বাংলাদেশের আকাশে অশনি সংকেত। গরিবের রক্তের দাম নেই?
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
আফগানিস্তানে তালেবানদের হাতে ক্রমাগত নাকানি চুবানি খাওয়ার পর, মার্কিনিরা এখন বাংলাদেশের কাছে সৈন্য চেয়েছে। উদ্দেশ্য তাদের আগ্রাসনে বাংলাদেশকে শরিক করার। কেননা, তাদের ধারনা যে, বাংলাদেশ একটা গরিব দেশ। মাসিক বেতনের অংকটা বাড়িয়ে দিলে তালেবানদের বুলেট বোমার সামনে বাংলাদেশি সৈন্যরা রক্ত ঝড়াবে। আর উনারা উনার দেশের মানুষের কাছে নিজেদের বীরত্ব জাহির করবেন।
বিশাল লট বহর আর জ্ঞাতি গুস্টি নিয়ে নিউইয়র্কে ভ্রমনরত হাসিনার সফর সঙ্গি ল্যাথার্জিক পররাস্ট্র মন্ত্রি দিপুমনি অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ভাববেন বলে কথা দিয়েছেন।
ইউরোপের অনেক দেশ যেখানে ধীরে ধীরে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করছে, তখন সাপের ছুচো গেলার মত অবস্থায় থাকা মার্কিনিদের সামাজ্যবাদি আগ্রাসনের আগুনে তেল ঢালার জন্য বাংলাদেশকে জড়ানোর অপচেস্টা চলছে।
অথচ এর এই কারণে বাংলাদেশকে চরম মুল্য দিতে হতে পারে। ইতিমধ্যেই তালেবানরা এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে হুশিয়ার করে দিয়েছে। যারা আফগানিদের চেনেন, এবং ইতিহাস জানেন, তারা এ ব্যাপারে ভালো ভাবেই অবগত যে, আফগানিদের পরাধীনতার শৃংখলে কেউই বাধতে পারেনি। তাছাড়া নিজেরা যতই ঝগড়া বিবাদে জড়াক না কেন, প্রতিবেশিদের কারো উপর সেই আগুনের আচ তারা পড়তে দেননি। জাতি হিসেবে জেদি এবং এগুয়ে আফগানিরা নিজেদের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপকারিদের নির্মম প্রতিশোধের আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে।
বাংলাদেশের সৈন্যবল অতি সামান্য। এই সামান্য জনবল নিয়েও বিশ্ব শান্তি রক্ষায় জাতিসঙ্ঘ শান্তি মিশনে দ্বিতীয় বৃহত্তম সৈন্যদল বাংলাদেশের। এ তথ্যটা তো মার্কিনিদের অজানা নয়। কেন? রোমিও জুলিয়েটের মত কঠিন প্রেমে তারা যাদের সাথে মত্ত, সেই ভারতকে কেন সৈন্য পাঠাতে বলছে না তারা? আর প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সাহায্য দেয়া পাকিস্থানকেও কেন ওই অনুরোধ করছে না তারা? আফগানিস্তানের আশে পাশের প্রতিবেশি তো আরো কয়েকটা দেশ আছে। ওদের কেন সৈন্য পাঠাতে বলছে না?
দোষ আমাদেরই বেশি। কেননা, ক্ষমতার লোভে জনগণের অগোচরে হাসিনা বেশ কিছু নাকে খত দিয়ে এসেছিল। এখন সুযোগ বুঝে মার্কিনিরা প্রতিদান চাইবেই তো।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয়, বরং কাসপিয়ান সাগর থেকে শুরু করে ইরাক পর্যন্ত বিশাল তেল ভান্ডার কুক্ষিগত করার লালসাতেই, ৯/১১ তে নিজেরা কুকর্ম করে মুসলমানদের উপর দোষ চাপিয়েছিল ওরা। এজন্যই গলায় গলায় পীরিতি থাকা সত্ত্বেও তালেবান আর সাদ্দাম হয়ে গিয়েছে তাদের চোখের বালি।
এসব দালিলিক প্রমান ইন্টারনেটেই ভুরি ভুরি ছড়ানো আছে। তাই সত্যান্বেষিদের পক্ষ্যে এই সবের সত্যতা খুজে পাওয়া কঠিন কিছু না। আর এই সব তথ্যের উৎসও বিবেকবান মার্কিন নাগরিকরাই। কিন্তু মার্কিন প্রশাসন এবং মিডিয়ায় খুব শক্ত করে খুটি গেড়ে থাকা নব্য রক্ষণশীল এবং কট্টর জায়নবাদিদের কল্যানে সেই মিথ্যা অভিযোগকেই সুযোগ মত ব্যাবহার করে মার্কিন আগ্রাসন চলছে।
হাসিনা যদি মনে করে থাকে যে, মার্কিনিদের বংশবদ হয়ে আজীবন বাংলাদেশ শাসন করতে পারবে তাহলে ভুল করবে। অতীতে সুযোগ মত ব্যাবহার করে অনেক শাসককেই ছেড়া ত্যানার মত ছুড়ে ফেলেছিল মার্কিনিরা। তাছাড়া আমাদের সাথে আফগানিস্তানের তো কোনদিন কোন বিরোধ ছিল না। তবে কেন আমরা মার্কিনিদের বোঝা নিজের কাধে নেব? আর ক্ষমতার লোভে যদি হাসিনা এমন কাজ করেই বসে, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ সেটা মেনে নেবে কেন?
এমনিতে তো আওয়ামী দুঃশাসনে দেশ ও জাতি অতিষ্ট। এর মধ্যে যদি এই কুকর্মটি হাসিনা সরকার করে, তবে দেশের জনগনের ঘৃণার আগুনে আবারও সে জ্ঞাতি গুস্টি নিয়ে পুড়ে মরবে, সেটা নিশ্চিতই বলা যায়।
২৪টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ফুলকপি পাকোড়া
ফুলকপি নিয়ে চারিদিক বেশ হৈচৈ চলছে । ক্রেতা হিসাবে আমাদের কিছুই করার নেই দুঃখ প্রকাশ ছাড়া । তো ফুলকপির পাকোড়া খুব স্বাদের জিনিস । ঝটপট বানিয়ে ফেলুন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন
তাইরে নাইরে না!!!!!!!!!!
বেশ কিছুদিন আগে দ্য সানডে টাইমসে একটা আর্টিকেল পড়ছিলাম। লেখক হিপোক্রেসির ধরন বোঝাতে গিয়ে একটা কৌতুকের অবতারনা করেছিল। কৌতুকটা এমন..........ছয় বছরের ছোট্ট জো তার বাবাকে গিয়ে বললো, ড্যাড, আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঈশ্বর!
নিটশের ঈশ্বর মৃত হয়েছে বহুদিন আগে, জড়াথস্ট্রুবাদের ঈশ্বর বদলে যায়নি, একটাই থেকেছে ; আব্রাহামিক ঈশ্বর অনেক ভাষায় কথা বলা শিখিয়েছে মানুষকে ;বুদ্ধের ঈশ্বর অভিমান করে কথাই বলতে চায়নি ; মিথলজীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুসলমানেরা ভাগ্যন্নোয়নের জন্য পশ্চিমে গিয়ে, পশ্চিমের সংস্কৃতিকে হেয় করে ধর্মের নামে।
এখন পশ্চিম চাহে যে, মুসলমানেরা যেন "ভাগ্যান্নষন"এর জন্য তাদের দেশে আর না যায়; কারণ, মুসলমানেরা পশ্চিমের সংস্কৃতিকে হেয় করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে। একই আব্রাহামিক ধর্মের লোকজন হলেও,... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে.....
প্রতিযোগিতার এই দুনিয়ায় এখন আর কেউ নিজের মতো হতে চাই না, হতে চাই বিশ্ববরেণ্যদের মতো। শিশুকাল থেকেই শুরু হয় প্রতিযোগিতা। সব ছাত্রদের মাথায় জিপিএ ৫, গোল্ডেন পেতে হবে! সবাইকেই ডাক্তার,... ...বাকিটুকু পড়ুন