গতকালের একটি সংবাদ "ধর্ষণ করে হত্যার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের ধারাকে অসাংবিধানিক বলে রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট"।
আমি আইনজীবী না আবার সংবিধান বিশেষজ্ঞ নই। স্বাভাবিক ভাবেই আদালতের রায়ের বিরোধিতা করা আমার এখতিয়ার বহির্ভূত তবুও দেশের একজন নাগরিক হিসাবে নিজের মতামত না জানিয়ে পারছি না।
'ধর্ষণ করে হত্যার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড' সংক্রান্ত ১৯৯৫ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ বিধান আইনের ৬(২) ধারাকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে রায়ে আইনটির ৬(৩) ও ৬(৪) ধারা এবং ২০০০ সালের সংশোধিত আইনের ৩৪(২) ধারাকেও অসাংবিধানিক বলা হয়েছে।
যতটুকু জানতে পেরেছি ১৯৯৫ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ বিধান আইনের ৬(২) ধারায় ধর্ষণ করে হত্যা ঘটানোয় কেবল মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিল। তবে ২০০০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আইনটি রহিত করা হয়। নতুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ৯(২) ধারায় ধর্ষণ করে হত্যার ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়। এতে পুরনো অপরাধের ক্ষেত্রে পুরোনো আইনের প্রয়োগ হবে বলেও বলা হয়।
একটি বিষয় লক্ষ্য করুন এক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প হিসাবে যাবজ্জীবন এর কথা বলা হয়েছে।
অর্থাৎ এই রায়ের আলোকে ধর্ষণ ও হত্যার মতন দুটি মারাত্তক অপরাধ করেও অনেকেই প্রাণ রক্ষা করতে পারবে।
আমার মতে এই রায় মারাত্তক ক্ষমার অযোগ্য দুইটি অপরাধকে উৎসাহিত করবে নিশ্চিত ভাবেই। কাউকে হত্যার স্বাভাবিক শ্বাস্তি মৃত্যু দণ্ড বিবেচনা করা হয় আর এই ক্ষেত্রে ধর্ষণ ও হত্যা দুইটি অপরাধ করার পরও অপরাধী মৃত্যুদণ্ড থেকে রক্ষা পেতে পারে রায়ের আলোকে। এমনকি ভবিষ্যতে একই অপরাধ করার পরও হয়ত আরও লঘু দণ্ডের প্রচলন শুরু হতে পারে আজকের এই রায়কে ভিত্তি/ বিবেচনা করে।
কিভাবে/কি বিবেচনা করে এমনটি করা হল!!
যেহেতু আমি আইন নিয়ে পড়াশোনা করছি না বা রাজনীতি করার ইচ্ছাও নাই সুতরাং আমার পক্ষে এই আইন পরিবর্তনের সুযোগ নেই তবে একজন রাষ্ট্রের সচেতন নাগরিক হিসেবে চাইবো যথাযত কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫