বাংলাদেশের উর্বর মস্তিস্কের কর্তাব্যক্তিগণ আজ পর্যন্ত কোনো দেশের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারেনি অথবা ১০% - ৩০% যা বন্ধুত্ব - সম্পর্ক ছিলো তাও ধরে রাখতে পারেনি। আজ এতোদিন পরে এসে জানা যায় - বাংলাদেশ বার্মা “রাজধানী ঢাকা ৭০ ফিট পানির নিচে থাকা জলা ভাষানটেক এলাকার গর্বিত ফ্লাট মালিকের মতো অহংকারী ফ্লাটবাসী হয়ে ছিলেন” - সৌজন্যবোধের জন্য হলেও কারো বাসায় কারো এক প্লেট ফিরনি জর্দা পোলাও পর্যন্ত দেয়া নেয়া ছিলো না।
সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি, বর্তমানে বাংলাদেশে যখন পেঁয়াজ ক্রাইসিস চলছে তখন বার্মা তাদের সরকারী বেসরকারী গোডাউনে রাখা পেঁয়াজ সাগরে ফেলে দিচ্ছে। অভুক্ত পেঁয়াজ খাদক বাংলাদেশীদের কথা চিন্তা করে পার্শ্ববর্তী দেশ বার্মা হতে বাংলাদেশ পেঁয়াজ আমদানী শুরু করুক। “সম্পর্ক, সুসম্পর্ক - ভাষায়, ব্যাবহারে, ব্যাবসাতে তৈরি হয়, উস্কানীমূলক তর্ক বিতর্কে সম্পর্ক নষ্ট হয় - যেমনটা ব্লগে হচ্ছে, পরিবারে হচ্ছে, সমাজ, দেশ সহ আরব বিশ্বে হচ্ছে”।
চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবেনা এটি ভাবতেও অবাক হতে হয়, যেখানে বাংলাদেশ চীনা প্রোডাক্ট আমদানী নির্ভর একটি দেশ! আজ যখন শুনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন দ্বিমত পোষণ করেছে তখন ভাবতে হয় বাংলাদেশের কর্তাব্যক্তিদের মাথায় মস্তকের পরিমান সম্ভবত ছোলাবুটের সমপরিমান হবে!!! চীনা প্রোডাক্ট ইরান রাশিয়া তুরস্কে তৈরি হয়, বাদবাকী অন্ধ বাংলাদেশীদের অন্ধ ইলেক্ট্রনিক্স তা কোরিয়া জাপানে তৈরি হয়।
সম্পর্ক ধ্বসের কারণে বাংলাদেশর শিক্ষিত-অর্ধ শিক্ষিত-অশিক্ষিত জনশক্তি এখন দেশের জন্য বেকারত্বের অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই বেকারত্বের হার বেশি। বাংলাদেশের বেকারত্বের পরিস্থিতির বিশেষ কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে উচ্চ শিক্ষিতদের। আর তাদের নাম দেয়া হচ্ছে বেকার। এরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভাগা। তার মধ্য ছোট্ট একটি কারণ “জনশক্তি রপ্তানিতে বাংলাদেশ - মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর সহ মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে লক্ষ লক্ষ কিলোমিটার দুরে অবস্থান করছে”।
উপসংহার: - বাংলাদেশের কর্তাব্যাক্তিগণ ৭০ ফিট পানির নিচে থাকা জলা ভাষানটেক এলাকার গর্বিত ফ্লাট মালিকের মতো অহংকার পরিত্যাগ করে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু কাজ করবেন দেশের জন্য কিছু কাজ করবেন, তাতে বরং তাদের নিজের উন্নতিই হবে অবনতি নয়।
কৃতজ্ঞতা: - সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ। সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে এক দিগন্ত ভালোবাসা ও ধন্যবাদ লেখাটি নির্বাচিত পোষ্টে স্থান দেওয়ার জন্য।
ছবি: - গুগল সার্চ ইঞ্জিন