গতকাল গুলশানের আল মদিনা ফার্মেসীতে গেলাম কিছু ঔষধ কিনতে। এক ভদ্র মহিলা আসলেন ওমিপ্রাজলের জন্য। তবে তার দেশী কোম্পানীর ওমিপ্রাজল দিয়ে হবেনা। জার্মানীর টা লাগবে। দোকানদার আহলাদে আটখানা হয়ে ম্যাডামকে ঔষধ দিলো একেকটার দাম ৩০ টাকা
(দেশীটার দাম ৩ টাকা)
এরপর লিষ্টার মাউথ ওয়াস চাইলে দোকানদার বাংলাদেশী জেনারেল কোম্পানীর লিষ্টার দিলে মহিলা নাক শিটকে বলে উঠলো হাউ ডেয়ার ইউ গিভ মি রাবিশ বাংলাদেশী প্রোডাক্টস।
শরীফ কাদেরীর কলিজা ফেটে চৌচির হলো প্রতিবাদ করলাম মহিলাকে বললাম আপনার কি জানা আছে বাংলাদেশী ড্রাগ ইউরোপে রপ্তানী হচ্ছে গত কয়েক বছর যাবত। এছাড়া আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ইউরোপের ড্রাগ মার্কেট দখল করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ নিয়ে নাক শিটকালেন কেন?? আপনি ও তো বাংলাদেশী আমারও তো বলা উচিত ছি আপনী বাংলাদেশী প্রোডাক্টস। মহিলা আমার কথা শুনে হন হন করে দোকান থেকে বেরিয়ে গেলো। আশে পাশের লোকজন কিছুটা সস্তি পেলো আমার প্রতিবাদে।
হে তরুন প্রজন্, বাংলাদেশের ফুল ফলে বেড়ে উঠা প্রজন্ম, তোমাদের প্রতি আমার আকুল মিনতি দেশকে ভালোবাসো,দেশের মানুষকে ভালোবাসো। তোমার মা গরীব হতে পারে কিন্তু তবুও সে তোমার মা।
দেশের শ্রমিকের রক্ত পানি করা শ্রম দিয়ে গড়ে উঠা, অর্থনৈতিক শক্তি দিয়ে ল্যাক্সাস আর হারিয়ার নিয়ে ঘুরে বেড়ানো বড়লোকদের বলছি, জানি এই দেশ তোমাদের আর ভালোলাগেনা তোমাদের ডাকে ইউরোপের কালচার আর জীবন যাপন কিন্তু আগামীকাল যদি আমার শ্রমিক ভাইয়েরা মিলে সব মিল কারখানা বন্ধ করে দেয় তখন তোমাদের ফুটানী কই যায় দেখবো নে
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২২