ছবিঃ- দৈনিক কালের কন্ঠ।
কলংক মোচনের দ্বিতীয় রায় আজ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২ এ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত মানবতবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী আব্দুল কাদের মোল্লার (কসাই কাদের) বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করবেন। এটাই মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে দেয়া দ্বিতীয় রায়। এতদিন যাঁদের দীর্ঘনিঃশ্বাসে আকাশ-বাতাস ভারি হয়েছিল এই রায়ে মনে হয় কিছুটা হালকা হবে।
কাদের মোল্লার বিচারপ্রক্রিয়াঃ-
২০১০ সালের ২১ জুলাই কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু হয়। একই বছরের ২ আগস্ট কাদের মোল্লাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর তদন্ত শেষ করে ১৮ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ১ নম্বর ট্রাইব্যুনালে উত্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ১৬ এপ্রিল মামলাটি দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর গত বছর ২৮ মে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে কাদের মোল্লার বিচারকাজ শুরু হয়।
গত বছরের ৩ জুলাই আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় এবং ১৩ ডিসেম্বর তা শেষ হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের তালিকাভুক্ত ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে দুই তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ১২ জন সাক্ষ্য দেন। কয়েকজন নারী সাক্ষীও রুদ্ধদ্বার আদালতে সাক্ষ্য দেন। অন্যদিকে গত বছর ১৫ নভেম্বর কাদের মোল্লার পক্ষে ছয়জন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এ ছয়জনের মধ্যে কাদের মোল্লা নিজেও একজন। গত ১৭ জানুয়ারি মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হওয়ার পর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
অভিযোগঃ- কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মিরপুর বাঙলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে গুলি করে হত্যা, কবি মেহেরুন্নেসার বাসায় ঢুকে তিনজনকে হত্যা, সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেবকে জবাই, কেরানীগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি ও গোলাম মোস্তফাকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যাসহ শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা, মিরপুর আলোকদি গ্রামের ৩৪৪ জন নারী-পুরুষকে হত্যা, মিরপুরে হযরত আলী, তাঁর স্ত্রী, ছেলেমেয়েকে হত্যা এবং ১১ বছরের এক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়।
এর আগে বাচ্চু রাজাকরের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হয়। বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রায়ও যথা সময়ে রায় ঘোষণা করা হবে আশা পোষণ করছি কিন্তু রায় বাস্তবায়নে শঙ্খা থেকে যাচ্ছে। দেখা যাক কি হয়।
সূত্রঃ-দৈনিক কালের কন্ঠ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭