বন্ধ করুন এইসব নষ্টামি, সরিয়ে ফেলুন এই স্টিকি পোস্ট ....
আবার, আবারো আজ চোখের সামনে দেখলাম এক নারীকে লাঞ্ছিত হতে, নির্যাতিত হতে ....
যথেষ্ট হয়েছে, enough is enough ... আমরা বিশাল ব্লগীয় বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছি। হাজার হাজার বার পোস্টটি পড়েছি, জ্ঞানগর্ভ সব মন্তব্য করেছি ... ব্লগীয় আন্দোলনের স্লোগানে অন্তর্জালের দুনিয়া প্রকম্পিত করেছি। আর কি চাই ? ও হ্যাঁ, সেইসাথে পাবলিক বনাম প্রাইভেট যুদ্ধটাতেও খানিকটা শান দিয়ে নিতে পেরেছি !! Bravo !!! তবে এতসব বিশাল অর্জনের পাশাপাশি নিচের এই জাতীয় মামুলি ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে --
আজ বিকাল ০৫:০০ মিনিটে (২১ মে ২০১২) জরুরী এক কাজে পাবলিক বাসে করে ধানমন্ডি যাচ্ছিলাম। কাজটির জন্য বের হতে একটু দেরীই হয়ে গিয়েছিল আমার। বাসটি মিরপুর শেওড়াপাড়ার কাছাকাছি পৌঁছতেই নারী কন্ঠের একটি তীক্ষ্ণ চিৎকার শুনতে পাই। জানালা দিয়ে বাইরের রাস্তায় তাকিয়ে দেখি, এক লোক রিকশায় বসা একজন ভদ্রমহিলার হাত ধরে টানছে, ভদ্রমহিলাটি রিকশা থেকে প্রায় পড়ে যাচ্ছেন ... আর তারস্বরে চিৎকার করছেন। ... শুধু এতটুকুই দেখতে পাই আমি ... কয়েক পলকের জন্য। না, নারীটির প্রতি কোন মমত্ববোধ থেকে নয়, বিবেকের তাড়নাতেও নয়, নিজের কাছে ছোট হয়ে যাবার তীব্র যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ছুটে যাই -- অর্থহীন জেনেও, চিৎকার করে বাসের ড্রাইভারকে গাড়ীটি থামাতে বলি। ইতোমধ্যে বাসটি বেশ কিছুদূর এগিয়ে গেছে। বাস থেকে নেমে ঐদিকটিতে দ্রুত এগিয়ে যাই। কাছাকাছি পৌঁছে দেখি, লোকে লোকারণ্য। কিন্তু কোন 'মানুষ' নেই !! আমি জিজ্ঞেস করতেই ভদ্রমহিলা হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। তীব্র ভাষায় বলতে থাকেন, আমার পেটে বাচ্চা, সালোয়ার-কামিজ পরিহিতা তাঁর ঈষৎ স্ফীত পেটের দিকে দেখিয়ে বলতে লাগলেন, ও সবার সামনে আমার পেটে ভীষণ জোরে লাথি মারল, এতগুলো লোক কেউ কিছু বলল না। তিনি দূরে কোন একটি গাড়ীর দিকে ইঙ্গিত করলেন, ঐ যে চলে যাচ্ছে ... রিকশায় তাঁর পাশে আরেকজন তরুণী বসা, সেলফোনে হয়তো কোন নিকটজনকে ঘটনাটি জানাচ্ছেন ... উপস্থিত জনতার কাউকেই তিনি আর বিশ্বাস করেন না, কেননা আমি তাঁর কাছে বিষয়টি জানতে চাইতেই, তীব্র ক্ষোভ, ঘৃণা বা বিরক্তিতে তিনি উপেক্ষা করে কোন নিকটজনকেই হয়তো ব্যাপারটি জানাতে গেলেন। রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি শুধু নির্যাতনের ঘটনাটিই বিবৃত করতে পারলেন, আর তেমন বিশদ কিছু নয়।
এবার আর রাতে নয়, গ্রীষ্মের প্রচন্ড সূর্য্যের নিচে, প্রকাশ্য দিবালোকে একজন পুরুষ অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসে একজন গর্ভবতী নারী, সন্তানসম্ভবাকে পশুর মত নির্যাতন করলেন। উপস্থিত নারী-পুরুষ সম্মিলিতভাবে এই দৃশ্য উপভোগ করেছেন। আমি, একজন তৃতীয় শ্রেণীর গর্দভ, এই বুদ্ধিমান প্রাণীকুলের কাছে চেঁচিয়ে খুব পুরানো একটি প্রশ্ন জানতে চাইলাম, তাঁদের বিবেক বলে কিছু আছে কি না ? নারীটি যদি তাঁদের কারো বোন হতেন তবে তাঁরা কি করতেন ?? এবং যথারীতি, জাগ্রত জনতা নীরব, ভাবলেশহীন। শুধু একজন বৃদ্ধা জানালেন, তাঁরা নাকি ভেবেছেন যে, পুরুষটি হয়তোবা নারীটির স্বামী। বাহ্, কি মোক্ষম যুক্তি, স্বামী হবার ক্ষমতাতেই একজন পুরুষ জনসমক্ষে, প্রকাশ্যে, দিনের গনগনে আলোয় একজন নারীকে পাশবিক নির্যাতন করতে পারেন, পশুর মত নির্দয়ভাবে গর্ভবতী একজন 'মা'-কে আঘাত করতে পারেন। সাবাস !!
যখন একই সময়ে একজন বাঙালি নারী নিশাত মজুমদার আমাদের দেশকে টেনে তুলছেন এভারেস্টের উচ্চতায়, তখনই আমরা দেশের আপামর নারীদের ছুঁড়ে ফেলছি অন্ধকারের অতল গহ্বরে !
আমাদের কন্যা শিশুরা দেখবে কি ভয়ানক এক ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে তার জন্য।
আমাদের পুত্ররা শিখবে কিভাবে ভবিষ্যতে আত্মগৌরব ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে নারীর প্রতি সহিংস হয়ে উঠতে হবে তাকে।
উভয়েই শিখবে, চর্মচোখে চূড়ান্ত অন্যায় দেখেও কিভাবে নির্বিকার মৌনব্রত পালন করতে হয়।
আর আমরা, বিবেকবান ব্লগাররা, আসুন, আসুন .... চলুন এর প্রতিবাদ করে কী-বোর্ডে ঝড় তুলে চমৎকার অগ্নিঝরা সব মন্তব্য লিখতে ঝাঁপিয়ে পড়ি। এবং, তুমুল কিছু করে ফেলেছি, এই আনন্দে আমার মতো ব্লগাতে থাকি। অনেক অনেক হিট হবে, কত-শত বাহারী মন্তব্য, বিশ্লেষণ .... আহ্, এত পাওয়া রাখি কোথায় ?! কোন কোন রেকর্ড ভাঙল তা নিয়েও কেউ কেউ পোস্ট দিবেন। তবে কোন কোন বিজ্ঞজন আবার দ্বিমত করবেন ... প্রশ্ন তুলবেন ...
কি ব্যাপার, হিরো হবার শখ হয়েছে নাকি ?
ঢাকা শহরের নারী নির্যাতন কি সব আপনার সামনেই ঘটে ?
শুধু নারী বিষয়ক ব্যাপারেই কি লাফিয়ে নামেন ?
বুঝতে পারছি, আপনার আরো কিছু হিট দরকার।
ব্যাটা বেকুব, দেশ উদ্ধারে নামছে। পুরান পাগল ভাত পায় না, নতুন ....
হ্যাঁ, আমরা সমালোচনা, তর্ক-বিতর্ক-সন্দেহ সবই করছি, করব, কিন্তু আমাদের গোল্ড ফিস মেমোরীতে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বেমালুম ভুলে যাব এইসব বীভৎস ঘটনা আমাদেরই সমাজে ঘটেছিল, স্বাভাবিক হয়ে যাবে অস্বাভাবিক এই মৌনতা।
তবে, কিছু বোকা মানুষ চিৎকার করে বলবে, বলতেই থাকবে .....
বন্ধ করুন এইসব নষ্টামি, সরিয়ে ফেলুন এই স্টিকি পোস্ট।।
পঞ্চাশ হাজার হিটের প্রয়োজন নেই, দয়া করে পাঁচজন এগিয়ে আসুন।।
কী-বোর্ডের কালবৈশাখী যেন অন্তত প্রতিবাদের একটি বর্ষণের জন্ম দেয়।।
নতুবা নিশ্চিত জানুন .....
the very next target will be your daughters, sisters, mothers or your wives -- take it guaranteed.
NOWHERE TO RUN.
........................................................... .................... .............
আপডেট : তদন্ত কমিটিতে ব্লগার প্রতিনিধি পরিবর্তন (২১ মে ২০১২, রাত ০০:১৫ মি.)
জেনে খুবই ভাল লাগছে যে, সম্মানিত ব্লগারদের অনেকেই তাঁদের যাঁর যেধরনের সামর্থ্য, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা আছে, সেটি নিয়ে এগিয়ে আসছেন। এক্ষেত্রে সাংবাদিক, মিডিয়া কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, নারী অধিকার রক্ষা কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ স্বেচ্ছায় তাঁদের সহযোগিতার যে হাতটি বাড়িয়ে দিয়েছেন, সেকারণে আমি তাঁদের প্রতি অকুন্ঠ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ব্লগার শাহেদ সাইদ (সাইদুল ইসলাম) তেমনি একজন মহানুভব মানুষ, যিনি স্বেচ্ছায় এমন একটি কর্মকান্ডে তাঁর সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন। এইসব বিশাল-হৃদয় মানুষেরা, যাঁরা সামাজিক দায়বদ্ধতায় নিজের মূল্যবান সময় ব্যয় করে আর্তের পাশে এসে দাঁড়ান, এঁরা আমাদের চারপাশেই আছেন, তাই তো আমরা এগিয়ে যাবার সাহস পাই।
ব্লগার একরামুল হক শামীমের ব্যক্তিগত সমস্যার কথা আমি জানতে পেরেছি, তবুও তাঁর পক্ষে যতখানি সম্ভব, তিনি সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁকেও ধন্যবাদ।
ব্লগার শাহেদ সাইদ (সাইদুল ইসলাম)-এঁর প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও আস্থা প্রকাশ করছি। মঙ্গলার্থে, সম্মানিত সহব্লগারদের যেকোন সম্মিলিত সিদ্ধান্তে সমর্থন থাকল।
.................................................... ............................ ............
আপডেট : ছোটবেলায় শেখা যাদুকরী মন্ত্র -- "একতাই বল" ও আমার সংগ্রহে থাকা কিছু তথ্য (১৭ মে ২০১২, বিকাল ০৪:৩৩ মি.)
অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ..... ফিফাকে (ফিউশন ফাইভ)
প্রিয় ফিফা, আমার গত পাঁচ/ছয় বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে, সুপরিচিত সেলিব্রেটি ব্লগাররা কেন যেন স্টিকি পোস্টগুলো এড়িয়ে যান, যদি না
লেখাটা তাঁর নিজের বা খুব পরিচিত একই ঘরানার কারো না হয় !!
আপনি ব্যতিক্রম হলেন। ধন্যবাদ।
আপনার মেধা, সমৃদ্ধ তথ্য ও ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতার কারণে যেকোন বিষয়ে আপনার তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণ ও এর সময়োচিত উপস্থাপন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রটিকে একটি ভিন্ন মাত্রা দান করে, নিঃসন্দেহে। আমি, আমরা একারণে আপনার কাছে ঋণী, কৃতজ্ঞ।
স্টিকি পোস্টের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আপনার প্রদেয় তথ্যসমূহ ও বিশ্লেষণ অতি প্রয়োজনীয় ও একই সময়ে গুরুত্বপূর্ণও বটে। এব্যাপারে আমি নিজের বক্তব্য ও অবস্থান সকলের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
এক. ইউ ল্যাব কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটিতে ব্লগারদের প্রতিনিধি প্রেরণ যুক্তিযুক্ত কি না ?
যদি তর্কের খাতিরে (এবং অবশ্যই অবস্থাদৃষ্টে) ধরে নিই যে, ইউ ল্যাব কর্তৃপক্ষ প্রকৃত দোষীদের আড়াল করবার উদ্দেশ্যে এই তদন্ত কমিটিকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন বা করতে পারেন, সেক্ষেত্রেও তাঁদের এই উদ্দেশ্য সাধনকে ব্লগার প্রতিনিধিরা কঠিনতর করে ফেলতে পারবেন। প্রয়োজন শুধু তাঁদের যোগ্যতা ও মেধাকে (যেটা তাঁদের আছে বলে আমরা অবগত) সঠিকভাবে কাজে লাগানো। আর তদন্ত কার্যক্রমের পদ্ধতিগত ব্যাপারগুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখা। এব্যাপারে আইনী বিষয়ে অবগত ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও এই জাতীয় প্রায় ডজন খানেক কমিটিতে কাজ করবার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সহযোদ্ধা ব্লগারদের ভেতর আছেন, যিনি মনোনীত প্রতিনিধিদের এই ব্যাপারে সহযোগিতা করতে পারবেন, তবে পেশাগত ব্যস্ততার কারণে তাঁর পক্ষে কমিটির সদস্য হিসেবে সার্বক্ষণিক কাজ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া, কর্তৃপক্ষ সদিচ্ছার অভাব দেখালে, সহযোগিতা না করলে, অথবা প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানে গড়িমসি করলে অথবা সুনির্দিষ্টভাবে তদন্ত ব্যাহত বা ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করলে, প্রতিনিধিদ্বয় তদন্ত কমিটি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে পদত্যাগ করতে পারেন এবং তা অনলাইন/অফলাইন একটিভিস্টদের অবহিত করতে পারবেন। এর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া অনুধাবনের শক্তি ও বুদ্ধিমত্ত্বা সংশ্লিষ্ট সকলের আছে বলে আমি বিশ্বাস করতে চাই।
এছাড়া তদন্ত কমিটির সভাপতি কিংবা সম্পূর্ণ তদন্ত দলের প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশমালার সঙ্গে যেকোন সদস্য দ্বিমত প্রকাশ করলে, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর মতামত সুপারিশমালার সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারেন, যাকে আইনী পরিভাষায় সাধারণত Note of Decent বলা হয়।
দুই. ভিডিও ফুটেজ
সবাই ভিডিও ফুটেজের উপর গুরুত্বারোপ করছেন এবং ফিফা, জানাসহ অনেকেই অবিকৃত অবস্থায় সম্পূর্ণ ভিডিও ফুটেজটি হস্তান্তরের দাবী জানিয়েছেন। এই দাবীটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয়। নিশ্চিত করতে হবে, যেন সকল ভিডিও ফুটেজ অবিকৃত অবস্থায় থাকে। তবে একটি প্রয়োজনীয় তথ্য এই যে, মূল ঘটনাটি ঘটেছে রাস্তা ও ফুটপাথের ওপর, খোলা আকাশের নিচে। সেক্ষেত্রে সিসিটিভি, যা সম্ভবত ইউ ল্যাবের মূল ভবনের প্রবেশপথে স্থাপিত থাকতে পারে, বড়জোর, তা থেকে মূল অপরাধীদের সনাক্ত করা এতটা সহজসাধ্য হবে না। সর্বশেষ ছেলেগুলো অবস্থান নিয়েছিল ইউ ল্যাবের ভবনের মূল প্রবেশপথের সরাসরি সামনে ফুটপাথের ওপর ও তার পাশের গলিতে। সুতরাং, সিসিটিভিতে কতটুকু চিত্র ধরা পরেছে, সে ব্যাপারে আমি যথেষ্টই সন্দিহান।
তিন. অপরাধী/অপরাধীরা কি ইতোমধ্যে সনাক্ত হয়েছে ?
এব্যাপারে কিছু তথ্য কয়েকজন উদ্যোগী ব্লগার স্বেচ্ছায় আমাকে পৌঁছে দিচ্ছেন। সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ নিচে সন্নিবেশিত হল :
ক. সেই আলোচিত (বলা উচিৎ কি ধিক্কৃত ?) পেঁয়াজু-পুরী বিক্রেতাকে (মাঝখানে সিঁথি) চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। তর নাম 'তানভীর' বলে জানা গেছে। গতকাল কয়েকজন স্থানীয় যুবক তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে সে কাউকে চেনার কথা অস্বীকার করে। পরবর্তিতে চাপের মুখে সে বলে যে, সে ঐ ছেলেগুলোর আবাসিক ঠিকানা জানে। যুবকেরা ঐ ঠিকানায় গিয়ে ছেলেটিকে খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়। ঠিকানাটি একটি মেসের এবং সংশ্লিষ্ট ছাত্রটি ইউ ল্যাবের বলেই জানা যায়। যদিও এর সত্যতা কোনভাবেই নিশ্চিত করা যায়নি। এখন যদি কোন/কয়েকজন সাহসী ব্লগার সাংবাদিক/মিডিয়া কর্মীসহ ঐ এলাকায় যেয়ে এই 'তানভীর'-কে কঠোর জিজ্ঞাসাবাদ করে, তবে অপরাধীদের সনাক্ত করা সহজ হবে।
খ. ফিফা যে শিক্ষার্থীর নামের আদ্যাক্ষর দিয়েছেন, এবং কয়েকজন ব্লগার অত্যন্ত সঠিকভাবেই যার নামটি অনুমান করেছেন, তার সম্পর্কেও যতদূর জানা গেছে যে, সে ২০১১ ব্যাচের সম্ভবত মিডিয়া ও জার্নালিজম বিভাগের ছাত্র। এই সূত্র ধরেও আগানো সম্ভব। এক্ষেত্রেও তথ্যের সত্যতার বিষয়টি অনিশ্চিত।
গ. সবথেকে ভয়াবহ যে তথ্যটি যেটি আমি পেয়েছি, সেটি হচ্ছে ইউ ল্যাব কর্তৃপক্ষ চিহ্নিত সন্দেহভাজন ছাত্রদের সকল তথ্য, ছবি, প্রোফাইলসহ
তাঁদের ডাটাবেজ থেকে মুছে ফেলেছেন। আমি তথ্যটি বিশ্বাস করি না, কারণ একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উচ্চশিক্ষিত শিক্ষক ও প্রশাসকদের নৈতিকতা এতটা নিচে নামতে পারে না। --দুঃখিত, আমার পক্ষে এটি বিশ্বাস করা সম্ভব নয়। তদন্ত কমিটিতে ব্লগারদের প্রতিনিধিরা চাইলে প্রয়োজনীয় কারিগরী জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের (ব্লগারদের মধ্যেই আছেন, আশা করি) সহয়তায় বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে পারেন।
চার. ব্লগাররা কি অসংগঠিত ?
আমি তা মনে করিনা। তবে তাঁদের মধ্যে সমন্বয় সাধন ও আরেকটু দক্ষ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন রয়েছে।
[আমরা সবাই জানি, প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে অনানুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বপালনকারী মেধাবী ব্লগার পারভেজ আলমের পিতা গতকাল মৃত্যুবরণ করেছেন। পরম করুণাময় মহান আল্লাহ্তা'লার কাছে বিদেহী আত্মার অনন্ত শান্তি কামনা করছি, একই সঙ্গে দয়াময় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন সহযোদ্ধা পারভেজ ভাইকে এই শোক কাটিয়ে ওঠার শক্তি দেন।]
এই পর্যায়ে সহব্লগার নাহিয়ান বিন হোসেন -এর নাম অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য সমন্বয়কারী হিসেবে প্রস্তাব করলাম। এক্ষেত্রে তাঁর সম্মতি ও ব্লগারদের সমর্থন একান্তভাবে কাম্য।
এছাড়া ফেস বুক, অনান্য ব্লগ, অন লাইন-অফ লাইন মিডিয়ায় বা প্রচলিত যেকোন গণমাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে যাঁরা কাজ করছেন, বা যাঁরা কাজ করতে আগ্রহী, তাঁরা যেন 'সামহোয়্যারইনব্লগ'-এর অন্যতম সত্বাধিকারিণী সৈয়দা গুলশান ফেরদৌস জানা-র সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুন।
তাঁর মুঠোফোন নম্বর : ০১৭১৩০০৮৯০০
অথবা, আমাকে মেইল করতে পারেন sharbanasha[at]gmail.com
আবারো ধন্যবাদ দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক যুগান্তর, ডয়চে ভেলে এবং এবিসি রেডিও-কে -- একদল সাহসী মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহস দেবার জন্য।
........................................ ............................ .........................
জরুরী অতি জরুরী অতি অতি জরুরী আপডেট : ব্লগার প্রতিনিধিদের মনোনয়ন (১৭ মে ২০১২, রাত ০৩:৩৫ মি.)
হরতালের ব্যাপক আতংক ও তুমুল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে উপস্থিত ও সরাসরি টেলিফোনে যোগদানকারী ব্লগাদের ব্যাপক আলোচনা তুমুল জমে ওঠে। আজকের প্রধানতম আলোচ্যসূচী ছিল, ইউ ল্যাব কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটিতে ব্লগার তথা অনলাইন/অফলাইন একটিভিস্টদের পক্ষ থেকে দুই জন উপযুক্ত প্রতিনিধি মনোনয়ন। সময়ের স্বল্পতা ও জটিলতা এড়াতে ব্লগারদের সরাসরি অনলাইন ভোটে (মন্তব্যের মাধ্যমে) নির্বাচনের দীর্ঘ প্রক্রিয়াকে এড়িয়ে ব্লগারদের বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনায় সবচাইতে জোরালোভাবে উঠে আসা নামসমূহকে প্রস্তাব আকারে এই পোস্টের মাধ্যমে সকল সাধারণ ব্লগারদের কাছে উপস্থাপনের বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। মনোনয়নের ক্ষেত্রে যে যোগ্যতাগুলো বিবেচনা করা হয়েছে তা হলো :
ক. সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে তথা আইনী বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বা প্রায়োগিক অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা
খ. তদন্ত বা অনুসন্ধানী পেশার দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তি, যেমন সাংবাদিক বা মিডিয়া সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ ব্লগার/একটিভিস্ট
উপরোক্ত বিবেচনায়, যাঁদের নাম প্রস্তাব আকারে পেশ করা হচ্ছে তাঁরা হলেন,
১. ব্লগার একরামুল হক শামীম
২. ব্লগার আশীফ এন্তাজ রবি
সকল সম্মানিত ব্লগারদের উপরোক্ত বিষয়ে ও প্রস্তাবিত মনোনয়নের ব্যাপারে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত ১৭ মে ২০১২, দুপুর ১২:০০ ঘটিকার আগেই জানানোর অনুরোধ করা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাজে কারো যথাপোযুক্ত পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে অথবা ভিন্ন ব্লগারের বিকল্প নাম প্রস্তাবের ক্ষেত্রে উপযুক্ত যুক্তিসহ তা দ্রুত উপস্থাপনের আহ্বান জানান হচ্ছে। সর্বক্ষেত্রেই আমাদের স্মরণ রাখা একান্ত প্রয়োজন যে, পুরো প্রক্রিয়াটি ১৭ মে ২০১২, দুপুর ১২:০০ ঘটিকার মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
সকলকে ধন্যবাদ।।
............................................. ............................ ..............
আপডেট (১৬ মে ২০১২, দুপুর ০১:০৬ মি.)
ধন্যবাদ, 'প্রথম আলো' ...
মেইন স্ট্রীম মিডিয়া হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য যে দৈনিকটি এগিয়ে এলো.... তার নাম কি ? -- 'প্রথম আলো'। এটাই বাস্তবতা। ব্লগারদের আশার জায়গাটা হয়তো একটু বেশী বিশাল ছিল, সেকারণে হয়তো অনেকে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে অবশ্যই আমাদের সহিষ্ঞু হয়ে এটা অনুধাবনের চেষ্টা করতে হবে যে, একটি একেবারেই প্রথম শ্রেণীর জাতীয় দৈনিকের পক্ষে তার নিরপেক্ষতার প্রশ্নে চূড়ান্ত পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হয়। সেক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি বিশেষ বা ব্লগারের ভূমিকার তারীফ করা থেকে ঘটনাটির নির্জলা বর্ণনা বেশী জরুরী। যুগপৎভাবে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি রক্ষাও 'প্রথম আলো'র দায়িত্বের মধ্যে পরে। এবং, সে দায়িত্বটি 'প্রথম আলো' নিপুণভাবে পালন করেছে বলেই প্রতীয়মান হয়। আর ব্লগারদের সুতীব্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধ-আন্দোলনের ব্যাপারটি বা নারী লাঞ্ছনার বিপক্ষে শক্ত অবস্থানটির বিষয়টি তেমন জোরালোভাবে আসেনি বলে যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে এইটুকু বলতে পারি যে, 'প্রথম আলো' কর্তৃপক্ষ এজাতীয় ঘৃণ্য কার্যকলাপের বিপক্ষে শুধু অবস্থান গ্রহণই নয়, অতীতের মত ভবিষ্যতে স্ব-উদ্যোগী হয়ে কার্যক্রম গ্রহণের অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
সুতরাং, কৃপণতা কেন ? ... বলুন, "ধন্যবাদ, 'প্রথম আলো'।"
.......... ............................................ .............. .......
আপডেট (১৬ মে ২০১২, রাত ০৩:০৩ মি.)
মুক্তির মন্দির সোপানতলে ....
এক একজন ক্ষুদিরাম .. ... ....
প্রিয় ব্লগারবৃন্দ ও শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধুরা,
ইউ ল্যাব কর্তৃপক্ষ আমাকে একটি ই-মেইল পাঠিয়েছেন। সৈয়দা গুলশান ফেরদৌস জানা-ও তাঁকে পাঠানো ইউ ল্যাব কর্তৃপক্ষের একটি মেইল আমাকে ফরোয়ার্ড করেছেন। উভয়টিতেই ইউ ল্যাব কর্তৃপক্ষ সনির্বন্ধ অনুরোধ জানিয়েছেন যে, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাঁদের গঠিত তদন্ত কমিটিতে ব্লগারদের পক্ষ থেকে যেন দু'জন প্রতিনিধিকে দ্রুত মনোনয়নের মাধ্যমে যথাবিহিত অবহিত করা হয়।
প্রথমত, ইউ ল্যাব কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাঁদের এহেন শুভ পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।
দ্বিতীয়ত, জীবিকা ও পেশাগত ব্যস্ততায় অতি দ্রুত প্রতিক্রিয়া ও উত্তর প্রেরণ আমার জন্য কিছুটা দুরূহ, ইউ ল্যাব কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট সকলকে সেটি যুক্তিগ্রাহ্য বিবেচনায় রেখে সম্মানিত ব্লগারস তথা অনলাইন/অফলাইন একটিভিস্টদের সহযোগিতার সদিচ্ছার ব্যাপারে পূর্ণ আস্থাশীল হতে আহ্বান জানাচ্ছি। সকল সক্রিয় একটিভিস্টই ব্যক্তিজীবনে স্বাভাবিক পেশাগত ও পারিবারিক কর্মকান্ডে ব্যাপৃত থেকেও শুধুমাত্র সামাজিক দায়বদ্ধতার তাগিদে সকল সামাজিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মতামত, আলোচনা ও গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে থাকেন -- বিষয়টি যথাযথ অনুধাবন আমাদের সকলের জন্য জরুরী বলে বোধ করি।
তৃতীয়ত, অনলাইন/অফলাইন একটিভিস্টবৃন্দ মাত্র কয়েকঘন্টা পূর্বে ইউ ল্যাবের অনুরোধ সম্পর্কে অবহিত হয়ে তাৎক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে ১৬ মে ২০১২ তারিখে একটি সভা শেষে চূড়ান্তভাবে দুই জন প্রতিনিধি মনোনয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে স্থির করেন। তবে তার পূর্বে নিম্নবর্ণিত তথ্যসমূহ প্রয়োজন বলে তাঁরা অভিমত পোষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য ইউ ল্যাব কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপনে ঐকমত্যে পৌঁছেন :
১. তদন্ত কমিটিতে মোট সদস্যসংখ্যা ও তদন্ত কমিটির প্রকৃতি
২. তদন্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত ইউ ল্যাব কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিযুক্ত সদস্যবৃন্দের নাম ও পদবী
৩. তদন্ত কমিটির সূত্র ও পরিধি (Terms and Reference)
৪. তদন্ত পদ্ধতি (Rules & Procedures) [সুপারিশসমূহ অনুমোদন ও বাস্তবায়নের চূড়ান্ত ক্ষমতাসম্পন্ন পদাধিকারী ব্যক্তিবর্গের নামসহ] ও তদন্ত কমিটির ক্ষমতাবলীর বর্ণনা
উপরোক্ত তথ্যসমূহের প্রাপ্তিনিশ্চয়তা সাপেক্ষে আগামী ১৭ মে ২০১২, বিকাল ০৫:০০ ঘটিকার মধ্যে অনলাইন/অফলাইন একটিভিস্টদের মনোনীত প্রতিনিধিদের নামসমূহ ইউ ল্যাব কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট একটিভিস্টরা আশাবাদী।
ধন্যবাদ।।
..................... ............. .........................
আপডেট - ঘ ( ১৩ মে, ২০১২ রাত ০০:৫০ মি. )
ইউ ল্যাবের বিবৃতি, সাহসী জানা এবং আজকের ব্লগারস্ মিটিং
প্রথমেই সকল ব্লগার, অনলাইন একটিভিস্ট এবং আগ্রহী যে কাউকে ব্লগারস্ মিটিং প্রসঙ্গে ..
প্রস্তাবিত তারিখ : ১৩ মে ২০১২
প্রস্তাবিত সময় : রাত ০৮:১৫
প্রস্তাবিত স্থান : টি, এস, সি চত্বর, ঢা.বি.
আগ্রহী সবাই দয়া করে মন্তব্যের স্থানে উপস্থিতির ব্যাপারটি নিশ্চিত করুন।
ইউ ল্যাবের বিবৃতিকে অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানিয়ে পর্দার অন্তরালের যুদ্ধকে উন্মুক্ত করছি, আর কিছুক্ষণ পরেই ... একটু ধৈর্য্য প্লীজ ..
.................... .............................. ...............
আপডেট - গ ( কাজের কথা : কর্মপন্থা ) ( ১২ মে, ২০১২ দপুর ২:০১ মি. )
সরাসরি প্রসঙ্গে চলে যেয়ে বলছি, আমার কাছে সম্মানিত সহব্লগারদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব আর আলোচনার মাঝে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলোই বাস্তবতার নিরীক্ষে বেশী কার্যকরী মনে হচ্ছে ..
১. বসতে হবে একসাথে : এ ব্যাপারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণে আগ্রহী সম্মানিত ব্লগারদের/অথবা আগ্রহী যেকোন ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গদের দ্রুতই একত্রে বসতে হবে। এক্ষেত্রে যাঁরা অংশগ্রহণ করতে চান, দয়া করে তাঁদের 'মেইল আইডি' অথবা কন্ট্যাক্ট নম্বর মন্তব্যের ঘরে উল্লেখ করুন। এখানে আমি তথ্যগুলো আপডেট করব।
২. কেন বসব ? : কারণ সকলের আলোচনা ও সম্মতিতে পরবর্তী পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া ও সেটা সম্ভবপর হলে তা বাস্তবায়নের জন্য সমন্বয়ের কার্যকরী পদ্ধতি নির্ধারণ করা।
৩. প্রথম কাজ : আমার পোস্টের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, অপরাধীদের সনাক্ত করতে সকলের সাহায্য চাওয়া। সনাক্ত করা সম্ভব হলে তাদেরকে শাস্তির/জবাবদিহিতার আওতায় আনা, বিভিন্নভাবেই সম্ভব হতে পারে। কিন্তু এই মূল জায়গাটিতেই আমরা সবচেয়ে বেশী পিছিয়ে আছি।
৪. সনাক্তকরণ কিভাবে সম্ভব ? : সম্মানিত ব্লগার অিপ্রয় সত্য, অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে এবং আরো কেউ হয়তো সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে বর্বরগুলোকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন পজিটিভ আউটপুট পাওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে অনেকের প্রস্তাব মতে, ব্লগররা একত্রিত হয়ে দলবদ্ধভাবে অনুসন্ধান চালানোর পথটি খুব কার্যকরী বলে মনে হয়। তবে এক্ষেত্রে সমস্যা দু'টি :
(i) এতে করে অপরাধী ও তাদেরকে সহয়তাকারী দোসররা আগে থেকেই সতর্ক হয়ে গা ঢাকা দিতে পারে। তবে অিপ্রয় সত্য তাঁর পোস্টে যে 'পুরি-পেঁয়াজু' -এর দোকানদারের কথা বলছিলেন, এবং যে বর্ণনা দিলেন (মাঝখানে সিঁথি, নেশখোরদের মত চেহারা), তার চেহারাটা আমি স্পষ্টই মনে করতে পারি। পরিস্থিতির শেষ দিকে সে-ই বেশী হম্বি-তম্বি করছিল, আমাকে হুমকিও দিচ্ছিল। ওর কারণেই পরিস্থিতির মোড় অনেকটা ঘুরে যায়। আমি নিশ্চিত, ওর পর্যন্ত পৌঁছতে পারলেই বাকি বদমাসগুলোর খোঁজ বের করা যাবে।
(ii) দ্বিতীয়ত, দলবদ্ধভাবে অনুসন্ধান করতে গেলে ইউ ল্যাবের শিক্ষার্থীরা
(অথবা তাদের নাম ভাঙিয়ে অপরাধের প্রশ্রয়দাতারা), আক্রমণ চালিয়ে বসতে পারে। এক্ষেত্রে অপরাধীর দোসররা ইউ ল্যাবের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উস্কে দিয়ে পরস্থিতি ঘোলাটে করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালাবে। কয়েকজন তথাকথিত ব্লগার ইউ ল্যাবিয়ানদের পক্ষ নেবার ছুতোয় ফেসবুক ও ব্লগে এই প্রক্রিয়া অলরেডী শুরু করেছে। যদিও আমি আমার পোস্টের কোথাও, ইউ ল্যাব ইউভার্সিটিকে বা এর কর্তৃপক্ষকে অথবা এর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীকে কখনই দায়ী করিনি, তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগও করিনি। শুধু দু'টি তথ্য শেয়ার করেছি -- (ক) তারা নিজেদের ইউ ল্যাবের স্টুডেন্ট বলে পরিচয় দেয় এবং (খ) ঐ ইউনিভার্সিটির সামনে আমাকে টেনে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে, ও তার সামনে যাবার পরপরই তাদের হম্বি-তম্বি, গলার সুর পরিবর্তিত হয়ে যায়। এতে করে আপাত দৃষ্টিতে যদিও মনে হতে পারে যে, তারা ইউ ল্যাবেরই ছাত্র, তবে এটা কোন সুনিশ্চিত প্রমাণ নয়। তারা ইউ ল্যাবের ছাত্র হলেও কিছু এসে যায় না, না হলেও তেমনি। ইউ ল্যাব একটি পবিত্র বিদ্যাপীঠ, একে আমি এখনও যে শ্রদ্ধার চোখে দেখছি, জানোয়ারগুলো তাদের ছাত্র হলে বা না হলেও একইভাবে দেখব। অিপ্রয় সত্য ভাইও বলেছেন যে, পশুটা নিজেকে ইউ ল্যাবের ছাত্র বলেই পরিচয় দিয়েছে। এব্যাপারে ভুল বোঝা-বুঝির কোন অবকাশ দেখি না।
৫. আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা : পুলিশের কাছে সহযোগিতা চাওয়ার ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে পুলিশের ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা খুবই তিক্ত। সেক্ষেত্রে, নাহিয়ান বিন হোসেন ভাইয়ের পরামর্শটি আমার খুবই উপযুক্ত মনে হয়েছে -- র্যাবের কাছে সরাসরি অভিযোগ জানানো। ব্যক্তিগত সূত্রে যতটুকু জানতে পেরেছি, র্যাব এরকম ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপই নেয়। তবে তাদেরকে হয়তো অপরাধীদের সনাক্ত করে দিতে হবে।
৬. মিডিয়া কাভারেজ : সুপরিচিত ব্লগার পারভেজ আলম এ ব্যাপারে যা বলেছেন সেটার সাথে আমি একমত। প্রচলিত অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি আসলে আরও বেশী সমর্থন পাওয়া যেতে পারে, এবং এতে করে পরিস্থিতি মোকাবেলা সহজতর হতে পারে। কিন্তু ব্লগের কোন সাংবাদিক ভাই কি অনুগ্রহ করে এগিয়ে আসবেন ? অথবা, যথাযথ যোগাযোগ আছে এমন কেউ ?
৭. প্রশাসনিক সহায়তা : কেউ, কেউ কি আছেন ? ডাক দিয়ে যাই .. এগিয়ে আসুন, প্লীজ ( প্রয়োজনে পরিচয় গোপন রেখে যোগাযোগ করুন ) ? জনতার এই দুঃসময়ে .. আসবেন কি আপনারা ?
৮. ইউ ল্যাব কর্তৃপক্ষের সহায়তা : যেহেতু ঘটনাটির সূত্রে ইউ ল্যাবের ছাত্রদের নাম এসেছে .. সত্যও হতে পারে, মিথ্যাও হতে পারে .. সেই বিষয়টিতে কার্যকরী ও যথাপোযুক্ত পদক্ষেপ নিয়ে একটি নিরপেক্ষ পক্ষপাতহীন তদন্ত করা -- তা যেন তথাকথিত ঐসব সরকারী "উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি"-র মত না হয়, যেগুলোর তদন্ত রিপোর্ট কোনদিনই আলোর মুখ দেখে না, বা যেগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন তদন্ত শুরুর আগেই লেখা হয়ে যায়। আর ইউ ল্যাব কর্তৃপক্ষকে কথা বলতে হবে (যদি তাঁরা বলতে চান) এই 'সামহোয়্যার ইন ব্লগে'-র সকল প্রতিবাদী ব্লগারের প্রতিনিধিদের সাথে, শুধু মাত্র ভিকটিম, বা সংশ্লিষ্ট ব্লগের ব্লগারের সঙ্গে নয়। যাতে করে ভীতি প্রদর্শন বা ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার সকল সম্ভাবনা নিশ্চিতভাবে নাকচ করা যায়। তদন্ত কমিটিতে ব্লগারদের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তিও নিশ্চিত করতে হবে। অনুগ্রহ করে উল্লেখিত বিষয়ে ইউ ল্যাব কর্তৃপক্ষের আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ আশা করছি।
৯. মানববন্ধন, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন, মিছিল : এই কর্মসূচীসমূহ সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রশাসনকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে যথাক্রমে উৎসাহ যোগাবে ও চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এই উদ্দেশ্যে কর্মসূচীগুলো পালন করা যায়। তবে অপরাধীদের বিচার নিশ্চিতে নিকট অতীতে এজাতীয় কর্মসূচীর সরাসরি বা প্রত্যক্ষ ফলাফল কম।
১০. এবার আমি স্বয়ং : সকল ব্লগার ভাই, আপুদের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ, আপনারা যদি কোনভাবে প্রত্যক্ষ করেন যে, এই পুরো ঘটনাটি থেকে আমি ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হবার চেষ্টা করছি, 'নেতা' হিসেবে আবির্ভূত হতে চাইছি, 'হিরো' হবার চেষ্টা করছি, 'হিট' ব্লগার হবার খায়েশ হচ্ছে, প্লীজ ... আমার পশ্চাৎ দেশে, প্রকাশ্যে, উন্মুক্ত দিবালোকে কষে কিছু লাথি দেবেন, আপুরা ছেঁড়া জুতো আনতে ভুলবেন না। আদর্শচ্যুত হবার পরিণতি যেন আমাদের সকলের মনে থাকে।
আমার 'মেইল আইডি' : sharbanasha[at]gmail.com
এবার বলুন, কবে বসতে চান ? আগামীকাল ?
....... .......... ................... ............................
খুব সংক্ষেপে বলছি ..
দাঁড়িয়ে ছিলাম ধানমন্ডি এলাকার রোড ৫/এ, মেডিনোভার উল্টা দিকের মেইন রোডে। রাত তখন প্রায় ৯:৫০ এর মত বাজে। হঠাৎ দেখলাম, ইউ ল্যাব ইউনিভার্সিটির দিক থেকে কিছু উঠতি বয়সী ছেলে হেঁটে হেঁটে স্টার কাবাব যেদিকে, সেদিকে যাচ্ছে । একজন তরুণী দাঁড়িয়ে একটি সিএনজি অটোরিক্সার সঙ্গে কথা বলছিলেন। ছেলেগুলো তাঁর থেকে অনেক কম বয়সী হওয়া সত্ত্বেও হঠাৎ তারা মেয়েটির জামার নিচ দিয়ে হাত বাড়িয়ে পাজামার পেছন ধরে টান দিল .. দিয়ে হাসতে হাসতে এগিয়ে চলল .. ঘটনার আকস্মিকতায়, অপমানে তরুণীটি হতবিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, লজ্জায় মুখে কিছু বলার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছে। আর সহ্য করতে পারলাম না, দৌড়ে যেয়ে ছেলেটিকে পাকড়াও করে প্রতিবাদ করলাম। নিমিষেই ছেলেটির সঙ্গী-সাথীরা আমার উপর চড়াও হল। উপুর্যপরি কিল-ঘুষি-লাথি-চড় !! আমি চিৎকার করে এর প্রতিরোধ করতে চাইলে ছেলেগুলো তাদের ইউ ল্যাবের ছাত্র বলে পরিচয় দেয়। আমাকে টেনে সেদিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে। মেয়েটি আমার সাহায্যে এগিয়ে এসে হাও-মাও করে কাঁদতে থাকে। আশ-পাশে এরই ভেতর অনেক লোক জমে গেছে। তারা জানতে চাইলে আমি তরুণীটিকে দেখিয়ে ঘটনা বর্ণনা করি।
এখন আমার অবাক হবার পালা ..
লক্ষ্য করি যে, ইউ ল্যাবের ছাত্র, পাশের সিগারেটের দোকানদার, ছাত্রদের গাড়ী চালক সবাই ঐ বদমাস ছেলেগুলোর পক্ষে সাফাই গাচ্ছে, কেউ কেউ ওদের সমর্থনও করছে। বলার চেষ্টা করছে, রাস্তা-ঘাটে এরকম হতেই পারে, ওরা হয়তো একটা ভুল করেই ফেলেছে, কিন্তু তা বলে আমার এত বাড়াবাড়ি করা উচিৎ হচ্ছে না, ঝামেলা না বাড়িয়ে আমি যেন তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে যাই .. আর আমজনতার বিশাল এক অংশ নীরব, নিশ্চুপ। প্রতিরোধ দূরে থাক, অন্যায়ের প্রতিবাদটি পর্যন্ত কেউ করছে না।
হায়রে সুশীলতা, হায় এই একুশ শতকের সভ্যতা ..
হায় নারী নির্যাতন-হয়রানী আর ইভ টীজিং বিরোধী কঠোর আইন ..
হায়রে এই জাতির তথাকথিত জাগ্রত বিবেক ..
রেডিও-টিভি-সংবাদপত্র-ব্লগে এত প্রচার-বিক্ষোভ-আন্দোলন ..
কিছুই এই ২০১২ সনের আধুনিক ঢাকা শহরে প্রকাশ্য রাজপথে একজন তরুণীকে অপমানিত হবার হাত থেকে রক্ষা করতে পারল না ....
এত বিশাল আর বড় বড় বুলি আওড়ানো সমাজের মানুষ আমরা, এর প্রতিবাদ করার সাহস পর্যন্ত পাই না ..
( আমি যখন ঘটনাস্থল থেকে চলে আসছি .. তখন কিছু যুবক ছেলে আমাকে একান্তে বল্ল .. ভাই, কষ্ট নেবেন না, এখানে আমরা নিরুপায়। আশ্চর্য, এই যুবক বয়সের ছেলেগুলো তখন মেয়েটি বা আমার পক্ষে টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করেনি। )
তবে আমি এখন আপনাদের সাহায্য চাইছি, সামহোয়্যারের এক লক্ষ ব্লগারের সাহায্য চাচ্ছি, নিজের সীমিত ক্ষমতায় যদি পারি তবে এই অন্যায়কারীদের শাস্তির ব্যবস্থা করব।
আমি প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে সামুতে ব্লগিং করি। আমি জানি, ইউ ল্যাবের অনেক স্টুডেন্টই এখানে এই ব্লগে আছেন, হয়তো এই মূহুর্তে ব্লগিংও করছেন। তাদের কাছে, তাদের বিবেক, শিক্ষা ও রুচিবোধের কাছে আমার অনুরোধ, যদি তারা আপনাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হয়-ও, তবু তারা অপরাধী, নারী নির্যাতনকারী, ইভ টীজার। প্লীজ, তাদেরকে সনাক্ত করতে আমাকে সহায়তা করুন। আপনারা একটু খোঁজ করলেই হয়তো বা কালকের (১০ মে, রাত আনুমানিক ৯:৫০) ঘটনাটি জানতে পারবেন। কেননা তখন সেখানে প্রচুর লোকের ভীড় জমে গিয়েছিল, তাদের বেশীরভাগই ঐ ভার্সিটিটির ছাত্র। দয়া করে কেউ যদি তাদের সনাক্ত করতে পারেন, এইখানে এই ব্লগে ঐ জানোয়ারগুলোর পরিচয় প্রকাশ করুন, আমার সীমিত ক্ষমতায় আমি তাদের প্রাপ্য শাস্তি নিশ্চিত করতে চাই, আর ব্লগে পশুগুলোর পরিচয় দিয়ে এই অমানুষগুলোকে সামাজিকভাবে বয়কটের আহ্বান জানাই।
আর একটি কথা, এটি ছাড়াও যদি কেউ কোনভাবে ঐগুলোর পরিচয় জানতে পারেন, যেমন ধানমন্ডির ঐ এলাকায় যদি কেউ থেকে থাকেন .. আর কোনভাবে ঘটনাটি জানেন, আপনারাও দয়া করে সাহায্য করুন।
এই সামহোয়্যার ইন ব্লগে লক্ষাধিক ব্লগার ব্লগিং করেন। তাঁদের বহুজনই নানাভাবে ক্ষমতাবান -- কেউবা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, পদস্থ সরকারী-বেসরকারী প্র
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১২ রাত ৩:১৬