সুরা বাকারা, আয়াত নং-৬২
নিঃসন্দেহে যারা ঈমান এনেছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, (তাদের মধ্য থেকে) যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে তার পুরস্কার তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না।
আয়াত অনুযায়ী ঈমানদার (আমলে সমস্যা), ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন (ইসলাম নেই) সৎকর্মশীল যারা আল্লাহ ও পরকালে ঈমান রাখে তাদের পুরস্কার পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সে পুরস্কার কোথায় কিভাবে দেওয়া হবে সে কথা বলা হয়নি। পুরস্কার দিবেন আল্লাহ, পুরস্কার দিবেন পরকালে এ জন্য এ দু’টি বিষয়ে ঈমান শর্ত থেকে বাদ দেওয়া যায়নি। তবে বুঝাগেল যারা সৎকাজ করেন আল্লাহ তাদেরকে পছন্দ করেন। আল্লাহ ও পরকালে ঈমান থাকলে আল্লাহ তাদেরকে খুশী করবেন ও তাদের ভয় দূর করবেন।
এ আর ১৫ আমার পোষ্টে এ আয়াত উপস্থাপন করেছেন কারণ আমি বলেছি জান্নাতে যেতে হলে মুসলীম হতে হবে। তো এ আয়াতে অমুসলীমদের জান্নাতে যাওয়ার কথা বলা নেই।তবে তারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করলে তাদেরকে পুরস্কার দেওয়ার কথা বলা আছে। আরো বলা হয়েছে তাদের ভয় থাকবেনা এবং তারা খুশী থাকবে। আলোচনার ধারামতে বুঝাযাচ্ছে স্থানটি জান্নাত নয় এবং জাহান্নামও নয় ভিন্ন কোন স্থান যা তাদের ঠিকানা হবে। জ্বিনদের বিষয়ে যেমন বিস্তারিত আলোচনা নেই, এ বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা নেই। এখানে ঈমানদার ও অমুসলীমদের সৎকাজের উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। এখানেও আল্লাহ ও পরকাল বিশ্বাসের শর্তরাখা হয়েছে।কাজেই এ আয়াতের প্রাপ্যতার বাইরে অনেকেই থেকে যাচ্ছে।মুসলমানদের মাঝেও যারা বে-আমলদার তারাও এ আয়াতের প্রাপ্যতায় সামিল হবে কারণ তারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে।কিন্তু আমলহীনতার কারণে তারা জান্নাতের জন্য বিবেচিত হতে পারছেনা।অবশ্য মেয়াদ শেষে সব মুসলমানের জান্নাতে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে মুসলমানছাড়া কারো জান্নাতে যাওয়ার কথা নেই।
বিঃদ্রঃ আয়াত মতে এ আর ১৫ হয়ত মনে করেছেন তারাও জান্নাতের ভাগিদার হওয়ার কথা, কিন্তু আয়াতে তাদের জান্নাতে যাওয়া বিষয়ে কোন ঘোণষা নেই।
ছবিঃ এ আর ১৫ এর ব্লগ
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯