আমাদের দয়াল নবীজীর অস্তিত্ব নিয়ে অবুঝদের ভুল ধারনা এবং
সটীক দিক নির্দেশ ।।
*************
আল্লাহর বানী অস্বীকার যারা করে তারা আল্লাহকে অস্বীকার করে
এবং যারা আল্লাহ কে অস্বীকার করে তারা নাস্তিক । আর যারা
নাস্তিক তাদের কোন ধর্ম নাই ।।
আল্লাহ কোরআনে ঘোষণা দেন , আমি আপনাকে সারা বিশ্বের
রহমত হিসাবে প্রেরন করিয়াছি ।।
এখন জানা চাই রহমত কি ?
নবীজী বলেন , আল্লাহ সর্বপ্রথম আমাকে বানাইয়াছেন এবং আদম
আ যখন কাদা মাটি জল মিশ্রিত তখনই আমি আল্লাহর রাছুল ।।
হাদিসে কুদসি ।।
রহমত হল আল্লাহর অদৃশ্য শক্তির এক গোপন রত্ন ভাণ্ডার ।
যার অভাবে বাতাস চল্বেনা , জীব সমষ্টি বাড়বেনা ।।
নবীজী বলেন আল্লাহ আমাকে এক মুষ্টি নুর দিয়ে সৃষ্টি করেন ।।
নুর মোবারক ১০০ ভাগ করে ১ ভাগ নুর দিয়ে তামাম সৃষ্টি বইচিত্র বানান ।।
এখন নুর আসলে কি তা জানা চাই ।।
ফেরেস্তারা নুরের তৈরি , নুর আল্লাহর এমন একটি গুপ্ত রহস্য
যে তাদের চর্ম চোখে দেখা যায়না ।।
অথচ তারা আমাদের দেখতে পায় এবং তাদের নানা কার্যকলাপ
আমাদের জীবন এর উপকারের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামত ও
বরকত হয়ে আমরা বেঁচে থাকি ।।
খাদ্য জল ফুল ফসল
১৮ হাজার মাখলুখাত বা সৃষ্টি জীব
সবই আল্লাহর নেয়ামত
আল্লাহ বলেন আমি তোমাদের কে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে দুনিয়ায়
প্রেরন করেছি ।।
জীন আর মানুষ এর বিচার হবে , বাদ বাকি ১৭ হাজার ৯ শত ৯৯
টি সৃষ্টি জীব কে আমি মানুষের উপকার এবং তাদের তাবেদার হিসাবে বানাইয়াছি ।।
নবীজী বলেন ৮০ হাজার আলম , আলম অর্থ জগত ৮০ হাজার
জগত আল্লাহ পাক বানাইয়াছেন । এ সমস্ত জগতের মধ্য পৃথিবী
একটি ছুট জগত ।।
আর নবীজী সমস্ত জগতের রহমত ।।
এখন মুল আলোচ্য বিষয় হল রহমত ছাড়া গাছের পাতা কেন
পিপিলিকার পা পর্যন্ত নড়েনা ।।
১৪০০ বছর আগে নবীজী দুনিয়ায় ইসলামের নিশান ওড়ায়ে
দুনিয়ায় মানব রঙে মানব বেশে আসেন ।।
আসলে কি তিনি মানব রঙের ।।
জগতের সব মানুষ জন্ম নেয় নেংটা হয়ে আর নবীজী জন্ম নেয়
বেহেস্তি পোশাক আবৃত হয়ে ।।
নবীজীর দুনিয়ায় শুভআগমনের সাথে সাথে মিশরের রাজ প্রাসাদে হাজার বছরের জলন্ত অগ্নি উপাসক অগ্নিকুণ্ড দপ করে নিভে যায় ।। এবং স্বর্ণ খচিত ১৪ টি রাজ তোরণ হেলে পড়ে ।।
মা আমিনা লক্ষ্য করে , আকাশের চাঁদ এর চাইতে নবীজীর চেহারা মোবারক অধিক উজ্জ্বল আর সে উজ্জ্বলতা একেবারে
সপ্ত আকাশ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছে ।।
নবীজীর দাদা দেখে জঙ্গলে বাঘ এবং হরিন এর দল এক হয়ে খুশিতে লাফালাফি করছে ।।
তাদের মুখে আওয়াজ মারহাবা ইয়া রাছুলুল্লাহ মারহাবা
অর্থ হে জগতের রহমত এস মোদের রহমত দাও ।।
রাখাল বালকেরা তাদের উট , ঘোড়া , ও নানা মেস এর দল
এর নিকট গিয়ে অবাক , তাদের মুখ হতে আওয়াজ আসে
খুশ আমদেদ ইয়া রাছুলুল্লাহ
গাছে গাছে পাখিদের গুঞ্জন , মক্কা বাসী ঘুম থেকে জাগে এক অপরূপ আওয়াজ শুনে ।।
ছালাম ইয়া রাছুলুল্লাহ , ছালাম ইয়া হাবিবুল্লাহ ।।
যত সৃষ্টি কুলমাখলুক জীন ইন্সান আর ফেরেস্তারা সবাই লুটায়ে পড়ে নবীজীর মোবারক শুভ আগমনে ।।
ভেজে তাজিমে লক্ষ কোটি দরূদ ছালাম ।।
আমাদের বা জগতের সব মানুষের ছায়া পড়ে সূর্যের আলোয় কিন্তু দয়াল নবীজীর মোবারক শরীরের কোন ছায়া ছিলনা ।।
উটের উপর সয়ার হইয়া যেদিন যাইতেন সফরে
মেধের আবর ছায়া দিত পাক নবীজীর উপরে ।।
এবং
দয়াল নবীজীর মোবারক পায়খানা পশ্রাব কেহই কোনদিন দেখেনাই ।।
এ বিষয়ে নবীজীর সহধর্মিণী আয়েশা সিদ্দিকা রা বলেন , তিনি যেখানে মোবারক পায়খানা পশ্রাব করতেন সাথে সাথে জমিন
ফাটিয়া তা গ্রাস করিয়া লইত , এবং আমরা ছুটে দিয়ে ঐ স্থানে
মাটির ডিলা কুলুফ পাইতাম , তা হতে এত মধুর ঘ্রান বের হত
যে দুনিয়ার যত আতর লুবান সে ঘ্রানের চাইতে ও ছিল অতি উত্তম ।।
মানুষ এর কাপড় এ ময়লা লাগলে সাবান দিয়ে ধৌত করলে
ময়লা পরিস্কার হয় আর নবী পাক সা এর পাগড়ি ওমোবারক হাতের
রুমাল আগুনে ফেলে দিলে তা পরিস্কার হয়ে যেত ।।
আরবের কোথাও যদি কারও বিয়ে সাদি হত তখন নবীজীর নিকট আসত শিশি লয়ে , নবীজীর পছিনা বা ঘাম মোবারক
তিনি শিশির মধ্য কয়েক ফুটা রাখতেন তারা জলের সাথে মিশিয়ে উত্তম ভাবে সবাইকে বিলিয়ে দিতেন সারা বিবাহ বাড়ি
নবীজীর দেওয়া সুঘ্রানে মন আমোদিত হত এবং সেই সুঘ্রান
কয়েক বছর যাবত থাকত ।।
এবং নবীজী পাক সা যার বাড়িতে দাওয়াত গ্রহন করতেন তার
বাড়ির যত খেজুর ও অন্যান্য ফল গাছ, নবীজীর রহমতের ছুয়ায় আরও বেশি করে ফলত । নবীজীর উত্তম সাহাবায়ে কেরাম
আবু আইয়ুব আন্সারির স্ত্রী নবীজীকে কিছু খেজুর এনেদিলে
তিনি তা ভক্ষন করেন এবং প্রশ্ন করেন আমাকে সব খাবার দিলে কিন্তু তোমরা খাবে কি ?
আবু আইয়ুব আন্সারি বলেন কেন আমাদের উত্তম মেহমান যদি
রহমত দেয় তাহলে আমাদের খাবারের অভাব হবে ।। নবীজী
অর্ধেক খাবার খেয়ে বাদবাকি বিচি ছাড়া খেজুর সাহাবাকে দিয়ে
বল্লেন বাড়ীর পাশে লাগাও গাছ হবে ফল হবে , বস্তুত তাই হল
সেই খেজুর বাগানে বিচি ছাড়া খেজুর হত ।।
এমন অসংখ্য রহমত এর মালিক যিনি তিনি কি করে আমাদের
মত মানুষ হবেন ।।
মা আয়েশা সিদ্দিকা রা একদিন নবীজীকে তার ওড়না দিয়ে
পেঁচীয়ে নবীজীকে আমুদ আহ্লাদে আটকাবার উদ্দেশ্য বলেছিল
আপনাকে আর ঘরের বাইরে যাবার দেবনা ।।
ওড়না শরীর মোবারক ভেদ করে তার হাতে চলে আসে , মা আয়েশা রা আশ্চান্নিত হয়ে প্রশ্ন করলেন তা কি করে সম্ভব । নবীজী বললেন আমি কি তোমাদের মত মানুষ ।।
কোরআন এবং হাদিস সঙ্কলন থেকে ।।
চলবে ।।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






