সময়ের সংকীর্ণতায় ক্ষণিকের সন্ধ্যা
আষ্টেপৃষ্ঠে ঠিক যেন- আঁকাবাঁকা নদীর মত...
দ্বিধান্বিত নিঃশ্বাসে নিজেকে রাখে লুকিয়ে
স্নিগ্ধ ভোর নিদ্রাহীন ফুটে থাকে আঁখিতে তার
ওষ্ঠ-অধরে যেন বন গোলাপের অতৃপ্ত শিহরণ ।
আঁড়ালে পুষে রাখে খরস্রোতা প্রেম সমুদ্দুর...
আকাঙ্ক্ষার দেয়ালে চুরি হওয়ার সুখ লিখে রাখে
কোন অতন্দ্র বৈরাগী ভুল করে নীরবে অনুভব লিখবে
আঁধারের দেহে আবেগ দিয়ে উজ্জ্বল হাসি ফোটাবে !
আবেগ-অশ্রুতে বিভাজিত রাত্রি যাপণ...
মহাকালের কিছু প্রশ্নে তুমি জর্জরিত করো নিজেকে-
তুমি হন্যে হয়ে কাকে খোঁজো তোমার হৃদয়ে ?
তুমি কী যাচ্ছো হারিয়ে সুযোগ্য রাত্রিতে?
কোন অজানা ঘ্রাণে কী তুমি ভালবাসা খুঁজো ?
জেগে থাকা অমাবস্যায় তুমি কী জ্যোৎস্না দেখো ?
হৃদয়ের গর্জে উঠা কথপোকথনের শিহরণে তুমি কী নিশ্চুপ থাকো ?
জানালার মরচে পড়া গ্রিলে দাঁড়িয়ে...
তোমার কী ইচ্ছে করে ঠিকানাহীন বিহঙ্গের মত উড়ে যেতে ?
অতঃপর মহাকাল উত্তরের অপেক্ষায়...
এভাবে কত প্রহর তোমার নির্জন সন্ধ্যায় জ্যোৎস্নাঘেরা অমাবস্যা লুকিয়ে রাখবে তুমি ?
তোমার দেহে ভাঁজে প্রতিদিন কত পুরুষ যায় মরে !
তোমার নেশাক্ত কাজলের উষ্ণতায় ঝড় উঠে কত হৃদয় মন্দিরে !
তোমার এলো চুলে কত প্রহর অন্তর্ধান করে !
তোমার অহংকার ব্যাখ্যায় কত কবিতা যায় সহমরণে!
তুমি যখন আলতা পায়ে ছুটে চলো নূপুর রাজ্যে
মৃত্তিকার হৃদয়ে উঠে বিধ্বংসী কাঁপন !
তোমার অশ্রুপাতে কত মৃত হাতের অনুশোচনা !
অবশেষে...
তোমার মিথ্যে গুণগ্রাহীর লোভিত চক্ষু
নিভৃতে তোমার দেহে আঁকে সর্বনাশ ।
তুমি কী জানো ? অজান্তেই...
তুমি হাজারও অবিন্যস্ত পাপ-অনুভবে এভাবেই যাও মিশে...
দেহে তোমার বিষ জমে
তুমি অনুভব কর উত্তপ্ত লাল সমুদ্র...
নিজেকে নিজে উদ্ধার করতে যখন তুমি হিমশিম খাও
তখন তুমি অসহায় চিত্তে মহাকালের চোখে স্বপ্ন বুনো
এমন কারো অপেক্ষায় প্রহরের পর প্রহর দাও পিষে।
...কোন এক ভোরে উত্তরীয় বরফ রাজ্যে সূর্য ওঠে
তুমি বক্ষ উজাড় করে দাও তার তীর্যক তাপের সান্নিধ্যে
গলিয়ে দিতে সকল বিষাক্ত লাল বরফ!
নিজেকে তুমি ছিঁড়ে ছিঁড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখো
সমুদ্রে, শৃঙ্গে, গুহায়, অরণ্যে....
রাতজাগা বিহঙ্গরা বাসা বাঁধে তোমার অঙ্গে
আর তুমি ভেবে নাও, তুমি শুদ্ধ হয়েছো
পৃথিবী চক্ষু বুজে ভেবে নেয় তুমি সয়ে গেছো...
'ছেলে কবিতা'
'ছেলে কবিতা'(অপ্সরা'স চ্যালেঞ্জ!)
ছবি বন্ধু- গুগল ইমেইজ ।