somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার ২৫টি বীভৎস পন্থা (২য় পর্ব)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক দিন ধরেই সামুতে লেখা পোষ্ট করার চেষ্টা করছি, কিন্তু কোন এক কারনে লেখার ছবি গুলি আপলোড হলেও তা লেখার সাথে সংযুক্ত করতে পারছিনা। ছবি সংযুক্ত করার সময় আমি বার বার ব্যার্থ হই। তাই আজ ছবি ছাড়াই লেখা দিলাম। ছবি যুক্ত লেখার মত পরিপূর্ন না হলেও আপনাদের ভাল লাগবে এই আশাই রইল।

তাহলে শুরু করা যাক ===>

মৃত্যু দন্ড, অপরাধির জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি। যদিও পৃথিবীর অনেক দেশ আছে, যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যু দন্ড দেওয়া হয় না, কিন্তু বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে মৃত্যু দন্ড দেবার বিধান রয়েছে। এই শাস্তির বিধান পৃথিবীতে যত গুলি আইনি শাস্তি রয়েছে, তার মধ্যে সব থেকে পুরাতন। তাই সময়ের সাথে এই মৃত্যু দন্ড কার্যকর করার পদ্ধতি একেক সময়ে একেক পন্থায় হয়েছে। আজ আমি আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব এমন বীভৎস কিছু পন্থার সাথে যা সম্পর্কে জানলে আপনারও ভয় লাগবে, শুধু একবার চিন্তা করুন আসামির জায়গায় আপনি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মৃত্যু দন্ড কার্যকর করার ২৫টি বীভৎস পন্থা সম্পর্কে,

তক্তার উপরঃ
আগের পর্বে নিশ্চই মনে আছে পানিতে ডুবিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার দু'টি পদ্ধতি। এক্ষেত্রেও মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ব্যাক্তিকে পানিতে ফেলে দেওয়া হলেও, সে কিন্তু পানিতে ডুবে মারা যেত না!! কি অবাক হচ্ছেন? আচ্ছা একটু ভেংগে বলি। এই উপায়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করত সাধারনত জলদস্যুরা যারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাহাজ আক্রমন করে জাহাজের সব কিছু লুটে নিত আর যারা প্রতিরোধ গড়ে তুলত তাদের বিরুদ্ধে তাদের এই ভাবে শাস্তি দিত। এক্ষেত্রে ব্যাক্তিকে শুধুমাত্র তক্তার উপর দিয়ে হাটিয়ে পানিতে ফেলে দেওয়া হত কিন্তু তার হাত পা কিছুই বাঁধা থাকত না। দিব্বি পানিতে ভেসে থাকতে পারবে। কিন্তু পানিতে ভাসমান এই সব জাহাজের চারিপাশে সব সময় কিছু হাঙ্গড় মাছ ঘুরে বেড়াত, আর পানিতে ফেলার সাথে সাথেই হাংগড়ের আক্রমনের শিকার হত। আর এভাবেই মৃত্যু কার্যকর হত।

বেস্টিয়ারাইঃ
বেস্টিয়ারাই (Bestiarii), আদি রোমান রম্রাজ্যের একটা খেলা। যেখানে বীরেরা হিংস্র প্রানির সম্মুক্ষিন হয়ে তাদের পরাস্ত করত। কিন্তু এই খেলাকেও ব্যাবহার করা হত মৃত্যুদন্ড কার্যকরের উপায় হিসেবে। যাদের মৃত্যুদন্ড দেওয়া হত তাদের উলঙ্গ করে ছেড়ে দেওয়া হত হিংস্র প্রানিদের মাঝে। আর কোন প্রতিরোধ ছাড়াই হিংস্র প্রানিরা মেরে ফেলত মৃত্যুর সাজা পাওয়া ব্যাক্তিকে এবং খেয়ে ফেলত। আর এই মৃত্যু দেখে এই খেলা দেখতে আসা দর্শকেরা উল্লাসে গলা ফাটাতো। তাদের জন্য এটা ছিল শুধু মাত্র বিনোদন।

মাজাটেল্লোঃ
মাজাটেল্লো (Mazzatello),মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার সব থেকে বীভৎস প্রক্রিয়া গুলির মধ্যে অন্যতম একটি। এক্ষেত্রে শহরের মাঝে উঁচু মঞ্চে আসামিকে এনে তার মাথায় কাঠের তৈরি এক হাতুরি দিয়ে জোড়ে আঘাত করে তার মাথা থেতলে দিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হত। এই প্রক্রিয়া চালু ছিল ১৮শ দশকের দিকে ইউরোপের সেসকল দেশে, যেখানে পোপের আইন চালু ছিল।

ন্যায়ের ঝাঁকিঃ
ন্যায়ের ঝাঁকি (Upright Jerker) এর প্রথা প্রথম চালু হয় আমেরিকাতে, কিন্তু আমেরিকাতে বর্তমানে এই পদ্ধতি নিষিদ্ধ হলেও বর্তমানে ইরানে এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। অনেকটা বাংলাদেশে চালু ফাঁসির কার্যকর করার পদ্ধতির মত হলেও কিছুটা ভিন্ন। এক্ষেত্রে আসামিকে জনসম্মুক্ষে গলায় দড়ি পরিয়ে দড়িটি উপরে দিকে টেনে তোলা হয়। আর দড়িটি তোলার সময় ঝাকি দেওয়া হয়, যাতে আসামির ঘাড় ছিড়ে যায়। দড়িটি তুলতে সাধারনত ক্রেন ব্যাবহার করা হয়।

করাত দ্বারা মৃত্যুদন্ডঃ
এই পদ্ধতি আগে চালু ছিল ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ গুলিতে। এক্ষেত্রে মৃত্যদন্ড প্রাপ্ত আসামি কে উলঙ্গ করে উল্টা করে দু'পা ফাঁক করে বেঁধে রাখা হত। এরপর আসামির যৌনাঙ্গ বরাবর কড়াত রেখে দেহকে মাঝা বরাবর কেটে ফেলা হত। আর উল্টা করে ঝুলাবার কারনে আসামির মস্তিস্ক যথেষ্ট পরিমান রক্ত পেত যাতে আসামি এই চিড়ে ফেলাল ব্যাথা সম্পূর্নটাই অনুভব করতে পারে। গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ কাঁটার আগ পর্যন্ত আসামি বেঁচে থাকত।

ছবি সহ লেখাটি পড়তে পারেন এখানে

পূর্বের পর্বঃ মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার ২৫টি বীভৎস পন্থা (১ম পর্ব)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১২
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×