৪র্থ পর্ব
১ম পর্ব
২য় পর্ব
৩য় পর্ব
সকাল ৭ টায় বাস ছারবে কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে, তাই ৬ টায় উঠে পড়লাম। উঠে জানালার দিকে তাকিয়েই দেখতে পেলাম অপূর্ব সুন্দর অন্নপূর্নার মাউন্ট ফিশটেইল এর চূরা। আমার জানালা থেকে এটা সরাসরি দেখা যায়।
গতকাল না দেখতে পাওয়ার খেদ ভুলে গেলাম। গোসল করে রেডি হয়ে নিলাম। গাটকি বোচকা বেধে নিয়ে একবারে নিচে চলে এলাম। হোটেল ম্যানেজার রমেশ তার গাড়িতে করে বাস স্ট্যান্ডে পৌছে দেয়ার ব্যাবস্থা করল। ট্যুরিস্ট বাস স্ট্যান্ডে পৌছে উঠে পড়লাম ব্লুস্টার ট্রাভেলস এ কাঠমান্ডুর উদ্দ্যেশ্যে।
কিছুদুর যাওয়ার পরেই প্রচন্ড কুয়াশায় সব কিছু অন্ধকার হয়ে গেল। ১ মিনিট আগেও কড়া রোদ ছিল, হঠাৎ করে এতো কুয়াশা দেখে ভয় পেয়ে গেলাম।
একটু পরে অবশ্য কুয়াশা ছেরে আবার রোদের মধ্যে চলতে শুরু করল।
বাসের মধ্যে বসে হঠাৎ চিন্তা এল নাগরকোটটা ঘুরে আসলে কেমন হয়। যেই চিন্তা সেই কাজ, প্ল্যান করে ফেললাম কিভাবে কি করব। ফোন দিলাম বিজয় দাদা কে। (এনার কথা বলেছি প্রথম পর্বে)। বিজয় দাদা নেপালে প্রথম দিন পরিচিত একজন বাঙ্গালী যিনি বাংলাদেশে ছিলেন। যাহোক, দাদাকে ফোন দিয়ে বললাম নাগরকট ঘুরবো, হোটেল আর প্রাইভেট কার কত খরচ হবে জানাতে। বিজয় দাদা কিছুক্ষন পর জানাল খরচ পড়বে ৯০ ডলার। এবার আমি ধরলাম তাকে যে এত দিতে পারবো না। ৬০ ডলারের মধ্যে ব্যাবস্থা করেন। দাদা কিছুক্ষন পরে ফোন করে ৬৫ ডলারে নাগরকোটের ১ নাম্বার ৩স্টার হোটেল এবং একটা প্রাইভেট কার ঠিক করলেন। সাথে পরের দিন আসার পথে ভক্তপুর ট্যুর। যেহেতু আমি একা, সেহেতু এই বেশি খরচ।
বিকেল ৩ টায় পৌছালাম কাঠমান্ডু। বাস নামিয়ে দিল। বাস থেকে নেমে বিজয় দাদাকে ফোন দিলাম। দাদা ট্রাভেল এজেন্টকে বলে দিল, ১৫ মিনিটের মধ্যে ট্রাভেল এজেন্টের ম্যানেজার গাড়ি নিয়ে হাজির। পুরা পেমেন্ট করে গাড়ি নিয়ে রওনা হলাম নাগরকোটের উদ্দ্যেশ্যে
ছবির নাম নিয়ে নো কমেন্টস

গাড়ি চলতে শুরু করল, আর আমি কাঠমান্ডু দেখতে শুরু করলাম। নাগরকোটের কাছাকাছি এসে গাড়ি উঠতে শুরু করল পাহারে।
আমার ড্রাইভার সরাসরি নিয়ে এল হোটেল ভিউ পয়েন্টে। এটাই এখানকার সবচেয়ে সুন্দর যায়গার হোটেল এবং সম্ভবত সবচেয়ে দামি হোটেল। এর ভারা ঠিক হয়েছে এক্রাত ১৬০০ রুপি। খাওয়া দাওয়া বুফে, খাওয়ার বিল আলাদা।
হটেলে উঠেই আমি অবাক, সরাসরি দেখা যাচ্ছে ল্যাংটাং হিমালয়ান রেঞ্জ। জীবনে প্রথম বরফের পাহার দেখলাম তাও দুনিয়ার সব চেয়ে বড় পাহার গুলার একটা। অন্যরকম অনুভুতি।
রুমে গিয়ে কাপর ছেরে জ্যাকেট পরে আগে ক্যামেরা নিয়ে বেরহলাম ছবি তোলার জন্যে।
হোটেল থেকে নেমে এলাম। ড্রাইভার কে জিজ্ঞাসা করলাম কোথায় নিয়ে যাবে। বলল নাগরকোট টাওয়ারে। অখান থেকেই সবাই দেখে পাহার। উঠে বসলাম গাড়িতে। নাগরকোট টাওয়ারে পৌছালাম। আমি উঠতে শুরু করলাম, ড্রাইভার পেছনে এল। টাওয়ারে উঠেই অদ্ভুদ সুন্দর হিমালয় পর্বত দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল।
আস্তে আস্তে সন্ধ্যা হয়ে এল। হিমালয় ও কুয়াশার আড়ালে ঢাকা পড়তে লাগল, ঠান্ডার পরিমান ও বাড়তে লাগল। নেমে এলাম টাওয়ার থেকে। সরাসরি হোটেল এ চলে এলাম। ফ্রেশ হয়ে বিশ্রাম নিলাম। মূলত জাপানী আর চীনা পর্যটকে ভর্তি এই হোটেল। রাতের বেলা হোটেল বয় এসে জানান দিয়ে গেল খাবার রেডি। চলে গেলাম ডাইনিং এ। বুফে খাবার, ভালই মেন্যু। খেয়ে দেয়ে রুমে এসে বিজয় দাদার ফোন, ঠিম ভাবে পৌছেছি কিনা। কিছুক্ষন পর ঘুমিয়ে পরলাম সারা দিনের ক্লান্তির কারনে।
আগামী পর্বে নাগরকোটের ২য় দিন এবং ভক্ত পুর ট্যুর নিয়ে লিখবো।