(সম্পূর্ণ কাল্পনিক ছোটদের জন্য নয়)
প্রাকবিবাহিত জীবনে তাদের প্রথম পরিচয় হয় কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে কিশোরিটা রঙচঙে একটা ছাতা ঘুরাতে ঘুরাতে যুবকটার প্রায় গা ঘেষে চলে যাচ্ছে।তার রূপের জৌলুসে চারদিক যেন উদ্ভাসিত।
চোখের সামনে উত্তাল উদ্দাম সমুদ্রশোভা ।তারই পাশাপাশি এমন রূপ লাবণ্যের আকর মেয়েটাকে দেখা মাত্র যুবকটার মধ্যে অদ্ভুত এক চাঞ্চল্য জেগে ওঠে। এমন মনলোভা পরিবেশে যদি যুবকটার মধ্যে প্রেম উথলে ওঠে আশ্চর্যের কি?মেয়েটার ভালবাসা পাবার জন্য তার মধ্যে চাঞ্চল্য জাগাই তো স্বাভাবিক।
আর মেয়েটা? তার মধ্যেও প্রেমের সঞ্চার ঘটাই স্বাভাবিক।
সে আড়চোখে তাকিয়ে দেখে যুবকটা একজোড়া চোখ দিয়ে তার দিকে মুগ্ধ, ভাবাপ্লুত নজরে নিষ্পলক তাকিয়ে।সে সত্যি এক সুদর্শন যুবক। বয়স কম। অর্থিক সঙ্গতিও যথেষ্ট।পারিবারিক যশ খ্যাতিও কম নয়।মেয়েদের কাছে সে আকর্ষনীয়।কারণ তার মিষ্টি মধুর কথা ।যে কোন মেয়ের মন জয় করতে তা সক্ষম।
এরপর থেকে তিন তিনটে মাস তারা চুটিয়ে প্রেম করতে লাগল ।মনের আনন্দে। হাত ধরাধরি করে তারা এখানে ওখানে ঘুড়ে বেড়াতে লাগলো প্রজাপতির মতন। প্রেমিক প্রেমিকা হিসেবে এমন জুটি সচরাচর দেখা যায় না।
তাদের প্রেমের ক্ষেত্রে একটা ব্যাপার খুবই অত্যাশ্চর্য, প্রতিদিন তার বিদায় মূহূর্তে একে অন্যকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানায়, উজ্জল আগামী দিন কামনা করে।কিন্তু প্রাকবিবাহিত কালে তারা সংযমকেই অগ্রাধিকার দেয়। তারা ভুলেও ওষ্ঠে ওষ্ঠে মিলন ঘটায়নি। তারা আলিঙ্গন আর চুম্বনের মিষ্টি স্বাদ অনাস্বাদন করে তারকাখচিত আকাশের তলায় বালুকাময় নির্জন নিরালা প্রান্তরে পাশাপাশি শায়িত থাকে।তাদের আবেগ মধুর কন্ঠস্বরই যেন চুম্বকের আকর্ষণ বহন করে।এভাবে শায়িত থেকে তারা অবলোকন করেছে লাল সূর্যের সমুদ্রে বুকে ডোবে যাওয়া। চন্দ্রিমা রাত্রিতে রূপালি আলো বন্যা ।চারিদিক আলোতে উদ্ভাসিত।সমুদ্রের বিশাল জলরাশি। বিশাল বিশাল ঢেউ। দুজনের মনেও ঢেউ খেলে যায়।পাখির ডাকে। সমুদ্রে ঢেউয়ে।মৃদুমন্দ হাওয়ায়।প্রকৃতি আর অপ্রকৃতিকে ঘিরে চলতে থাকে মিথষ্ক্রিয়া।
তবে হা এও মিথ্যে নয় যে তারা পরস্পরকে কেবল মাত্র মনে নয় দৈহিক মিলনের কামনাও করে ।
তারা তো অন্যদের থেকে আলাদা নয়্ ।অন্য সবার মতই রক্ত মাংসের মানুষ।তাইতো তারা জাগরণে পরস্পরের চিন্তায় মোহিত থাকে, স্বপ্নেও উত্তেজিত হয়ে ওঠে।
তারা কিছুদিন সংযমের মধ্যে দিয়ে কাটাবার পর বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করে।
এবার মুহূর্তে দুঃসহ সংযমের বাধ ভেঙে তারা কামনার জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিল। ভোগ করতে লাগলো চূড়ান্ত ইন্দ্রিয় সুখ। এখন তাদের কাছে স্পষ্ট মনে হতে লাগলো সুখ ও তৃপ্তিদায়ক দৈহিক মিলনের মাধ্যমেই প্রেম ভালবাসা পরিণতি লাভ করে।তাদের দুজনের কাছে দুজনের দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গুলো আর গোপন থাকল না।তারা পরস্পরকে চিনলো।
তারা নতুন নতুন মিলনতত্ত্বে দৈহিক মিলন ঘটাতে লাগলো।তারা উত্তেজনার সপ্তম স্বর্গের বাসিন্দা হয়ে সর্বাধিক আকর্ষনীয় পন্থায় দোসর হতে থাকলো।তারা যেন কামনার জগতের একমাত্র বাসিন্দা।
এ যে যৌবন কাল কামে চিত্তকাল...কোন কালেতে এসে ..কাল কাটালি কালের বশে
..................চলবে.........................
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১০