ইমাম এখন জেল হাযতে।
যে কোনও বিষয়ে উচিৎ কথা বলার জন্য আমাদের পাড়ার মসজিদের ইমামকে শিক্ষিত তরুন সমাজের সবাই বেশ পছন্দ করে। মসজিদ কমিটির টাকা মারা থামাতে ইমাম ছিলেন সোচ্চার আর তাবলীগের কুরআন-হাদিস বিরোধী কাজকর্মের বিরুদ্ধে উনার দৃঢ় অবস্হান। ধারনা করা হচ্ছে এই দুই পক্ষের আঁতাতই তাকে 'জামায়াত' আক্ষায়িত করে জেলে নেয়া হয়েছে।
প্রথমত, তিনি কখনও জামায়াতের কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে কোনও কিছু শুনি নাই। দ্বিতীয়ত, জামায়াত ইসলামী সাপোর্ট করে এমন অসংখ্য মানুষকে আমরা চিনি যারা প্রত্যেকেই মানুষ হিসেবে খুবই ভাল। তৃতীয়ত, তাকে তো কখনও হরতালে বের হতে দেখি না।
তাহলে সমস্যা দুইটা। তিনি কেন টাকা মারার বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার ছিলেন? আর কেনই বা তিনি শক্তিশালী তাবলীগের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেন?
উচিৎ কথা বলার জন্য যে তরুন সমাজ জেগে উঠেছে তারা তো শাহবাগে। সেখানে একজন সৎ ইমামের বিরুদ্ধে যেই অপরাধ করছে পুলিশ, আপনি কি এর বিরুদ্ধে কিছুই বলবেন না?
না, বলবেন না। উনার পক্ষে কথা বলতে গেলেই আপনাকে জামায়াত আক্ষায়িত করবে। কিন্তু তার মানে কি ইসলামের পক্ষে কোনও কথা বললেই আপনি রাজাকার?
আমি গুছিয়ে লিখতে পারি না। লিখতে পারলেও এই পোস্টটি কখনও স্টিকি হতে পারত? হয়ত হবে না, কারন সেই অভাগা লোকটি একজন ঈমাম। যদি শাহবাগে দাড়িয়ে ব্লগাররা এই ইমামের সুষ্ঠু বিচার দাবি করতে পারতেন, সেখানেই আমাদের স্বাধীনতার স্বার্থকতা। প্রজন্ম চত্বর, জিন্দাবাদ।