সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
সত্যিকারের বিড়াল প্রেমী
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
গতো শনিবারের কথা আজ না লিখে পারলাম, কালকে অফিসে আসিনি, আর লোডশেডিং এর জন্য বাসা থেকেও পোস্ট করতে পারিনি। শনিবার, অফিস থেকে বের হলাম 7টায়। হাটতে হাটতে কোনো বাহন খুজতে লাগলাম, যাতে বাসায় যেতে পারি। এই ব্যাপারে আমি খুবই খোলা মনের, রিক্সা, সি এন জি অটো, ক্যাব ... যা পাই তাতেই উঠে পরি। কিন্তু শনিবার বোধহয় সবাই ছুটিতে থাকে। কিছু পাচ্ছিলাম না। গুলশান 1ং গোলচত্তরে অনেক্ষণ দাড়িয়ে রইলাম। একে তো রাত, তার উপর কারেন্ট নেই, সাথে ধুলা, গার্মেন্টস কর্মিদের ঢাককা সব স হ্য করে দাড়িয়ে রইলাম। কিছু পাচ্ছিনা। এমন সময় কেউ একজন ঢাককা লাগিয়ে জানতে চাইলো, কি সি এন জি পাওয়া যাবেনা? আমি তাকিয়ে দেখলাম, একজন মোটা মতোন মহিলা, বোরকা পরে আমার পাশে। আমি জানি আপনারা এমন চিন্তা করছি বলে রাগ করবেন, কিন্তু পরিস্থিতিই এমন ছিলো। আমি প্রথমে আমার হাত ব্যাগ ঠিক মতোন ধরলাম, কে জানে আজকাল বোরকা পরে ডাকাতি করে শুনেছি। আমার বিশেষ কিছু নেই, কিন্তু যা আছে আমার জন্য অনেক। আমি ওনাকে বললাম না কিছু পাওয়া যাচ্ছে না। উনি ওনার কাহিনী বলা শুরু করলেন, উনি এখানে কোনো তাফসীর শুনতে এসেছেন, প্রতি শনিবার আসেন। আমি সল্পভাষিনী চুপচাপ শুনতে থাকলাম। এরমধ্যে তিনি যেনে নিলেন আমার বাসা কোথায়, বললেন লিফট দিবেন। আমার সন্দেহ বাড়ল। তারপর উনি একটা রিক্সা ঠিক করলেন যা অন্ত ত: বাড্ডা রোড পর্যন্ত যাবে। ওখান থেকে আমরা আবার সি এন জি খুজবো। উনি রিক্সায় উঠে ডাকলেন। আমি 1সেকেন্ড ভাবলাম। তারপর ঠিক করলাম যা হবার হবে, উঠে পরি। বাড্ডায় গিয়ে সি এন জি পেলাম না কিন্তু রিক্সা পেলাম, তাতেই দুজনে উঠলাম। সাড়া রাস্তায় উনি কথা বলতে থাকলেন। এক পর্যায়ে বললেন আমার বিড়ালকে 7টায় খাবার দেয়ার কথা, দেরি হয়ে গেলো। এবার আমার কথা ফুটলো, "আপনার কয়টা বিড়াল"। উনি গোনা শুরু করলেন... 2,4...14টা!! না একটা নিচে থাকে 15টা! 6টা এক ঘরে থাকে, 6টা আরেক ঘরে। একটা অসুস্থ, ওটাকে নিয়ে আজ ড:এর কাছে যেতে হবে। আমি ওনার স্বামীর কথা জানতে চাইলাম, উনি বললেন সে ওনার সাথে থাকেননা। ছেলে মেয়েরা আমেরিকা আর কানাডা তে আছে। উনি নিজে লন্ডনে থেকে পড়াশুনা করেছেন। বাসার কাছে এসে আমার ভিজিটিং কার্ডটা ওনাকে দিলাম। ওনার নাম "আরা"। উনি বললেন আমি মনে মনে এটাই চাইছিলাম, পরে যোগাযোগ করবো। আজ এই ব্লগে ওনার কাছে ক্ষমা চাইছি। প্রথমে ভুল বোঝার জন্য।
২১টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আলোচিত ব্লগ
ছায়ার রক্তচোখ: ক্রোধের নগর
ষড়ঋপু সিরিজের দ্বিতীয় কাহিনী ”ক্রোধ”
রাত্রি নেমেছে শহরের উপর, কিন্তু তিমির কেবল আকাশে নয়—সে বসেছে মানুষের শিরায়, দৃষ্টিতে, শ্বাসে। পুরনো শহরের এক প্রান্তে, যেখানে ইট ভেঙে পড়ে আর... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রিয় কন্যা আমার- ৭৪
প্রিয় কন্যা আমার-
ফারাজা, তুমি কি শুরু করেছো- আমি কিছুই বুঝতে পারছি না! রাতে তুমি ঘুমানোর আগে ঘুমানোর দোয়া পড়ে ঘুমাতে যাও। প্রতিদিন তোমার মুখে ঘুমের দোয়া শুনতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
তুমি আমি আর আমাদের দুরত্ব
তুমি আর আমি
দুই বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে,
নেই কোন লোভ চুম্বনের ,
ছোঁয়ারও কোন প্রয়োজন নেই
অথচ প্রতিটি নিঃশ্বাসে কেবলি তুমি।
তোমার হাসি সুবাসিত নয়,
কিন্তু সে আমায় মাতাল করে
যেন তরংগ বিহীন কোন সুর বাজে
মন্থর বাতাসে,... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নববর্ষের শোভাযাত্রা নাম বদল করছি না, পুরোনো নাম–ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি: ঢাবি উপাচার্য
পয়লা বৈশাখে ফি বছর চারুকলা অনুষদ আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘আমরা নাম পরিবর্তন করছি না। আমরা পুরোনো নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন
'৭৪ সালের কুখ্যাত বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল এখন সময়ের দাবী !
বিগত আম্লিক সরকারের আমলে যে কুখ্যাত আইনের অপব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক করে গায়েব করার চেষ্টা চলতো তা হলো ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন। এই আইন ব্যবহার করে... ...বাকিটুকু পড়ুন