বদির মুখে বিরামহীন হাসি। জোহায়ের অবাক হল। বিরামহীন বানরহাসির মাধ্যমে এ লোক কী বোঝাতে চাচ্ছে? শুনানির মাঝখানে কিছুক্ষণের জন্য বিরতি দেয়া হল। জোহায়ের এ সময় নিজের পরিচয় দিয়ে বদির কাছে জানতে চাইল-
: এক্সকিউজ মি। আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে, খুশির মাইকোষ খুলে গেছে। আপনি এত খুশি কেন- জানতে পারি?
- অবশ্যই জানতে পারেন। হা হা হা।
: কাইন্ডলি বলবেন?
জোহায়ের কিছু বোঝার আগেই বদি তার তলপেটে খোঁচা মারল। গণতান্ত্রিক রাশিয়ায় গর্ভাচেভের পর ক্ষমতার দৃশ্যপটে ইয়েলৎসিন নামের মদ্যপ গোপাল ভাঁড়ের আবির্ভাব ঘটে। জোহায়ের সে সময় একদিন সকালবেলা সিএনএন দেখার সময় টেলিভিশনের পর্দায় তাকে দেখতে পেল। ইয়েলৎসিন আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নির্ধারিত আলোচনায় যোগ দিতে যাচ্ছেন। তার মুখে বদি স্টাইলের হাসি। দেখা গেল, যাওয়ার পথে নারী-পুরুষ যে তার সামনে পড়ছে- তিনি তাদের পেটে খোঁচা মারতে মারতে যাচ্ছেন। ইয়েলৎসিন সে সময় মাতাল ছিলেন- এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল। বদির ব্যাপারে কিছু আন্দাজ করা যাচ্ছে না। বদির বিরুদ্ধে ইয়াবার কারবার করার অভিযোগ রয়েছে। বদি নিজে ইয়াবা আসক্ত কিনা- জোহায়েরের জানা নেই। জানা থাকলে তার এ ধরনের আচরণের একটা কারণ খুঁজে বের করা যেত।
ভাবতেই অবাক লাগে এই বদিরাই নাকি আমাদের দেশের সর্বচ্চ পরিষদের সদস্য।