আমি এম. এস. সি. করেছি "geography & environment" থেকে, আমার বিভাগ ছিলো "ন গর পরিকল্পনা"। এই সূত্রেই একদিন সার্ভে করতে গিয়েছিলাম নদীর তীরে। নদীর বাঁধের উপর দিয়ে হাঁটার সময় দেখলাম, কুচকুচে কালো রংয়ের পানি। তারমধ্যে আবার নানা রকম ময়লা ভাসছে (বাংগালীরা নদীতে ময়লা ফেলতে ভালোবাসি)। বাঁধের গায়ে সাদা প্লাস্টিক শুকানো হচ্ছে। যা ঐ কালো ঘন ময়লা যুক্ত পানিতে ধোয়া হচ্ছে। বাচ্চা, মহিলা, বুড়ো, জোয়ান, সবাই মহাউৎসাহে, মিশমিশে কালো পানিতে গোসল করছে (চর্ম রোগ অবধারিত)। নদীর মাঝখানে কামরাংগির চর। চরের মাটি দেখা যায় না। চরের সাথে বাস লাগিয়ে মাচা করে চরের জায়গা আরো বাড়ানো হয়েছে। সেখানকার বাথরুম গুলোর বর্ননা আর না দেই। কোথায় আছে না যেখানে খায় ওখানেই...
এই কাজ শুধু গরীবরা করছেনা। শহরবাসীর খাবার পানি ওখান থেকেই ওয়াসা সংগ্রহ করে। আর ওখানেই নাকি সোয়ারেজের...
নদীর কালো পানি দেখতে প্রতিদিন সেতুর উপর শত শত লোক আসে। বিকাল বেলা সেতুর দুপাশে পা রাখার জায়গা থাকেনা।
ধন্য হে কালো নদী। আর কালো নদীর পানি।
মনে হয় আমরা গাছের যে ডালে বসি, সেটাই কাঁটি আবার ঝগড়া করি কার গাছ আর কার ডাল এই নিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০