একই তারিখে দুইবার সূর্যদয়। তবে হংকং এর চেয়ে লস এঞ্জেলস্ এর সূর্যটা ছিল অসাধারণ। প্লেনের জানালায় দেখলাম, নীল আকাশের উপর এক রাশ তুলোর আস্তোরন। আর তারপর রং-তুলি দিয়ে টকটকা আবীরের আচড় টেনে দিয়ে দিয়েছে কেউ। আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় লস এঞ্জেলস্ বিমানবন্দরে নামলেও আমার দলে এক বন্ধুর ‘মাই নেম ইজ খান’ সমস্যার কারনে সেখানে দুই ঘন্টা লেট। সবার আগে বের হলাম আমি। ইউসিএসডি প্রতিনিধি দল আমাদের স্বাগত জানালো। একপাশে সমুদ্রের নীল জলরাশি, অপর পাশে উচু-নিচু পাহাড় ; মাঝখানে... হাইওয়ে ধরে চলে এলাম সরাসরি স্যানডিয়াগো লা-হল্লাতে। সেখানে বহুতল ভবনের একটা নতুন এ্যপার্টমেন্টে আমাদের থাকার ব্যবস্থা। দুটি বেড়রুম, একটি কিচেন, লম্বা বেলকোনী, দুটি স্টোর রুম, ড্রয়িং রুম, ডাইনিং স্পেস সব মিলিয়ে বেশ! লাগেজগুলো রিসিভশনে রেখেই প্রথমে সোজা রেষ্ট্রুরেন্ট। তারপর সুপার শপ। সেখান থেকে দৈন্দনিন প্রয়োজনীয় সব কিনলাম। ফিরে এসে শুরু করলাম নিজেদের মতো করে এ্যাপার্টমেন্ট সাজানোর কাজ। ওরা ওয়াশিং ড্রাইং মেলিনসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিকস্ মেশিন ও আসবাবপত্র সরবরাহ করল। গোছগাছ শেষে দীর্ঘ সাওয়ার নিয়ে লম্বা ঘুম। ঘুম থেকে উঠে দেখি রাত ২টা। প্রচন্ড ক্ষুধা লাগছে, কিছু একটা বানিয়ে খাওয়া দরকার। কাল হয়তো ইউনিভার্সিটিতে ইনফরমাল ওরিয়েনটেশন হতে পারে...
(এখনো পর্যন্ত ভালো আছি, ভালো লাগছে, কেবল একটি দুর্ঘটনা ছাড়া। তা হলো বিমানের মধ্যে এক বিশালদেহী চাইনিজ ব্যাটা শক্ত জুতা দিয়ে আমার পায়ে পাড়া দিয়ে এক আঙ্গুল মারাত্বকভাবে আহত করেছে )