আমি ভাবতাম পৃথিবীতে সম্ভবত একমাত্র মানুষ সাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্স, যিনি মৃত্যুর পর বউয়ের কবরের বদলে শ্যালিকার কবরে শায়িত হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। মৃত্যুর পর তার ইচ্ছের প্রতি সম্মান জানিয়ে শ্যালিকার কবরে তার লাশকে স্থান দেওয়া হয়। স্ত্রী ক্যাথরিন বাইশ বছরের দাম্পত্য জীবনে ডিকেন্সের দশটি সন্তানের জন্ম দেন বটে; ভালোবাসা পাননি। ডিকেন্সের প্রকৃত ভালোবাসা ছিল শ্যালিকা মেরি বা অন্য নারীদের জন্য। মেরি মারা যাওয়ার পর তার হাত থেকে একটি আংটি খুলে নিয়ে নিজের আঙ্গুলে সারাজীবন পরে থাকেন ডিকেন্স। বিশ্বনন্দিত এ সাহিত্যিক ‘প্রেমিক পুরুষের’ পাশাপাশি ‘চমৎকার দুলাভাই’ও বটে...
কিন্তু আজকাল ডিকেন্স আর ইউনিক থাকতে পারলেন না। চারপাশে ডিকেন্সের মত ভুরি ভুরি মানুষ দেখতে পাচ্ছি যাদের জন্ম বাংলাদেশে কিন্তু ভালবাসে আসে-পাশের দেশকে, জন্ম মুসলিম পরিবারে (অন্তত মরলে জানাযা হয়) কিন্তু দেখায় ভালবাসে অন্য কিছুকে, নিজের স্ত্রী-সন্তানকে বঞ্চিত করে ভাগ্নীর বয়সী মেয়ের সাথে লিভ টুগেদার করে আবার মুখে নারীমুক্তি/নারী অধিকারের কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে (ওর বউটা কি তাইলে নারী না?) , গরীব/এতিমদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে সাধারণ মানুষের টাকা মেরে গাড়ীতে "মানবাধিকার" লিখে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এইসব জারজগুলো বউয়ের পেটে সন্তানের বীজ দিতে ছাড়ে না কিন্তু শোয়ার বেলায় শুইতে চায় শালীর সাথে। ধিক সহস্র ধিক...