আমার নানা প্রচন্ড পরিশ্রমি ছিলেন। বাইসাইকেল চালিয়ে ফরিদপুর থেকে ঢাকা চলে আসতেন। অথচ আমার মেজমামা শুধু আলসেমির কারনে তার ব্যবসা চালাতে পারলেনা।
তবে একটা জিনিস আমি দেখেছি, শুধু গুন থাকলে হয়না। সেটা পরবর্তি জেনারেশনের কাছে দেয়ার মতোন ক্ষমতাও থাকা লাগে।
নানার সামনে কেউ কোন কাজ করতে পারতনা। নানা ক্ষেপে যেতেন সবার আনাড়ি কাজ দেখে, তারপর নিজেই করতেন।
আমি ছোট থাকতে দেখেছি। আমার খালাত বোন পাট নিয়ে দড়ি বানাচ্ছিল। নানা ঘরের জানালা দিয়ে কিছুক্ষন দেখে এক ঝাড়ি মারলেন "ওমবাই করতে হয় নাকি, এই দিকে নিয়ে আয়"। আশা আপা দড়িদড়া নানাকে দিয়ে দিল। নানা নিজেই বুড়ো বয়সে দড়ি পাকাতে লাগলেন। আশা আপা কিছুক্ষণ দেখে, কোথায় যেন চলে গেলেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০