আজিজ মার্কেটে বইসা সকালে চারবাক সম্পাদক রিসি দলাই এর পক্ষ থেকা একটা দাওয়াতপত্র পাইলাম। তেনারা তেনাগোর পত্রিকাভিত্তিক প্রতিস্ঠানবিরোধিতার দশম প্রতিস্ঠাবার্ষিকি বছর উপলক্ষে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের ছাদের উপরে আহমেদ ছফারে স্মরন নিছেন।সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রঅলারা একসময় হয়তো খুব সংস্কৃতির বিকাশ কইরা উল্টায় ফালাইতো, কিন্তু এখনকার ঘটনা ভিন্ন। এইখানকার নির্বাহীগো বেশিরভাগরেই সংস্কৃতিভাবাপন্ন বইলা ভাবা কঠিন।আড্ডা মারনের জন্য দুইতলায় যে দুইখান ঘর আছে, সেগুলাতে তিন বেলা খাওন বেইচা তেনারা এই প্রতিস্ঠান চালান। তার একটা ঘরে আবার হাওয়া ভবন থেকা খেদানের পর চারদলিয় জোটের লোকজন টাইম পাস করতে আসেন, গভির রাত পর্যন্ত তেনারা ওইখানে গলা ফাটান। আর একটা ঘরে ওইখানের কর্মকর্তাগন অবসরে হিন্দি সিরিয়াল দেখেন।
ছফার নাম নেওনের নিয়তে আমিও ওইখানে গেলাম।
তো, ছাদে টেবিল পাইতা তার পিছনে ৭/৮ জন লোক বইসা আছে দেখা গেলো। ইম্প্রেসনির্বাহি আহমেদ মাজহার, কবি শোয়াইব জিবরান আর লুঙ্গিকাহিনিখ্যাত অরুপ রাহীরে আমি চিনতে পারলাম। ব্যানারে লেখা ছফা স্মরন উৎসব। তলে চিকনে ৪টা প্রতিস্ঠানের নাম লেখা আছে। তার একটা চারবাক, আর একটা খাওনের দোকান নালন্দা। শুক্কুরবারের আড্ডা আর জন অধিকার আন্দোলন বইলা আরও দুইটা নাম আছে।
নিচে তেনাগর নির্বাচিত লিটলম্যাগগুলার প্রদর্শন চলতাছে, চারবাকের ইস্তেহার ফ্রেমে বান্ধাইয়া সেইগুলির মাঝখানে রাইখা দিছে। চারবাকে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ওইখানে পরিস্কার, কিন্তু ছফার নাম নেওনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বুঝা গেল না। রিসি দলাইরে এই কথা জিগাইলে তিনি জানাইলেন, এইটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস। আমি বুঝলাম না। চট্রগ্রামের লিটলম্যাগকর্মি রুদ্র শায়করে দেখলাম চিপায় খারায় সিগারেট খাইতাছেন। তারে জিগাইলে তিনি জানাইলেন, ছফারে স্মরন নিতে লক্ষ্য ঠিক করনের কোন দরকার নাই। যার যখন মনে চাইবো তারা তখন নিব। তো আমার মনে হইলো, তাগো কথা ফইলা গেলে নিকট ভবিষ্যতে বাঙ্গালিরা সুন্নতে খাৎনার দিনেও দিন ছফার নাম লইয়া কাম শুরু করবো। যে কোন লক্ষ্যেই ছফা উপলক্ষ্য হইতে পারেন, ব্যানার ঝুলায়া প্রায়বুদ্ধিজিবিগো ডাইকা আইনা সেমিনার করন যাইতে পারে। আহা, ছফা যদি তার এই জনপ্রিয়তা নিজের চক্ষে দেইখা যাইতে পারতেন! যা হউক, কিছুক্ষন বসনের পর বুঝলাম, তেনারা একজন কইরা আসেন আর যা মন চায় বইলা ভাইগা পরেন। তার পর আর একজন আইসা তার উল্টাটা কন। মাঝখানে,আমরা আওয়াজ দিলে একবার রিসি দলাই খাড়াইয়া কইলেন, ইয়ংরা পরে কইবেন, সিনিয়ররা আগে শেষ করুক। পরে জানা গেল, সমমনা বক্তারা পরপর যেন এক সুরে বকতে না পারেন, তার জন্য বক্তা এইভাবে সেট করা ছিল।
এইভাবে তাগোর কন্টিনিউয়াস প্রসেস চলতে থাকল, আমিও মনে মনে জপলাম
জয় প্রতিস্ঠানবিরোধীগন
জয় ছফামৃত, জয় হউক।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৮