যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি যুদ্ধে চলে গেলো; ৯ মাসে ১ লাখ ২০ হাজারের মতো যুবকেরা জাতিকে মুক্ত করার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন।
মুক্তুিযোদ্ধাদের মাঝে বিবিধ গ্রুপের লোকজন ছিলেন: ইপিআর, বেংগল রেজিমেন্ট, আনসার, ছাত্র, কৃষক; এর বাইরে কিছু ছিলো না; শুনে শুনে বা বেকুবী আইডিয়া নিয়ে লেখার জন্য অনেক বিষয় আছে; কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা উহার মাঝে পড়েন না। জাতির সাড়ে ৭ কোটীর মাঝে সাড়ে ৬ কোটী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন।
সাড়ে ৬ কোটী মানুষ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার সরাসরি যুদ্ধে গেছেন; আবার মাত্র ১ কোটী, যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, তাদের থেকে ৫৫ হাজার রাজাকার হয়েছিলো।
রাজকার কাহারা হয়েছিলো? জাতির আবর্জনারা। ১টা ছোট উদাহরণ: ১৯৭১ সালের ঈদের ( ফিতর, ২০ শেষ নভেম্বর ) রাতে, যেড-ফোর্সের ছাত্ররা ১ জন রাজাকারকে ধরে; ২০/২২ বছরের গ্রামের ছেলে। সবাই বলছিলো, শ্যুট করে দাও; আমি না করলাম। ছেলেটি প্রাণ বাঁচানোর জন্য মিথ্যা বললো, সে মুক্তিযোদ্ধা। আমি কমান্ডারের নাম জানতে চাইলাম; সে যার নাম বললো, সে ছিলো সেই এলাকার কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার।
যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি, তাঁরা এই বিষয়ে লিখতে গেলে, সব সময় উহা আবর্জনায় পরিণত হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩