এই পর্বে থাকবে বাংলাদেশের তিনটি জনপ্রিয় স্থান। সামনে ঈদ। অনেকেই ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার প্ল্যান এরই মধ্যে করে ফেলেছেন নিশ্চয়ই। ভ্রমণ পিপাসা একটু বাড়িয়ে দিতেই এই পোস্টটি।
১। বান্দারবান ঃ আলোয় ধোঁয়া আকাশের নিচে পৃথিবীর বুক ঠেলে ওঠা বিভিন্ন গাছে ভরা জঙ্গল। আর পাশ দিয়ে কুল কুল করে বয়ে চলেছে পাহাড়ী নদী সাঙ্গু। পার্বত্য জেলাগুলোর প্রাণকেন্দ্র বান্দরবান শহর থেকে প্রতিটি রাস্তাই যেন কোন মহান চিত্রকরের তুলিতে আঁকা কতগুলো দৃশ্যাবলির এক অবাক সমন্বয়। যেতে যেতে এর প্রেমে আপনাকে পড়তেই হবে। অন্তত কয়েক’শ মোড়, পাহাড়ী রাস্তার চড়াই উতরাই আপনাকে অভিবাদন জানাবে প্রতিটি বাঁকে।
১। জলপ্রপাতের নাম নাফাখুম
২। আমিয়াখুম ঝর্ণা
৩। ঐ সামনে বড় পাথর আর তিন্দু। এখানে একদিন ক্যাম্প করে থাকা হয়েছিল।
৪। এই পাথরগুলো মনে হয় বড় পাথরের চেয়ে বড়।
৫। ঐ দূরে পাহাড়ি গ্রাম।
৬। পাহাড়ি গ্রামের ঘরবাড়ি।
৭। ভ্রমণ বাংলাদেশ টিম ফিরে চলেছে বাড়ির টানে।
৮। নাইক্ষং মুখে আমরা। বাঁশের ভেলাই এক মাত্র ভরসা। আমি কিন্তু সাঁতার জানি না ।
৯। বাঁশের ভেলা নিয়ে আসছে আমাদের গাইড।
২। বান্দারবান থেকে চলুন এবার ঘুরে আসি সুন্দরবন থেকে। সুন্দরবন হল বাঘ-বাবাজীর দেশ। সাগর-নদী-জঙ্গলের এক অপূর্ব মিলনভূমি সুন্দরবন। শুনেছিলাম অন্যান্য ন্যাশনাল পার্কের সাথে সুন্দরবনের পার্থক্য নাকি এক জায়গাতেই, সেটা হল তার স্বাভাবিক বন্যতা। জঙ্গলে গেলেই যেমন সারি সারি পশুর দেখা পাওয়া যায় না, পশুর দেখা পাওয়ার জন্য ধৈর্য, পরিস্রম, উপস্থিত বুদ্ধির সাধনা করতে হয়, আর হঠাৎ সেই সাধনার ফল পাওয়া গেলে প্রচণ্ড উত্তেজনার আস্বাদন। সুন্দরবনে পশু দেখার অভিজ্ঞতা ঠিক তেমনই। জীবজন্তু, গাছপালা, কীটপতঙ্গ, পাখপাখালি থেকে শুরু করে জঙ্গলের চারপাশের খাল-নদী মিলিয়ে গোটা বনের পরিবেশ অত্যন্ত অকৃত্তিম। এক দিকে সুন্দর, অন্য দিকে ভয়ঙ্কর। বন্য ভয়াবহতা স্নায়ুর প্রতিটি বিন্দু দিয়ে অনুভব করা যায় এই সুন্দরবনের বাঁকে বাঁকে।
১। হারবারিয়াতে পর্যটকের দল
২। সুন্দরবনের হরিণ
৩। কচিখালি জেটি। এখন পড়ন্ত বিকাল।
৪। সুন্দরী গাছের ফল। এটা খাওয়া যায়। টেস্ট অনেকটা তালের শাঁস এর মতো।
৫। ‘আলোর কোল’ লাফালাফি ।
৬। ভয় পাবেন না, ইহা আর জীবিত নাই। শুঁটকি হইয়া গিয়াছে।
৭। চিংড়ী মাছের শুঁটকি।
৮। ‘ভ্রমণ বাংলাদেশ’ দল সুন্দরবনে।
৯। জাহাজের মুখে দাঁড়িয়ে সুন্দরবন দেখছে দুই পর্যটক।
১০। ‘আলোর কোল’ এর পড়ন্ত বিকাল।
৩। পাহাড়-জঙ্গল ছেড়ে এবার চলুন ঘুরে আসি নীল পানির দেশে। যেতে যেতে মাথার উপর এত বি-শা-ল আকাশ এর আগে আর কখনো দেখা হয়নি। চতুর্দিকের নীল- সাদা আকাশের নিচে যেদিকেই তাকাই শুধু পানি আর পানি। নীল পানিতে আকাশটা যেন হঠাৎই ঝুঁকে পড়েছে ওল্টানো বাটির মতো। সেই আকাশে পুঞ্জ পুঞ্জ ভেসে বেড়ানো মেঘের মতোই যেন ভেসে চলেছে আমাদের জাহাজ ‘এল সি টি কুতুবদিয়া’। অবিরাম সেই ছুটে চলা নাক বরাবর দক্ষিনের দিকে। যেন খেলনার পুতুলের মতো চাবি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সমুদ্রের মাঝে।
১। সমুদ্র মাঝে প্রথম কিরণ।
২। সমুদ্র মাঝে দ্বিতীয় কিরণ ( দ্বিতীয় ক্লিক আর কি)
৩। বালি আর ঢেউ এর মিতালী।
৪। দুজনে দুজনার (ছেঁড়া দ্বীপে)
৫। পাখি উড়িয়া উড়িয়া যায়, একটা সাদা পাখি আমারে কাঁদায়(সিগাল)।
৬। সময় এবার সাগর তলে ডুব দেবার।
৭। পাখীদের হাউ-কাউ।
৮। আমার এ ছোট্ট তরী, বলো যাবে কি?
৯। এই দুইটার নাম আকাশ মনি আর নীল দিগন্ত।
আমার দেখা হয় নাই কিছুই। তাই দেখার নেশায় আমার ছুটে চল।।।