নতুন গল্প লিখিয়েদের জন্য-গল্প নিয়ে গল্পামি
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
:::মুখবন্ধি:::
অনেকেই গল্প লিখতে চায়। মাথায় গল্প আছে কিন্তু সাজাতে গিয়ে ভজঘট হয়ে যায়। গল্পটা কেমন হবে? অল্প কথায়, নাকি বেশি কথায়, নাকি সহজ বুননে নাকি শব্দের মায়াজালে? কেমন হলে পাঠক পড়তে আগ্রহবোধ করে? সেটা সম্পূর্ণ করে বলা মুস্কিল। পাঠকের কথা বিবেচনা করে লিখতে চাইলে। গল্প লেখার ধরনে বা বুননে নতুনত্ব আনতে হবে। হয়তো সেইসব গল্পগুলো কালজয়ী হয়না তবে পাঠক সেই সব গল্পগুলোকে অনেকদিন ধরে যত্ন করে পড়ে।
যারা একেবারে নতুন এবং সাধারণ পাঠকের জন্য সহজ বুননে বা সহজ শব্দ,দৃশ্যপট দিয়ে গল্প লিখতে চান তারা আমার গল্প লিখবার পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। আর যারা কালজয়ী গল্প লিখতে চান বা শব্দের মায়াজালে নিজের অনুভূতি ফুটিয়ে তুলতে চান বা সাধারণ পাঠকের জন্য গল্প লিখেন না, বিনীত চিত্তে বলতে চাই তাহারা আমার গল্প লেখা শেখানোর পদ্ধতি অবলম্বন না করলেই বেশ ভালো হবে।
________________________________________
প্রারম্ভ:
কিভাবে লিখবো বা কিভাবে খুব সহজে গল্প লিখে শেষ করা যায়? এইসব নিয়ে আমার লেখার ডায়েরিতে অনেক আঁকি-বুকি করা হয়েছিল। আজ সেসবের খানিকটা তুলে দিচ্ছি অনেকটা অগোছালো ভাবেই। গল্প নিয়ে গল্পামী করার আগে নিচে একটি গল্প রচনা করবার সাময়িক ধারনা দেয়া হলো। যেখানে গল্পে মুল চরিত্রে একজন রয়েছে ক্রমান্বয়ে তাতে চরিত্র যোগ হবে। এ গল্পটি মুলত গল্প বলবার ভঙ্গিতে লেখা। এখানে যিনি গল্প লিখবেন তিনি নিজেই গল্পের মূল চরিত্রে অভিনয় করবেন।
গল্প সূত্র:
আমি ষ্টেশনে দাড়িয়ে আছি। ভর দুপুর।
মাটি ফাটা রোদ্দুর আজ ছড়িয়ে আছে সবখানে।
হাওর এক্সপ্রেস থামতেই পায়ের ছাপে ভরে উঠেছে পুরো প্লাটফর্ম। আমার চারপাশ ঘিরে আছে হকাররা। আমার দাড়িয়ে থাকা আজ ক্লান্তিতে পৌছাচ্ছে না, তারচেয়ে বরং ভালো লাগছে এই সব ব্যস্ততা দেখতে।
দুপুর রোদে আমার মতো যারা ঘুরছে ট্রেনে উঠবে বলে তাদের কিন্তু বিরক্তি বাড়ছেই। কিছুক্ষণ কাটবার পর সেই বিরক্তি গুলো হাওয়ায় মিশে এক হয়ে চলে গেলে ট্রেনের তথ্যসেবা নেবার কামরায়। কণ্ঠ গুলো দরজায় উঁকি দিয়ে বলছে, আচ্ছা বলুন তো কখন আসবে ট্রেন?
মোটা ফ্রেমের চশমায় চোখ বাঁকিয়ে ভেতরের লোকটি বললো, আসবে কিছুক্ষণ পর। আর কতক্ষণ বসে থাকা যায়। এইসব ভেবে সবাই ভীড় কমিয়ে চারপাশে ছড়িয়ে গেল। আমার কিন্তু বেশ ভালোই লাগছে।
আমি মোহনগঞ্জ থেকে বাড়ি ফিরছি, এসেছিলাম বিশেষ কিছু কাজ নিয়ে। আমার কাজ সম্পন্ন হয় নি। তবুও বাড়ি ফিরছি ।
দৈনিক পত্রিকা হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছি ভ্যাবাচ্যাকা হয়ে । কিছু দুরে পঙ্গপালের এক দল খুব সম্ভবত ওরা এক পরিবার কিংবা যৌথ পরিবারের কতক সদস্য একসাথে দাড়িয়ে আছে একপাশে। সে পাশটায় আবার একটা ভাঙ্গা বেহালা নিয়ে গান গাইছে এক কিশোর। কন্ঠ মধুর মতো না হলে কি হবে, বেহালা সুরের মাঝে একটা নেশা আছে। বোধকরি সে নেশাতেই অনেকে জমে আছে।
পত্রিকা ভাঁজ করে আমিও সেই নেশা নিতে গেলাম। কিশোর গান গেয়ে চলছে চোখ বন্ধ করে। আমার মতো বেশ ক’জন সুরের নেশা নিচ্ছে তা থেকে। আমি তন্ময় হয়ে গিয়েছিলাম। হঠাৎ পঙ্গপালের একজন এসে বললো আপনার দৈনিকটা একটু দেখতে পারি কি? এ মুহুর্তে অন্য ছেলেগুলো হলে আকাশ থেকে পড়বার ভান ধরতো বিশেষ করে কোন মেয়ে যখন পত্রিকা চাইছে। কিন্তু আমি আকাশ থেকে পড়লাম না, কোন কথা না বলে দিয়ে দিলাম পত্রিকা।
এর কিছুক্ষণ পর ট্রেন চলে এলো। গিয়ে বসলাম। ট্রেনের কামরায় আমার বসে থাকা জানালার ধারে বাতাস আসে কখনো-সখনো জোরে ডানা ঝাপটায় আমার মাথার চুল কপাল ছুয়ে যায়। আমি তাকিয়ে চারপাশে সময় কাটতে দেখি সবুজের ভুবন;দেখি পথচলা মানুষের পথ মাখানো রুপ। সেই রুপ দেখার মাঝেই, পত্রিকাটা নিয়ে আমার আসনের পাশে দাড়ায় তরুনীটি একটা ছোট্ট ধন্যবাদ দিয়েই চলে যায়। তরুনীর বাংলা বলা দেখে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছি কারণ আমি নিজেও পুরোনো ধাঁচের পশ্চিমা বাংলা বলতে পারিনা। এখানে আসার পর তো আঞ্চলিক ভাষাতেই মিশে গেছি। তাছাড়া বাংলার পথে যতদিন ঘুড়ে বেড়িয়েছি সেখানে বাংলা শুদ্ধ করে শেখা হয়নি।
আমি পাতা উল্টাতে গিয়ে থেমে যাই পাশের বেঞ্চে ওদের দিকে আমার চোখ পড়ে সাথে থাকা মলিন মুখের ছোট্ট মেয়েটির দিকে তাকিয়ে। আমি এগিয়ে যাইনা কিন্তু হাত ইশারায় তাকে ডাক দেই।
____________________________________________
গল্প কি?
যদিও যারা লেখালেখি করেন তাদেরকে এ বিষয় নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। পূর্বের সাহিত্যবিশারদের মতো দীর্ঘ কথায় না গিয়ে কম কথায় বলি- আমাদের চারপাশে যা ঘটছে তাই গল্প। জীবন কথা, স্বপ্নকথা, স্মৃতিকথা এসবই গল্প। সাহিত্যের ভাষায় এর ব্যাখা দিতে গেলে কয়েক পাতা হয়ে যাবে তাই এই নতুনদের কাছে খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে গল্প নিয়ে গল্পামি করবো।
গল্প কয় প্রকার বা কয়টা ধরন?
সাহিত্যে কয়েক ধরনের গল্প হয়। বড় গল্প, ছোটগল্প,অনুগল্প। তবে বর্তমানে কাব্যগল্প, অসমাপ্ত গল্প, যুগল গল্প লেখা হচ্ছে। পূর্বের লেখকরা ছোট গল্পই বেশি লিখতেন। এখন বড় গল্প বেশি দেখা যায়না তার জায়গা দখল করে নিয়েছে অনুগল্প। বর্তমানে অনুগল্প আর ছোটগল্পই মুলত লেখা হচ্ছে। অনেক তরুন লেখক গল্পের মুল ধারাটাকে একটু বদলে সৃষ্টি করেছেন কাব্যগল্প (অনেকটা কবিতার মতো করে বলা গল্প)।
বর্তমানে অসমাপ্ত গল্প লেখা হচ্ছে কয়েকজন লেখকের সমন্বয়ে একজন গল্পটা শুরু করছেন বেশ কয়েকজন সেটাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। অসমাপ্ত গল্পের মতোই আরেকটি হচ্ছে যুগল গল্প । দু’জন গল্পকার মিলে একটা গল্প ভাগাভাগি বা এপিঠ-ওপিঠ লেখা করে লিখা।
গল্পের বিষয়বস্তু বা গল্প বিভাগঃ
বাংলা সাহিত্যে সবচে’ বেশি লেখা হয়েছে রোমান্টিক গল্প বা প্রেমের গল্প এ গল্প গুলো আদি যুগ থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্তও লেখা হচ্ছে। এছাড়া সামাজিক, পুরানিক, ঐতিহাসিক, রুপকথা, শিশু-কিশোর, রম্য, স্মৃতিমুলক বা আত্মজীবনী গল্পগুলো সমান ভাবে চলে আসছে। সায়েন্স ফিকশন, ভৌতিক, রহস্য, গোয়েন্দা কাহিনী ভিত্তিক গল্পগুলো বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। এইসব গল্পের ভীড়ে আগামী দিনের ঠাঁই করে নেবে কবিতা ও গল্পের সমন্বয়ে লেখা মুক্তগদ্য। অনেকে এটাকে অনুগল্প মনে করে থাকেন আবার অনেকে মনে করেন এটা কাব্যগল্প তবে যারা শব্দ নিয়ে খেলতে ভালোবাসেন তারা বলেন এটা মুক্তগদ্য যা পড়তে গেলে মনে হবে গল্প পড়ছি যদিও গল্পের ভেতরে যে গল্পটা থাকে সেটা মুক্তগদ্যে খুব কম লক্ষ করা যায়। যাদের আধো আধো গল্প আসে তারা মুক্তগদ্য লিখতে পারেন।
গল্প কি, কয় প্রকার, কয়টা বিষয় নিয়ে লেখা যায়, তা যখন জানা হলো তাহলে এবার গল্প লেখার জন্য গল্প খোঁজা শুরু করুন। পেয়ে গেলে কাগজ-কলম নিয়ে বসে পড়ুন। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে গল্প কোথায় খুজবো?
কোথায় খুজবো গল্পঃ নিজের জীবন থেকেই প্রথমে খোঁজা শুরু হোক গল্প। আপনার শৈশব নিয়ে লিখে ফেলতে পারেন স্মৃতিকথার গল্প। ছেলেবেলাকার মজার ঘটনা নিয়ে লেখা যেতে পারে শিশু-কিশোর গল্প। এরপর লেখা যেতে পারে নিজের জীবনের প্রেমের ঘটনা নিয়ে গল্প। বন্ধুদের প্রেমের কথা নিয়ে গল্প। জীবনে প্রথমবার হারানোর গল্প। ছোটবেলায় দাদীর মুখে শোনা ভুতের গল্পের সাথে কিছু কল্পনা মিশিয়ে লেখা যেতে পারে ভৌতিক গল্প। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষপট নিয়ে লিখতে পারেন রাজনৈতিক গল্প। এভাবে খুব সহজেই নিজের এবং চারপাশের ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়েই রচনা করা যায় সুন্দর সব গল্প।
তবুও যখন মাথায় গল্প আসেনাঃ
ভালো গল্প লেখার আইডিয়ার জন্য খ্যাতনামা কিছু বাংলা কথা সাহিত্যিকদের বই পড়তে পারেন এতে করে মাথা থেকে গল্প বেড়িয়ে আসবে। যারা একেবারে নতুন অবস্থায় গল্প লিখতে চান কারো গল্প অনুসরন করতে পারেন। সামাজিক গল্পের জন্য কবিগুরুর গল্পগুচ্ছ, ঘটনা বিহীন চমকপদ গল্পের আইডিয়ার জন্য পড়তে পারেন হুমাযুন আহম্মেদ এর শীত ও অন্যান্য গল্প বইটি। সমরেশ মজুমদারের ১০১ বইটি পড়তে পাড়ের বিভিন্ন গল্পের আইডিয়া মাথায় এসে যাবে। গোয়েন্দা বা রহস্য গল্পের জন্য পড়তে পারেন সত্যজিৎ রায়ের বাছাই বারো বইটি পড়তে পারেন। সাধারণ গল্পের আইডিয়া থেকে বেড়িয়ে এসে অন্যরকম কিছু গল্পের ধারনা পাবার জন্য পড়তে পারেন জহিরুল হক, আক্তারুজ্জমান ইলিয়াছ এর গল্প সমগ্র।
যারা এই সকল বই সংগ্রহ করতে পারছেন না বা আলস্যের কারনে সংগ্রহ কার সম্ভব নয় বলে মনে করছেন তারা ব্লগে লিখে এমন কিছু দুর্দান্ত সৃজনশীল লেখকদের লেখা পড়তে পারেন। বেশ ক’বছর ধরে ভালো গল্প লিখে এমন ক’জন ব্লগ লেখক; ইমন জুবায়ের, মাহবুব মোর্শেদ, নৈর্ঝর নৈশব্দ্য, মেঘ অদিতি, হাসান মাহবুব, মামুন ম. আজিজ, জুলিয়ান সিদ্দীকি, রোডায়া, ভাঙ্গন, মাভেরিক।
বই, ইম্যাগ, লিটল ম্যাগ ছাড়াও গল্পের আইডিয়ার জন্য ভালো চিত্রনাট্য সম্বলিত নাটক, সিনেমা, আর্ট ফিল্ম দেখা ও সাহিত্য বিষয়ক কর্মশালায় অংশগ্রহন করা যেতে পারে তাহলে গল্প চলে আসবে মাথায়। গল্প মাথায় চলে আসার পর বা মাথায় গল্পের থীম থাকলে কিভাবে সেই থীমটাকে কাজে লাগিয়ে একটি সুন্দর গল্প আকারে প্রকাশ করা যায় সেই বিষয়ে সম্ভাব্য ধারনা থাকলে ভালো হয়। এখানে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা হলো আপনি কি অল্পকথায় গল্প লিখবেন? নাকি বেশিকথায় গল্প গাঁথবেন?
অল্প কথায় গল্প লেখা অনেকটা ছোট গল্প এবং অনুগল্প লেখার মতো। প্রথমে অনুগল্প নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।
(চলিবে)
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
পরের পর্বেই গল্প নিয়ে গল্পামি শেষ হয়ে যাবে। যারা আগ্রহী তারা চোখ রাখুন পরের পর্বে।
২৪টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।
ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন
কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী
ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন