম আর এখন সবার জন্য স্বপ্ন দেখি।
- শোন রাজাকারের চ্যালা। এসব বয়ান আমারে দিছ না। সংগঠনের তামিম ভাই এসব বয়ান আমারে বহু দিছে। আমি ধারেও যাইনি এসবের। কিন্তু শালা তোর মাথাটা ঠিকই খাইছে। এসব বাদ দে।
- বাদ দেয়ার সুযোগ নাই। কয়টা মামলা ঝুলছে আমার গলায় জানিস কিছু। ২২টা মামলা, বয়সের সমান মামলা আমার গলায়।
- দোস্ত শোন, তুই তো জানস মামা এইবার এমপি হইছে। নেত্রির লগে হট কানেকশান আছে। তুই ভালো হইয়া যা। আমি মামারে কইয়া তোর মামলা কমানোর চেস্টা করবো। রাজাকারগো ছাইড়া দে।

- শোন রেজা। তুই আমি একসাথে বড় হয়েছি। তুই আমাকে সবচেয়ে বেশি চিনিস। তোর আমার পার্থক্য হচ্ছে একটাই, সংগঠন। আমি সংগঠন করি, মনে করি আমি আল্লাহর রাস্তায় আছি। মরলেও আছি, বাঁচলেও আছি। এটা আমার বিশ্বাস এটা থেকে কেউ আমাকে টলাতে পারবে না। আমি স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশে কুরআনের আইন হবে। বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে। মানুষের ঘরে কোন অভাব থাকবে না। সবাই সবার তরে কাজ করবে। মাশরাফির সাথে বল করার চেয়ে সারাদেশের মানুষের সাথে, সারাদেশের মানুষের জন্য কিছু করাটা কি অনেক বেশী উত্তম নয়?

রেজা একটু থমকে দাঁড়ায়। কোন জবাব দেয়না। মনে মনে ভাবে মানুষের জন্য, মানুষের সাথে, মানুষের তরে কিছু করা। জিনিস খারাপ না। বাট আওয়ামীলীগও তো করছে। বংগবন্ধুতো জিবনই দিলেন মানুষের জন্য, মানুষের তরে। তারপরও কাঙ্খিত সুখ আসলো কি ঘরে ঘরে? আসবো ক্যামনে যে হারে খাওয়া খাওয়ি চলছে। রেজা মাথা ঝাড়া দেয়। মানুষ নিয়ে চিন্তা করার সময় তার নেই। সে যদি আরেকটু ভালো পারফর্ম করতে পারে তাহলে মামা বলেছে ফটাস কামালরে দিয়া জাতীয় দলে ঢুকাইয়া দিবে।

- ফয়সাল, শোন যুদ্ধাপরাধীদের সংগ ছাইরা দে তোর কিচ্ছু হইবোনা। দেখ নেত্রীর রাগ খালি তোগো পার্টির লগে। আর কারো লগে না। মামা এমপি হইয়া গেছে। এখন পাওয়ার খাটানোর সময়। তুই চাইলে আমার লগে জয়েন কর, মিইল্যা মিইশ্যা ক্লাবটারে দাঁড় করাই। তার নিশ্চয় আমদের চান্স হবে জাতীয় দলে খেলার।

- কামাল ভাই কি সংগঠন করতো? মনে পড়ছে তোর কামাল ভাইকে? ঐ যে জামতলার কামাল ভাই জাতিয়তাবাদী রাজনীতি করতো। তুই কি জানিস তারে কি করছে? মা-বাবার সামনে পুলিশ আ্যরেস্ট করছে, দুই দিন পর তার লাশটা শেখের টেকের ডোবায় ভেসে উঠছে। হাত পা বাঁধা, ৬ গুলি বাম পাঁজরে, চোখ বন্ধ আর একটা ১৩ ইঞ্চি কোপের দাগ। তুই কি অন্ধ হয়ে গেছিস দোস্ত। যুদ্ধটা সংগঠন কিংবা রাজাকারদের সাথে নয় যুদ্ধটা বাংলাদেশের সাথে। বাংলাদেশের মানুষের সাথে। একদল হায়েনা বাংলাদেশটাকে গোলামীর জিঞ্জির পরিয়ে রাখতে চায়। তুই আমি যদি এখনো এসব দেখে চোখের সামনে দিনে দুপুরে এসব হত্যাকান্ড দেখে জেগে না উঠি তাহলে বাংলাদেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে চিন্তা করেছিস কখনো?

তুই আমি জানি নির্বাচনের পরের দিন, প্রদীপ, সুদীপদের বাড়িতে কারা আগুন লাগিয়েছে। এসব দেখেও যদি না জেগে উঠি তাহলে কি হবে টাকা পয়সা আর সম্মান দিয়ে? দেশের মান যদি উঁচু না থাকে, বাংলাদেশের মানুষকে যদি মানুষ না বলে তাহলে যেখানেই তুই যাবি সবাই তোকে ধিক্কার দিবে। তুই আমি আজ আছি কাল থাকবোনা। কিন্তু আমাদের ভাই, বোন, ভবিষ্যত জেনারেশন যারা থাকবে তাদের জন্য কোন বসবাস যোগ্য সুন্দর বাংলাদেশ রেখে যাওয়াকি তোর আমার দ্বায়িত্ব নয়? সুদীপের মন্দিরের দেবতার উপর যারা আঘাত করে অন্য মানুষের উপর দায় চাপায় তাদের জন্য কি তোর এখনো মায়া হয়? হতেই পারে, কারন ওরাতো তোর মামারই চ্যালা চামুন্ডা। কিন্তু দোস্ত একটা কথা মনে রাখিস, দিন শেষ নয়। দিন আরো আছে, আরো আসবে। সেদিন দেখবি আমরা আমরা ঠিকই বিজয়ী হয়ে আসবো। আজকে আমার এই ফেরারী জিবন আমাকে যুদ্ধা বানিয়েছে।

- আ্যাই ঢের জ্ঞান দিয়েছিস। আর দিবিনা কইলাম। তুই থাক তোর রাজাকার আব্বাগোরে নিয়া। যেদিন মরবি সেদিন টের পাবি। যা তুই আমার চোক্ষের সামনে থেকে।

- ভালো থাকিসরে রেজা। ফয়সাল চায়ের দোকানের লাগোয়া রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকে।

রেজা এখনো রেগে আছে। শালারে কিছুতেই সে বুঝাতে পারলোনা। চায়ের কাপে শেষ চুমুকটা দিয়ে তাকিয়ে আছে ফয়সালের চলে যাওয়ার দিকে। ফয়সাল বরাবরের মতোই শান্ত-শিষ্টভাবে হেঁটে চলেছে। রেজা দূর থেকে দেখছে। তার মন চলে গেছে আজ থেকে ১০ বছর আগের সময়টাতে যখন ফয়সাল আর রেজা একজন একজনের কাঁধে হাত রেখে পাশাপশি হাঁটতো। সেই সোনার দিন বুঝি আর আসবেনা। রেজা এখনো দিব্যি দেখতে পাচ্ছে একটা অদৃশ্য অবয়ব ফয়সালের কাঁধে হাত রেখে কোথাও হেঁটে যাচ্ছে। আহারে দোস্ত তুই শিবির করে নষ্ট হয়ে গেলি।


[গল্পের চরিত্র ও ঘটনাবলীর সাথে বাস্তবের কোন চরিত্র বা ঘটনার মিল কাকতলীয় মাত্র]
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×