চট্টগ্রামে হার এড়াতে সরকার যেভাবে বিভিন্ন চরম পন্থা নিতে চলেছিল, বিরোধি দলের কঠোর অবস্থানের কারণে সেটা ভেস্তে গিয়েছে। সেখানে সাধারণ মানুষও ছিল কঠোর অবস্থানে। ফলে মহিউদ্দিন এনং আঃ ল্গের পক্ষ্যে কোন তেলসামাতি করার সুযোগ ছিল না। বেগতিক দেখে ইসিও সুবোধ বালকের মত আচরণ করেছিল।
আগামিকাল আঃ লিগে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে যে হরতালের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেখানেও কঠোর অবস্থানের কোন বিকল্প নেই। কেননা আওয়ামী লিগ ভদ্র ভাষা বোঝে না। তারা যেমন নীতিতে কর্মে সন্ত্রাসি, সেরকম শক্ত প্রতিরোধ না গড়তে পারলে, ওরা পুলিশকে সাথে নিয়ে পেটোয়াবাহিনি লেলিয়ে দেবেই। ইতিমধ্যে কিছু কিছু আলামত স্পস্ট হয়েছে।
তাই মার খেয়ে পালানোর কোন সুযোগ নেই। যে কাজ অনেক অনেক দিন আগেই করা উচিত ছিল, (যদিও ইস্যুর তো কোন অভাবই ছিল না), সেটা এতদিন পরে হলেও যে করা হচ্ছে, সেজন্য মৃদু ধন্যবাদ বিরোধি দল পেতে পারে। তবে মার খেয়ে মাঠ ছাড়া হলে, এই ফ্যসিস্ট সরকারের ঔধত্য আরো বেড়ে যাবে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ আরো বেশি বাকশালি অত্যাচারের যাতাকলে নিষ্পেষিত হবে।
দুস্ট সুশিলদের মিস্টি কথায় ভুলে পথ হারালে, বিরোধি দলসহ সাধারণ মানুষের ক্ষোভ উদ্গিরনের শেষ পথটুকু শেষ হয়ে যাবে। তাই এই হরতালের দিন কোন রকম দুর্বলতা প্রশ্র্য দেয়া যাবে না। এবং ইটের জবাব পাটকেলের মাধ্যমেই দিতে হবে। অন্তত ভুক্তভোগি মানুষ সেরকমটাই আশা করে।