তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম ছিলো না। তার আগের বছরও জেংঝৌ প্রদেশে কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো দেশটি।
চীন ছাড়াও আরও বেশকিছু দেশ বিভিন্ন সময় এভাবে কৃত্রিম বৃষ্টি নামায় নিজেদের প্রয়োজনে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও জর্ডান বিভিন্ন সময় বিমানের সাহায্যে মেঘরাশির ওপর সিলভার আয়োডাইড নামক রাসায়নিক পদের্থের স্ফটিকদানা ছড়িয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি নামায়।
ক্লাউড সিডিং বা কৃত্রিম বৃষ্টিপাত সংঘটিত করার আরও নানান বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আছে। সেসব আপাতত আমার আলোচনার বিষয় না।
আজকের আলোচনা এই যে, কৃত্রিম বৃষ্টিপাত সংঘটিত করার এই বৈজ্ঞানিক যুগে আমাদের অশিক্ষিত কুশিক্ষিত বাঙালি মুসলমানদের দল পড়তেছে ইসতিসকার নামাজ। ফাঁকা মাঠের মধ্যে গিয়া একদল মানুষ ওপরে হাত তুলে ভ্যা ভ্যা করতেছে বৃষ্টির জন্য। আরেক গ্রুপ দিতেছে ব্যাঙের বিয়ে। (হাত তুলে মোনাজাতের বিষয় ইসলাম ধর্মের বিষয়ই না)।
যা হোক, মূর্খরা নানা কিছু করে শান্তি পায়। তারা তাদের শান্তির জন্য যা খুশি করুক। আমি অবাক হয়েছি এটা দেখে যে, একদল ঢাবির ছাত্র এই ইসতিসকার নামাজ পড়তে চেয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে অনুমতি না পেয়ে কান্নাকাটি করছে। যেনো ওরা বৃষ্টি নামানোর বিরাট 'কল' আবিষ্কার করে ফেলেছে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় তা আমলে নিচ্ছে না! আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্রই যে গাণ্ডু এইটা বহুকাল আগ থেকেই প্রমাণিত। মক্কা মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণকরা যখন আকাশে মেঘরাশির ওপর সিলভার আয়োডাইড নামক রাসায়নিক পদের্থের স্ফটিকদানা ছড়িয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি নামায় তখন আমাদের ঢাবির গাণ্ডুরা আকাশের দিকে হাত তুলে কাঁদতে চায়। এই গাণ্ডুরা হয়তো ভাবে আকাশের ওপর আল্লাহ বইসা আছে ওদের কান্না দেখতে আর ধরায় বৃষ্টি বর্ষণ করতে!
Sayed Jamil এর পোস্ট থেকে সংগৃহীত ।।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৯