যেহেতু তেঁতুলিয়া থেকে বাংলাবান্ধার দূরত্ব ১৫/১৬ কিলোমিটার, তাই প্ল্যান করলাম যে তেঁতুলিয়া থেকে বাংলাবান্ধা আসা যাওয়া না করে একবারে বাংলাবান্ধা নেমে ঘুরে টুরে তেঁতুলিয়া যাব। ঢাকা থেকে শ্যামলি স্লিপার অনলাইনে ১৮০০ টাকা, কাউন্টার থেকে কেটে জনপ্রতি ২০০ কম পেয়েছি। ফিরতি টিকেট ঢাকা থেকে ফোনালাপের মাধ্যমে কিনে জনপ্রতি ৪০০ করে কম পেয়েছি। তবে দুএকজন বলছিল যে বুড়িমারি বা নিউ ঢাকা এক্সপ্রেসের স্লিপার নাকি কিছুটা বেশি ভালো। এদিকে ট্রেনে করে ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের বীর সিরাজুল ইসলাম রেল স্টেশনে নামা যায়। সেখান থেকে ঘন্টাখানিক লাগে বাসে তেঁতুলিয়া যেতে।
বাসে ঢাকা থেকে রওনা হবার আগে চাঁদের ছবি তোলার কোশেশ করেছিলাম। জুম বেশি হলে ট্রাইপড ছাড়া ছবি তুললে সাব্জেক্ট জেলির মত এদিক ওদিক নড়তে থাকে । নীচের ছবিতে চাঁদ এক সাইডে কাইত হয়ে গেছে। এক্সট্রিম রুল অব থার্ড বলে চালাই দেব নাকি?
তবে বাংলাবান্ধা নামলে অসুবিধা এই যে খাবার হোটেল খুব একটা নেই। নামতে নামতে সকাল দশটা বেজে গেলে ভাত টাত খেতে হবে। তাই অনেকে তেঁতুলিয়া বাজার নেমে যায় । দেশি মুরগি, পেঁয়াজ ভর্তা, আলু ভর্তা, করল্লা ভাজি, শাক সহযোগে তিনজনে বিল হলো ৫০০ টাকা। তারপর গেলাম বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে।
পাথরের প্রবল প্রতাপ বাংলাবান্ধায়।
যেতে যেতে পথে চা বাগান আর চা বাগান। বাংলা বান্ধা থেকে ব্যাটারি রিকশা নিয়েছিলাম। সেখান থেকে ১৩/১৪ কিমি দূরে কাজী এন্ড কাজী চা বাগান, মিনি মীনা বাজার, ডেইরি ফার্ম ঘুরিয়ে তারপর তেঁতুলিয়া এসে পুরাতন বাজার, কাঁচা পাতার চায়ের দোকান, হলুদ বাঁশ বাগান, ডাকবাংলো সকাল ১১টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ঘুরিয়ে ৯০০ টাকা ।
তেঁতুলিয়া ডাক বাংলো থেকে দেখা মহানন্দা নদী।
ভারতের সীমান্তে সন্ধায় জ্বলে উঠেছে লাইট।
তেঁতুলিয়া ডাক বাংলো থেকে কাঞ্চনজংঘাকে দেখার আশায় গুড়ে বালি। গতবছর নভেম্বর মাসে কমবেশি দেখা গেলেও এবার ঘুরতে আসা প্রায় সবাই নাকি আশাহত হচ্ছে।
হায় হায়, তেঁতুলিয়া গেলাম অথচ তেঁতুল গাছের ছবিই তোলা হলো না
আরো কিছু ছবি
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৭