somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

[/আমার ব্লগ ভাবনা।।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রায় প্রতিদিনই ব্লগবাড়ীতে একবার ঢু মেরে যাই। কেউ মন্তব্য করলে তার উত্তর দিয়ে যাই অনুসারিত পোষ্টে। পড়ি আবার ভাল লাগলে মন্তব্যও করি।তারপর ঘুরতে আসি,নির্বাচিত লেখায়। এখানে মন্তব্য করার চেয়ে পড়াই হয় বেশী।নিজের বাড়ীটাতে উকিঁ দেই,নূতন কেউ এলে তারবাড়ীতেও ঘুরে আসতে হবে যে। সব শেষ করে দৃষ্টি দেই প্রথমপাতার দিকে।
কত সুন্দর,সুন্দর লেখা। কোনটা তথ্যমূলক,কোনটা রাজনৈতিক,কোনটা সমাজ বা জনস্বার্থের কল্যানে। কিছু লেখা তো সরকারের দৃষ্টি আকর্ষনীয়।সব কিছু থাকতে পারলে আন্তর্জাতিক রাজনীতি,ভ্রমন বাদ থাকে কেন? না এগুলিও আছে। আর একটা থাকে ব্লগের সিংহভাগ অংশ এবং প্রভাবও বিস্তার করে থাকে সিংহভাগই, তাহলো কবিতা এবং ছোটগল্প।যার পাঠক এবং বোদ্ধার সংখাও যেকোন নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করর মত।।এরা সাধারনত ব্লগের সিনিয়র লেখক/পাঠক। কেউ কেউ বোধহয় জন্মলগ্ন থেকেই আছেন।
আর আছি আমি এবং আমার মতই নূতনরা।(ব্লগের পাতায় যখন নামটা এবং লেখা ছাপা হয়,তখন ক্ষুদ্রার্থে হলেও নিজেকে ব্লগার ভাবতে পারি।ভালও লাগে।অন্ততঃ যারা ব্লগ জানেন না ভাল করে, তাদের ঝাড়ি দিতে পারি যে আমি ব্লগ পড়ি এবং লিখিও। :-P ) আমাদের সাধারনতঃ লক্ষ্য থাকে চলতি কোন ঘটনা,নিজের ভাবপ্রকাশ,কেউ কেউ কবিতা ও গল্পও লিখে থাকেন।সাথে উল্লেখিত সবকিছুই থাকে শুধু নেই অভিজ্ঞতা(দয়া করে নূতনরা ক্ষমা করবেন)। যদি সবকিছু কেই জনপ্রিয়তার নিক্তিতে তুলি তাহলেও দেখি তাদের একেকজনের পাঠক এবং মন্তব্যের সংখ্যা,আমার পুরো ব্লগের সমান।
আর এর যুক্তিসঙ্গতঃ কারনও আছে।আমি নিজেই তো বেশ কয়েকজনের লেখার ভক্ত। বিভিন্ন লেখায় জেনেছি হারিয়ে গেছেন বা নিয়মিত নন অনেকে।বছর দেড়েক আগেও যাদের ব্লগ মাতাতে দেখতাম,দাপাতে দেখতাম,আজ তাদের লেখাও চোখে পরে না।অথচ একসময় দেখেছি এক একটা লেখা নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের সেকি যুক্তি-তর্ক।ঠিক বিনা-যুদ্ধে নাহি দেব সুচাগ্র মেদেনীর মত। গলাগলি কখনো গালাগালিতেও পরিনত হতো।কিন্তু পাঠকরা হতেন সবচেয়ে লাভবান।কারন নূতন কিছু জানার সাথে সাথে যুক্তি-তর্কের মিশেলে তা ১০০% না হলেও ৯৫%ভাগ সঠিকভাবে উপস্থাপিত হতো। নয়-ছয় দিয়ে বুঝ দেয়ার বা লেখার যৌক্তিকতা প্রমান করতে পারতেন না কেহই।আর এই পক্ষ-বিপক্ষের তর্কযুদ্ধটা এতটাই প্রানবন্ত হতো যে মনে হতো ট্রাম্প হয়ে গেছে।কিন্তু পরক্ষনেই দেখতাম ওভার ট্রাম্প।কাউকে কাউকে হেরে গিয়ে প্রকারান্তরে সেই হার স্বীকার করতেও দেখেছি।ব্লগের প্রান-ভোমরাই আটকে ছিল এখানটায়। :D :)
আজ এটা খুজে পাই না। বোধহয় সিনিয়রদের গোলটেবিলের বৈঠকে সির্ধান্ত হয়েছে যে,তর্কযুদ্ধের ক্যাচাল না করে, আমরা সবাই ভাই ভাই নীতি মেনে চলবো। =p~ (সিনিয়ররা দয়া করে ক্ষমা করবেন ভুল হলে।)বর্তমানে সব আছে নেই শুধু আগের সেই মন্ত্র!!
তাই বলে ব্লগ পানসে হয়ে গেছে,এটা বলা ভুল হবে।শুধু উক্তেজনা ছাড়া সবই বহাল তবিয়তে বিদ্যমান। সেই লেখাগুলি পড়ি আর ভাবি এত ভাল,এত গভীরতা,এত জ্ঞ্যান ইনাদের আসে কেমন করে :( ??আসলে ইনারা সময় নিয়ে আসেন। নিজের মন না ভরা পর্যন্ত ব্লগে থাকেন,লিখেন। ভাবেন দেশ ও সমাজকে নিয়ে।এমনকি পাড়ার ছোট্ট সমস্যাটুকুও দৃষ্টি এড়াতে পারে না।বেড়াতে গেলে তার অভিজ্ঞতা পাঠকদের জানাতে ভুলেন না। কবিতা আর গল্পে প্রেমের আধিক্য থাকলেও দেশ বা সমাজ নিয়ে যে একেবারেই লেখা হয় না ভাবা ভুল।অজানাকে সামনে তুলে আনেন অনেকেই,যা এই বয়সেও জানে হচ্ছে আমাকে,সীমিবদ্ধতার কারনে।বর্তমান আলোচিত বিষয়গুলিও তুলে ধরছেন অনেকে। এবং এসবের জন্য যে পরিমান মেধা এবং সময় তারা ব্যয় করছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। না হয় রইলো যুক্তি-তর্কের অবতারনা।।
আর আমি শুয়ে শুয়ে ভাবি কেন আমার লেখা পাঠক দৃষ্টি-আকর্ষনীয় হয় না,কেন বেী পাঠক পাই না??
হ্যাঁ হবে সেদিনই যেদিন আমি ব্লগের বাহিরে ব্লগ নিয়েই মগ্ন থাকবো।।
বিঃদ্রঃ আমার এ লেখা একান্তই আমার ভাবনাপ্রসুত।। অজান্তে কাউকে দুখঃ-কষ্ট দেয়ার বা কারো গুন-গান গাওয়ার উদ্দেশ্যে নয়।। ধন্যবাদ।।
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শুধু হিংস্র, আগ্রাসী নয় ভারত লুটেরা, লোভী এবং সাম্রাজ্যবাদীও বটে.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:১৪

শুধু হিংস্র, আগ্রাসী নয় ভারত লুটেরা এবং লোভীও....

জন্মলগ্ন থেকেই ভারতের হিংস্র ও আগ্রাসী। পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে চাওয়া এবং স্বাধীন থাকতে চাওয়া কিছু অঞ্চল যেমন হায়দ্রাবাদ, ত্রিবাংকুর, ভূপাল, যোধপুর, জুম্ম-কাশ্মীর,... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গলা-বুক জ্বালা দেখে অম্বলের ওষুধ দিয়েছিলেন চিকিৎসক, চ্যাটজিপিটি ধরল ক্যানসার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:২৯






ক্যানসার ধরল চ্যাটজিপিটি! চিকিৎসকেরা ভুল ওষুধ দিয়েছিলেন। তাতে অবস্থা আরও খারাপ হয় মহিলার। চ্যাটজিপিটিই বলে দেয়, কী রোগ বাসা বেঁধেছে তলে তলে। চিকিৎসকেরা ধরতেই পারেননি। কিন্তু চ্যাটজিপিটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০০৮- ২০২৪, হাসিনা ভারতের জনম জনমের ঋণের কিছুটা শোধ করেছেন মাত্র

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০

২০০৮- ২০২৪, হাসিনা ভারতের জনম জনমের ঋণের কিছুটা শোধ করেছেন মাত্র

এআই দ্বারা তৈরিকৃত রাজনৈতিক কার্টুন—যেখানে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অসাম্যতা ও রাজনৈতিক নির্ভরতার প্রতীকী উপস্থাপন করা হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিক্ষকদের দ্বৈত চরিত্র এবং বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:১৬


বাংলাদেশে শিক্ষার মান নিয়ে সবার মুখে নানা রকম কথা শোনা যায় । কেউ কেউ বলছেন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি হচ্ছে , কেউ বলে দিন দিন তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। এপিআই প্ল্যান্ট

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:১৮




ওষুধে দুটো উপাদান থাকে। ওষুধের যে রাসায়নিক উপাদানটি মূলত রোগ সাড়ানোর কাজ করে, সেটিকে বলে এপিআই। দ্বিতীয় উপাদানটিকে সহকারি উপাদান বলে, যেমন— স্টার্চ, রং বা ফ্লেভার।

এপিআইয়ের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×