কোনো এক অজ্ঞাত কারণে সে ব্যথাটিকে ভালোবাসে। হয়তো এটাই স্বাভাবিক। ব্যথাটি একটা তীক্ষ্ণ সুরের মতো আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়লো সারা দেহে। সে হয়তো উপভোগ করছে তা।
তাকে ঔষুধ দেয়া হলো, দেয়া হলো উপদেশ। সে ঔষুধ গুলো কৌটোতে জমিয়ে রেখে দিলো। জমানো ঔষুধের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে ব্যথাও বাড়তে থাকলো।
একদিন যখন সে জানালার পাশে বিছানায় শুয়ে ধূসর আকাশ দেখছিলো তখন ব্যথাটি তাকে জানালো সে চলে যাবে। তার সময় শেষ। সে হতাশ হয়ে বললো থাকা কি যায় না? করুনা করেও না?
ব্যথাটি নতুন ডানা মেলতে মেলতে জানালো না থাকাই যায় না। তোমরা বিরক্তিকর, পানসে, হতাশ, করুণার পাত্র, ভালোবাসার না ।
অবশেষে ব্যথাটি চলে যায়। সে ঘোলাটে দৃষ্টি দিয়ে তার চলে যাওয়া দেখার চেষ্টা করে। জানালার পাশের কার্ণিশে বসে থাকা দাঁড়কাকটা পাখা ঝাপটায়।
হয়তো সে টের পায় না, কিন্তু অন্য কোথাও কেউ ঠিক কড়ে আঙ্গুলে ব্যথা অনুভব করে।
* ৬ মাস আগে এটা এমনেই ফেবুতে পোস্ট করছিলাম। ভাবলাম ব্লগেও রেখে দেই।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৭