গাহিতেছিলাম গান।

কে যেনো পেছনে আচমকা আসিয়া,
মারিলো হ্যাচকা টান।

মেজাজ চড়িলো সপ্তমে গিয়া,
তাকাইলাম ঘাড় বাকিয়া।

মেজাজ এবার অষ্টমে গেলো,
দেখি আয়শা টাকিয়া ।


বেয়াদপ মেয়ে কোথা পানে আসি,
ভাঙ্গিলো আমার ধ্যান।

আমায় দেখিয়া আসিতেছে তেড়ে,
এ যে সুস্মিতা সেন ।

বিপদে মোরে রক্ষে করো,
তোমা পানে মোর আর্জি।

ধাক্কা খাইয়া ছিটকে গেলুম,
তুলিলো রানী মূখার্জী ।

হাতে একখানা কাগজ গুজিয়া,
কহিলো আসিয়ো হোটেল।

আমি আছি, মোর সাথে রহিয়াছে,
কাজল ও আমিশা প্যাটেল ।

ছুড়িয়া তাহার চীরকুট কহি-

জীবনে দেখিলাম কত্ত,
ঠিক তখনই বাজিতেছে ফোন,
করিয়াছে লারা দত্ত ।

ছুঁড়ে ফেলে ফোন সমুদ্র জলে,
চলিলাম তির ঘেষে।
উদ্ভট দাবি লইয়া দাড়াইলো,
ক্যাটরিণা কাঈফ এসে।

আমি নাকি তার ছেলের জনক, :!>
এ কি দাবি হে মাওলা!!

গতবছর এই দাবি তুলিয়াছে,
বজ্জাত জুহি চাওলা ।

এই লইয়া কত কি যে হইলো,
মুখ দেখাইতে পারিনা।

সেইদিন পাশে দাড়াইয়াছে আসি,
শিল্পা শেঠী ও কারিনা ।
ভাবিতে ভাবিতে হোটেলে ফিরিয়া,
খুঁজেতেছিলাম চাবি।
প্রিয়াংকা চোপড়া চাবি হাতে লইয়া,
জুড়ে দিল এক দাবি।

তাহাকে লইয়া কাটাইতে হইবে,
এই রুমে এক রাত।


শুনিয়াছি ঠিক পাশের রুমে,
মল্লিকা শেরাওয়াত । :#>
এই আশা তোর হইবে না পূরণ,
বুঝিয়াছি এখানে আর না।

বিমানের টিকেট কাটিয়া দেখি,
পাশে টুইংকল খান্না ।

বিমান ছাড়িয়া বাসে চড়িলাম,
যাইবোনা বিমানে, ধুত!

আমায় দেখিয়া মুচকী হাসিলো,
কাংগানা রানাউত।

সারাটা পথ টাংকী মাড়িলো,
খারাপ মেজাজ ও মন।

তাহার পাশে বসি কম যায়নি,
দিপীকা পারুকন ।
আট ঘন্টা পরে ঢাকা নামিয়া,
ঘোলা দেখিতেছি চোখে। :-&
হঠাৎ ময়ূরী কোথা হতে আসি,
প্রকাশ্য দিবালোকে-:-&
জড়াইয়া ধড়ি- দুই গালে মোর,
যেইনা দিল চুমি।

আতংকে আর উৎকন্ঠায়,
ভাঙিয়া গেলো ঘুমই।


এত সুন্দর স্বপ্ন মাঝে সে,
কোত্থেকে এলো উড়ি।

স্বপ্নের শেষে বিপাশা না এসে,
এল মোটকী ময়ূরী ।




সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১:২১