কৌশিক
কৌশিক এ স্বপ্নটা দেখবেন একেবারেই ভোর রাতে। সামহোয়ার ইন ব্লগে স্টিকি পোস্ট
"ঘরে বসেই টাককে গুডবাই জানান"! 
এদিন আর উনাকে সিগারেট নিয়ে টয়লেটে ঢুকতে হবে না। সিগারেট ছাড়াই লাইন ক্লিয়ার থাকবে। এতোদিন বৌয়ের চিরুনি নিয়ে অযথা চিল্লাপাল্লা করলেও টয়লেটে বসে থেকেই ভাববেন
"বৌকে এবারের বিবাহ বার্ষিকীতে এক ডজন চিরুনী গিফট করা যাবে"। এমন সুখের স্বপ্ন দেখে ঘুমের মাঝেই মুচকী হাসতে দেখলে বৌ দেবে ধমক! তারপরতো বুঝেনই।
ফিউশন ফাইভ
রাত তখন প্রায় সাড়ে ৪টা। ফিউশন ফাইভের হাতে দৈনিক কালের কন্ঠ। বেগুনি কালিতে পুরো ৫ কলাম শিরোনাম
"আন্ধারমানিকে কয়লা খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার"! 
একই সাথে ব্লগে উনার
সর্বশেষ পোস্টে গণহারে মাইনাস পড়তে শুরু করেছে এবং ধোলাই খালের পাড়ে "
সচেতন নাগরিক সমাজ" ফিউশন রহমানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন শুরু করেছে। অবশ্য সাথে সাথেই উনার ঘুম ভাংলে গুগল ক্রোমের স্পীড ক্লিক থেকে ব্লগের পাতাটা খুলতে গিয়ে আতমখে উনার হাত পা....
হিমু
মূসার অ্যাভারেস্ট জয় কেন একটি সাজানো ঘটনা হবে না - এই মর্মে ডেইলি স্টার এবং প্রথম আলোকে হাইকোর্টের কারণ দর্শাও নোটিশ! 
সাত সকালে ডয়চে ভেলের প্রথম পাতায় এ খবর পড়ে টয়লেটে যাবার কথা ভুলে যাবে হিমু। সর্বশক্তি দিয়ে "পাইছি" বলে চিৎকার দেয়ার পর কলিং বেলের আওয়াজ শুনে ঘুম ভাঙবে। দরজা খুলে দেখবে বাইরে ডিউটিরত টহল পুলিশের দল। অনভিপ্রেত এ ঘটনার মুখোমুখী হিমু টের পাবে সে ঠিকমতো ইংরেজী বলতে পারছে না
অন্যমনস্ক শরৎ
খুব ফুরফুরে মেজাজে ঘুম থেকে উঠে হাতাকাটা গেঞ্জী পরে দন্ত মাঞ্জন করতে করতে শরত মিয়া গলির মাঝখান দিয়ে হাটছেন। একটি দর্জি দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দর্জি দোকান থেকে কোরাশ চিতকার এলো
"কাট ইয়োর বডি এর্কোডিং টু ইয়োর ক্লথ!"

তারপর ধরাধরি করে দর্জি দোকানের থিয়েটারে অপারেশন শুরু! – ঠিক এমন সময় শরৎ মিয়ার শব্দহীন গগণ ফাটানো চিৎকার। ভাগ্য ভালো যে পাশের টেবিলে বোতলটা ছিলো...
রাতমজুর
রামু মিয়ার দেশেগো, বিয়ার বাদ্য আল্লাহ বাজেগো... :#> :#> সারি সারি গরুর গাড়ির একেবারে সামনেরটা ছাগলের গাড়ি। গরুর গাড়িতে বরযাত্রী আর ছাগলের গাড়িতে করে যাবে বর। কিন্তু সমস্যা যে এখানেই। ছাগলের গাড়িতে করে যাবার জন্য কনে বিয়ে করতে রাজি হলো না। আর রামু মিয়ার বিয়া করা হইলো না। - অধিক শোকে পাথর রামু মিয়া ঘুম ভাঙার পর বিস্মিত না হয়ে বাড়ন্ত ভুড়ির উপর হাত বুলাতে বুলাতে আবার ঘুমিয়ে পড়লেন।
আরিফুর রহমান
সারাদিন ব্লগে ঘুরাঘুরির পর রাতে ঝিমুতে ঝিমুতে দেখলেন গালি দেয়ার মতো কোন পোস্ট নাই!

সবগুলো ছাগু মানুষ হয়ে গেছে। তাদের অনুভূতি যন্ত্রও অকেজো হয়ে গেছে। এসব দেখে হতাশ আরিফুর রহমান তাতক্ষণিক ব্রাউজার থেকে সামুর সব হিস্টোরি মুছে দিয়ে সোনার বাংলা ব্লগে বসতি নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। - ঘুম ভাঙার পর পাওয়ার সেভিং মুডে থাকা কম্পিউটারের মাউসটা নাড়িয়ে দেখলেন ব্লগের প্রথম পোস্টের শিরোণাম “আরিফুরের ব্যান চাই!”

... আবার চলতে থাকলো কী-বোর্ডের গুটগুট শব্দ...! আরিফুরের আর বিশ্রাম নাই।
শায়মা
ব্লগে পোস্টগুলো সব ঠিকই আছে, কিন্তু একটি মন্তব্যও নেই!

– এতটুকুন স্বপ্নেই শায়মা আপার নয়নে জল নেমে আসলো।

আর তার স্বামী বেচারা ভয় পাচ্ছে নারী নির্যাতনের মামলার। একজন আইনজীবীর ঘরে চিৎকার করে করে তার স্ত্রী কান্না করছে! না জানি কপালে কি আছে!
দুরন্ত স্বপ্নচারী
স্বপ্নটা ধারাবহিক না। খন্ডে খন্ডে দেখা স্বপ্নটা হবে এরকম – (১) শান্তিপূর্ণ ব্লগিং করার জন্য এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন “দুরন্ত স্বপ্নচারী”।

(২) প্লেন থেকে নামছেন স্বপ্নচারী।

(৩) পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠান কক্ষে প্রবেশ করতেই দেখলেণ তুমুল করতালির মধ্যে নোবেল শান্তি পুরস্কার নিচ্ছে
ব্লগার সবাক।

– ঘুম ভাঙতেই ... সবাইক্কা..... (১০ আলিফ টান হবে) বলে চিৎকার।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩৭