বার্মায় মুসলিম বসতির সুত্রপাতঃ
বার্মায় মুসলমান বসতির সুত্রপাত প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের কৃ্তি সন্তান বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ডঃ মুহাম্মদ এনামুল হক আরাকানের জাতীয় ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ ‘রাজোয়াং’ থেকে নিম্নোক্ত বিবরণ উদ্ধৃত করেছনঃ “খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর শেষ পাদে যখন আরাকান রাজ মহতৈং চন্দয় (Mahatoing Tsandya- 788-810 A.D.)রাজত্ব করিতেছিলেন, তখন কতকগুলি মুসলমান বনিক জাহাজ ভাঙ্গিয়া যাওয়ার ফলে আরাকানের দক্ষিন দিকস্থ ‘রনবী’(আধুনিক রামরী)দ্বীপে উঠিয়া পড়েন।তাঁহারা আরাকানীগণ কর্তৃক ধৃত হইয়া রাজার সম্মুখে নীত হয়েছিলেন।রাজা তাঁহাদের দুরবস্থা দেখিয়া দয়া পরবশ হইয়া তাঁহাদিগকে স্বীয় রাজ্যে গ্রামে গিয়া বসবাস করিতে আদেশ দিয়াছিলেন।”
ডঃ এনামুল হক মনে করেন যে, “রাজোয়াং–এ উল্লেখিত এ সব মুসলমান বণিক আরব দেশীয় ছিলেন এবং চাঁটগা থেকে উপকূল বেয়ে দক্ষিন মুখে যাবার পথে, কিংবা দক্ষিন উপকূল হয়ে উত্তরে চাটগাঁর দিকে এগুবার সময়ই ঝঞ্জাতাড়িত হয়ে সম্ভবতঃ তাঁরা রামরী দ্বীপে গিয়ে আশ্র্য় নিয়েছিলেন।”
কাজেই দেখা যাচ্ছে যে,আধুনিক বার্মা তথা আরাকান রাজ্যে মুসলমানদের বসতি স্থাপন নতুন কিছুই নয়।বরং সুপ্রাচীন আরবীয় ঐতিহ্য অনুসারে একই সাথে জীবিকা অর্জন ও ধর্ম প্রচারের সুমহান চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে মুসলমানেরা দলে দলে নৌ ও স্থলপথে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ সমুহে ছড়িয়ে পড়েছিল।এরই অংশ হিসেবে খৃষ্টীয় নবম শতাব্দীর প্রারম্ভে বার্মায় মুসলিম উপনিবেশ গড়ে উঠে। জীবন-জীবিকার অনিবার্য প্রয়োজনে স্থানীয় মহিলাদেরকে বিবাহ-শাদী করে তাঁরা সেখানে ধনে-জনে বর্ধিত হতে থাকে।
মধ্যযুগে আরাকান রাজসভায় বাংলাদেশীদের বিপুল প্রভাব প্রতিপত্তি লাভ ও রাজকীয় আনুকূল্য অর্জনের কথাও ডঃ এনামুল হক তাঁর “আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্য” প্রবন্ধে সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন।
মহাকবি আলাওল, মাগন ঠাকুর ওরফে কোরেশী মাগন (১৬৪৫খৃঃ-১৬৫৮খৃঃ), সোলায়মান, সৈয়দ মুসা, মুহাম্মদ খান, মজলিশ নবরাজ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ স্ব স্ব প্রতিভা ও কর্মকুশলতার গুনে আরাকান রাজসভায় বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার আসন লাভে সমর্থ হয়েছিলেন।মহাকবি আলাওলের (১৬০৭খৃঃ-১৬৮০খৃঃ) পীর সৈয়্যদ মসউদ শাহ কাদেরী (রহঃ) ছিলেন রোসাঙ্গের কাজী।কবির অপর তিন ভাইয়েরাও (১।সৈয়্যদ জালাল শা ২।সৈয়্যদ পরওয়াল শা ৩। সৈয়্যদ কুতুব শা) আরাকানের প্রসিদ্ধ মাশায়েখ ছিলেন বলে জানা যায়।চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান ফতেয়াবাদ নিবাসী বিখ্যাত আলম পরিবারের সদস্য, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সংস্কৃ্তিকর্মী জনাব মাহবুব উল আলম সাহেব (১৮৯৭খৃঃ-১৯৮১খৃঃ)১৯৩৭ খৃষ্টাব্দে বার্মার রাজধানী রেঙ্গুন সফরকালে মহাকবি আলাওলের কবর জিয়ারত করেন।তিনি ‘চট্টগ্রামের ইতিহাস’ শীর্ষক গ্রন্থে লিখেছেন যে, “আরাকানের প্রাচীন রাজধানী পাথুরী কিল্লা (মিউহাউং) এলাকায় কবির কবর রয়েছে। সেখানকার খন্ডলবাহার পাড়া ও পালঙ্গা পাড়ার মাঝখানে জোলাখালী নামক স্থানে মহাকবি আলাওলের সমাধিক্ষেত্র বর্তমান”। সেখানে তিনি মহাকবি আলওলের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা সৈয়দ কুতুব শাহ'র অধঃস্তন বংশধর জনৈক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান নামে এক আরাকানী ব্যক্তির সাক্ষাত লাভ করেছিলেন।তাঁর কাছ থেকে প্রাপ্ত, মাওলানা মুহাম্মদ কতৃক রচিত, কবির এক খানা বংশলতিকা পরে ১৩৪৪ বাংলার ‘পুরবী’ পত্রিকার ভাদ্র সংখ্যাতে প্রকাশিত হয়।সৈয়দ কুতুব শাহ'র বংশের চতুর্থ পূরুষ হলেন মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। মোহাম্মদ খলিলুর রহমানের রচিত উর্দু তারিখ (ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ) থেকে জানা যায়, “কবি রাজধানী মিউহাউং এর বন্দর এলাকায় বসবাস করতেন। মিউহাউং এ এখনও সাতটি পাকা মসজিদ রয়েছে।তম্মধ্যে প্রাচীন ‘সঙ্গী্কান’ মসজিদটি গৌড়ীয় পাঠান স্থাপত্য শৈলীর অনুপম নিদর্শন। বাকী ছয়খানা মসজিদের মধ্যে একখানা মসজিদ মহাকবি আলাওলের নামাঙ্কিত।অপরাপর মসজিদগুলির নাম হচ্ছে যথাক্রমে- আলম লশকরের মসজিদ, শুজা মসজিদ, আলা চাইঙ্গের মসজিদ, শোয়েবায়া মসজিদ, হামজা খোন্দকারের মসজিদ। আলাওলের নামে পরিচিত মসজিদটিকে স্থানীয় লো্কেরা ‘আনক ফকচাপালেত’ বা পূর্বদেশীয় মুসলমানদের মসজিদ বলে থাকেন।এ মসজিদটির উত্পত্তির সাথে আলাওলের সম্পৃক্ততা আছে বলে মনে করা হয়।” এ সকল বর্ণনা থেকে তত্কালীন বার্মার মুসলিম উপনিবেশের সমৃদ্ধিশালী অবস্থার কথা অবগত হওয়া যায়।
মোগল সম্রাট শাহ্জাহানের ১৬২৮খৃঃ-১৬৬০খৃঃ) পুত্রদের মধ্যে সিংহাসনের উত্তরাধিকার নিয়ে সৃষ্ট ভ্রাতৃকলহে পরাজিত হয়ে বাংলার এককালীন সুবেদার শাহজাদা সুজা (১৬৩৯খৃঃ-৬৪৭খৃঃ,১৬৫২খৃঃ-১৬৬০খৃঃ) নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে অবশেষে আরাকান রাজ্যে পালিয়ে গিয়ে রোসাঙ্গ রাজের কাছে আশ্রয় প্রার্থী হয়েছিলেন।পরে রোসাঙ্গ রাজের বিরুদ্ধে কথিত এক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।
ব্যর্থতায় পর্যবসিত ঐতিহাসিক সিপাহী বিপ্লবের সাথে জড়িত থাকার অহেতুক অপবাদ দিয়ে, বিচারের নামে প্রহসনের এক অতি ঘৃণ্য সাজানো নাটকের মাধ্যমে সর্বশেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ্ জাফরকে ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দে বেনিয়া ইংরেজরা বার্মার রাজধানী রেঙ্গুনে নির্বাসন দিয়েছিল।কারাগারের অভ্যন্তরে এক বদ্ধ প্রকোষ্ঠে, শতরকম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মধ্যেই তিনি রচনা করেছিলেন অসংখ্য সুবিখ্যাত পংক্তিমালা। যেগুলির একটি ছিল এ রকম,
“মরনে কে বাদ ইশক্ব মেরা বা আসর হুয়া,
উড়নে লাগি হ্যায় খাক মেরি, কুয়ে ইয়ার মে;
কেতনা বদনসীব হ্যায় জাফর, দাফন কে লিয়ে
দোগজ জমি না মিলি, কুয়ে ইয়ার মে।”
বংলা অনুবাদ করলে যার অর্থ দাঁড়ায় -
"ফুরালো এ খেলা,
পড়ে আসে বেলা,
সুর্য বসেছে পাটে,
চির নিদ্রায়
ডাকছে আমায়,
ঐ না কবর দেশে,
থাকবো না আর জেগে,
এতই হতভাগা জাফর,
যে তার দাফনের প্রয়োজনে,
স্বজনের দেশে
সাড়ে তিনহাত মাটি
তাও মিললনা।"
সোয়া তিন শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী, দিল্লীর মুঘল সালতানাতের সর্বশেষ প্রতিনিধি, মরমী কবি ও সুফী সাধক, কারাবন্দী সম্রাট বাহাদুর শাহ্ জাফর ১৮৬২ খৃষ্টাব্দের ৭ই নভেম্বর বিদেশ বিভূইয়ে, বন্ধুবান্ধবহীন অবস্থায় নির্জন প্রকোষ্ঠে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।লোক সমাগমের ভয়ে বাহাদুর শাহ্ জাফরের মরদেহকে রেঙ্গুন শহরের এক নির্জন এলাকায় অতি দীন-হীনভাবে, খুবিই তাচ্ছিল্যের সাথে সমাহিত করে ইংরেজ সরকার।সরকার।বাহাদুর শাহ্ জাফরের গুনমুগ্ধ ভক্তের দল তাঁর ইন্তেকালের দেড় শতাব্দী গত হবার পরও আজও তাঁকে ভুলতে পারেনি।প্রতি জুমাবার দিন নামাজের পরে আর ঈদের দিনে মুশায়ারার মাহফিল বসে।পঠিত হয় বাহাদুর শাহ’র অমর কাসীদা সমুহ।স্মরণ করা হয় এক অবহেলিত কবিকে।
এছাড়া রেঙ্গুনের মৌলিক ইতিহাস গ্রন্থ A History of Rangoon-(By B.R.Pearn)থেকে জানা যায়, বর্তমানে ‘ইয়াঙ্গুন’ নামে পরিচিত মায়ানমারের(বার্মা)রাজধানী রেঙ্গুন শহরের গোড়াপত্তন করেন ‘Alaung Paya’ নামে একজন রাজা ১৭৫৫ খৃষ্টাব্দের মে মাসে।ডাগন নামক গ্রামের ছোট্ট উপকুলীয় শহরে রাজা ‘আলংপায়া’ একটা বন্দর প্রতিষ্ঠা করেন।যার নাম দেয়া হয়-Yangon(Rangon)।যার অর্থ-End of Strife অর্থাৎ ‘বিবাদের অবসান’।আর সে সময় থেকেই রেঙ্গুন বার্মার প্রধান বন্দর হিসেবে গড়ে উঠে।কালে এ শহরটি Lower Burma এর রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায়।রাজা আলংপায়া’র গড়া রেঙ্গুন ছিল অতি ক্ষুদ্র একটা অঞ্চল নিয়ে।এর সীমানা ছিল উত্তরে ‘সুলে পেগোডা’ (Sule Pagoda, দক্ষিনে রেঙ্গুন নদী।পূর্ব ও পশ্চিমের সীমা ছিল যথাক্রমে Ezekiel Street এবং 30th Street পর্যন্ত।যার মোট পরিধি ছিল এক বর্গ মাইলের প্রায় আট ভাগের এক ভাগ এলাকা।এর কেন্দ্র ছিল সুলে পেগোডা’র পূর্ব পাশ পর্যন্ত যা আধুনিক রেঙ্গুনেরও কেন্দ্রস্থল বটে।
তাবৎ শিল্প বানিজ্যের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হওয়ার ফলে জীবন-জীবিকার সন্ধানে ভারত উপমহাদেশের মানুষদের পদচারণায় সরব হয়ে উঠে রেঙ্গুন সে ঊনবিংশ শতকের মধ্যভাগ থেকেই।তাই অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিংশ শতকের মধ্যভাগ(ষাটের দশক)পর্যন্ত প্রায় দীর্ঘ দুই শতাব্দীর ও অধিককাল ব্যাপী সমগ্র ভারতবর্ষের ভাগ্যান্বেষী মানুষদের আনাগোনা ছিল এ রেঙ্গুন শহরকে ঘিরেই।নগরীর অর্থনৈতিক গুরুত্ব বৃদ্ধির ফলে এক পর্যায়ে স্থানীয় বার্মিজ বৌদ্ধ জনগণের চেয়েও এখানে অস্থানীয় হিন্দু-মুসলমানদের সংখ্যা অতি দ্রুতলয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে ।১৯০১খৃঃ, ১৯২১খৃঃ ও ১৯৩১খৃঃ এর আদম শুমারীর রিপোর্ট সমুহ এ তথ্যের স্বীকৃ্তি দিচ্ছে।আদম শুমারী মোতাবেক দেখা যাচ্ছে যে, ১৯০১খৃঃ রেঙ্গুনের জনসংখ্যা ছিল ২,৪৮,০৬০ জন, ১৯১১খৃঃ ২,৯৩,৩১৯ জন। ১৯১১খৃঃ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী মোট ২,৯৩,৩১৯ জন অধিবাসীদের মধ্যে ভারতীয় ছিল ১,৮৭,০০০ জন এবং বার্মিজ ছিল ১,০৫,০০০ জন।১৯৩১খৃঃ মোট ৩,৪১,৯৬২ জন অধিবাসীর মধ্যে এখানে ভারতীয়দের সংখ্যা ছিল ২,১২,০০০ জন এবং বার্মিজদের সংখ্যা ছিল ১,২৮,০০০ জন।এখানে উল্লেখ্য যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতীয়দের মধ্যে হিন্দুদের তুলনায় মুসলমানদের সংখ্যা ছিল প্রায় অর্ধাংশ। নিচের পরিসংখ্যানে তা সুসস্পষ্টভাবে ধরা পড়ে।
১৯২১ খৃঃ ১৯৩১ খৃঃ
হিন্দু – ১,২৬,১৮৪ জন ১,৪০,৯০১ জন
মুসলিম- ৬১,৭৯১ জন ৭০,০০০ জন
মোট ভারতীয়- ১,৮৭,৯৭৫ জন ২,১১,৬৯২ জন
১৮২৪-২৬ খৃষ্টাব্দের মধ্যে ব্রিটিশরা রেঙ্গুন দখল করে নেয়। আবার ১৮৫২ খৃষ্টাব্দের দিকে দ্বিতীয় Anglo-Burmese যুদ্ধের পর ফিরিয়ে দেয়।সমগ্র বার্মা বৃটিশ রাজ্যভুক্ত হওয়ার পর এটি সারা দেশের প্রধান শহরে পরিণত হয়।সে থেকে এ শহরে ব্যাপকহারে আসতে থাকে ভারতীয়(বর্তমান ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ)অধিবাসীরা।রেঙ্গুন বার্মার প্রধান বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর পরিধিও বাড়তে থাকে ক্রমাগত।এসবের সাথে তাল মিলিয়ে বাড়তে থাকে রেঙ্গুন এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব।
বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে ৬০ এর দশক পর্যন্ত এ শহর ছিল ভারতীয়দের দ্বারা পরিপূর্ণ।ভারতীয়রা এখানে ব্যবসা-বানিজ্য এবং শিল্প প্রতিষ্ঠায় রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ১৮৫৫-১৮৭৪ খৃষ্টাব্দের মধ্যে এখানে আগা আহমদ ইস্পাহানী, মোহাম্মদ ইব্রাহিমজী ডূপলে, মোল্লা দাউদ, আবদুল ওয়ালী এবং জামাল ব্রাদার্স এর মতো উল্লেখযোগ্য মুসলিম ব্যবসায়ীদের কাজ-কারবার ছিল। বন্দরের উন্নতির সাথে সাথে যুগপথ উন্নয়ন ঘটে এর ব্যাংকিং ব্যবস্থার।ফলে ১৮৬১ খৃষ্টাব্দে এখানে ‘ব্যাংক অব বেঙ্গল’ প্রতিষ্ঠিত হয়, যা পরে ‘ইম্পেরিয়াল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
অর্থাৎ সেই উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকেই রেঙ্গুন শহর একটা স্বয়ং সম্পূর্ণ বানিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।যার চুড়ান্ত বিকাশ দেখা যায় বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকে।এ সময় থেকেই এ শহরে সিটি কর্পোরেশন ব্যবস্থা বহাল হয়।
বার্মার মুসলমান সমাজের গৌরব ব্যারিষ্টার এম এম রফি এম এল সি সাহেবের মত বিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব রেঙ্গুন এর সিটি করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট(১৯২৯খৃঃ)ও মেয়র (১৯৩৬খৃঃ) পদে সমাসীন ছিলেন।
তথ্যসূত্র-
১।পূর্ব পাকিস্তানে ইসলামের আলো- লেখকঃ চৌধুরী শামসুর রহমান, প্রকাশক-পাকিস্তান পাবলিকেশন্স,পুরানা পল্টন, ঢাকা, (দ্বিতীয় সংস্করণ-১৯৬৮ খ্রীঃ)।
২।সিরিকোট থেকে রেঙ্গুন- মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার ঃ চাঁটগা প্রকাশন, দিদার মার্কেট, চট্টগ্রাম,(প্রথম সংস্করণ-২০০৫ খ্রীঃ)।